আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
122 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
১.আমি অনেক বছর নামাজ পরেছি এইভাবে যে একবার সালাম দিয়ে দুইদিকেই ফিরিয়ে ফেলতাম।যেমন আসসালামু আলাইকুম বলে একদিকে ফেরাতাম আবার ওয়ারহমাতুল্লাহ বলে অন্যদিকে ফেরাতাম।এখন কি নামাজগুলো হয়েছে?

২. অনেকবছর শুদ্ধ করে নামাজ না পরলে কি নামাজগুলো কাজা করতে হবে?

৩.হানাফি মাযহাব যারা ফলো করে তারা যদি বিতির নামাজ একবার দুইরাকাত পরে একরাকাত পরে নামজ কি হবে?

৪.সুন্নত নামাজে কি বাংলায় দোয়া করা যাবে?
৫.রিযিক বৃদ্ধির কোমন আমল আছে কি?

৬.আমি ইংরেজি শেখার জন্য অফলাইনে একটা কোর্সে জয়েন হতে চাইছি, সেখানে সবাই মেয়ে তবে ২টা শুধু ছেলে, এখন এটা করা কি আমার জন্য জায়েজ হবে?
এটা কি সহশিক্ষার মধ্যে পড়ে যাবে?

৭.আমাদের পুকুরের পানিতে অনেক পাতা পরে।এখন কালার পরিবর্তন হয়ে গেছে। পাশে একটু ময়লাও আছে,,খুব কম।এখন কি পানি নাপাক হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
edited by
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


(০১)
https://ifatwa.info/50183/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
নামাজ শেষে ডানে বামে দুইবার সালাম বলা ওয়াজিব।
ডানে বামে চেহারা ফিরানো সুন্নাত।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عَبْدِ اللهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم كَانَ يُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ حَتَّى يُرَى بَيَاضُ خَدِّهِ " السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ " . - صحيح

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আসসালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’’ বলে ডান দিকে এবং ‘‘আসসালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’’ বলে বাম দিকে সালাম ফিরাতেন। এ সময় তাঁর গালের শুভ্রতা দেখা যেতো।

সহীহ : মুসলিম,আবু দাউদ ৯৯৬.তিরমিযী (অধ্যায় : আবওয়াবুস সলাত, অনুঃ সলাতের সালাম ফিরানো সম্পর্কে, হাঃ ২৯৫, ইমাম তিরমিযী বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ), নাসায়ী (অধ্যায় : সাহু, অনুঃ ডান দিকে সালাম ফিরানো, হাঃ ১৩২৪), ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সলাত ক্বায়িম, অনুঃ সালাম ফিরানো, হাঃ ৯১৪), আহমাদ (১/৩৯০, ৪০৮)

الدر المختار مع رد المحتار:
(ولفظ السلام) مرتین والثانی واجب علی الاصح برھان دون علیکم وتنقضی قدوۃ بالاول قبل علیکم علی المشھور عندنا وعلیہ الشافعیۃ
(ج: 1، ص: 468، ط: دار الفکر)
সারমর্মঃ
সালাম শব্দ দুইবার পড়া, এবং ২য় বারেরটা ওয়াজিব সহীহ মত অনুসারে,আলাইকুম বলা ওয়াজিব নয়।

وفی الطحطاوی علی الدر:
لفظ السلام مرتین فالثانی واجب علی الاصح برھان دون علیکم وتنقضی قدوۃ بالاول قبل علیکم علی المشہور وعلیہ الشافعیۃ۔
(ج: 1، ص: 210)
সারমর্ম;
সালাম শব্দ দুইবার পড়া, এবং ২য় বারেরটা ওয়াজিব সহীহ মত অনুসারে,আলাইকুম বলা ওয়াজিব নয়।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার নামাজগুলির ওয়াজিব আদায় হয়নি।
তাই উক্ত নামাজ গুলি পুনরায় আদায় করতে হবে। 
তবে যেহেতু ওয়াক্ত চলে গিয়েছে,আর নামাজ গুলির ফরজ গুলিও যেহেতু আদায় হয়েছিলো,তাই কিছু ফুকাহায়ে কেরামদের মতকে সামনে রেখে সেগুলোর কাজা আদায় না করলেও চলবে। 
কেননা সেগুলোর ফরজিয়্যাত আদায় হয়ে গিয়েছে। 

তবে এখন থেকে নামাজে যেনো এই সমস্যা আর না হয়। সেদিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিবেন।

(০২)
নামাজ গুলির ফরজ আদায় না হলে সেই নামাজ গুলি পুনরায় আদায় করতে হবে। তথা কাজা আদায় করতে হবে। 

(০৩)
এক সালামে নামাজটি আদায় না করে ইচ্ছাকৃতভাবে  প্রথমে ২ রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে দিয়ে নামাজ শেষ করে পরবর্তীতে আবারো এক রাকাত আদায় করে,তাহলে বিতির নামাজ আদায় হবেনা।
পুনরায় তাকে বিতির নামা আদায় করতে হবে। 

(০৪)
না,করা যাবেনা।

আরো জানুনঃ- 

(০৫)
রিযিক বৃদ্ধির আমলঃ-
তাকওয়া ও তাওয়াক্কুল অবলম্বন করা।
আল্লাহর রাস্তায় দান সদকাহ করা।
পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা।
অবিবাহিত হলে বিবাহ করা।
দৈনন্দিন বাদ মাগরিব সুরা ওয়াকিয়ার আমল করা।
রিযিক বৃদ্ধির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
তওবা ইস্তেগফার পাঠ করা।

(০৬)
এটা সহশিক্ষার মধ্যে পড়ে যাবে।

(০৭)
পানি নাপাক হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...