জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، سَمِعَ زُهَيْرًا، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ عَشَرَ شَهْرًا أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا، وَكَانَ يُعْجِبُهُ أَنْ تَكُونَ قِبْلَتُهُ قِبَلَ الْبَيْتِ، وَإِنَّهُ صَلَّى ـ أَوْ صَلاَّهَا ـ صَلاَةَ الْعَصْرِ، وَصَلَّى مَعَهُ قَوْمٌ، فَخَرَجَ رَجُلٌ مِمَّنْ كَانَ صَلَّى مَعَهُ، فَمَرَّ عَلَى أَهْلِ الْمَسْجِدِ وَهُمْ رَاكِعُونَ قَالَ أَشْهَدُ بِاللَّهِ لَقَدْ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قِبَلَ مَكَّةَ، فَدَارُوا كَمَا هُمْ قِبَلَ الْبَيْتِ، وَكَانَ الَّذِي مَاتَ عَلَى الْقِبْلَةِ قَبْلَ أَنْ تُحَوَّلَ قِبَلَ الْبَيْتِ رِجَالٌ قُتِلُوا لَمْ نَدْرِ مَا نَقُولُ فِيهِمْ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ (وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ إِنَّ اللَّهَ بِالنَّاسِ لَرَءُوفٌ رَحِيمٌ )
আবূ নু‘আইম (রহঃ) ... বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনাতে ষোল অথবা সতের মাস যাবত বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়তুল্লাহর দিকে তাঁর কিবলা হওয়াকে পছন্দ করতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের সালাত (কাবার দিকে মুখ করে) আদায় করেন এবং লোকেরাও তাঁর সাথে সালাত আদায় করেন। এরপর তাঁর সঙ্গে সালাত আদায়কারী একজন বের হন এবং তিনি একটি মসজিদের লোকদের কাছ দিয়ে গেলেন তখন তারা রুকু অবস্থায় ছিলেন। তিনি বললেন, আমি আল্লাহকে সাক্ষি রেখে বলছি যে, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে মক্কার দিকে মুখ করে নামায আদায় করেছি। একথা শোনার পর তাঁরা যে অবস্থায় ছিলেন, সে অবস্থায় বায়তুল্লাহর দিকে ফিরে গেলেন। আর যারা কিবলা বায়তুল্লাহর দিকে পরিবর্তের পূর্বে বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে সালাত আদায় অবস্থায় মারা গিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, তাদের সম্পর্কে আমরা কি বলব তা আমাদের জানা ছিল না। তখন আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেন
وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ إِنَّ اللَّهَ بِالنَّاسِ لَرَءُوفٌ رَحِيمٌ
"আল্লাহ এরূপ নন যে, তোমাদের ঈমানকে তিনি ব্যর্থ করে দিবেন, নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি দয়ার্দ্র, পরমদয়ালু।" (২ : ১৪৩)
(বুখারী ৪২৩৪ ইসলামিক ফাউন্ডেশন।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এটি কুরআনের আয়াত।
এর শানে নুযুল উপরে উল্লেখ রয়েছে।
তবে উপরোক্ত আমলের কথা কুরআন হাদীসের কোথাও নেই।
বুযুর্গদের পরীক্ষিত আমল হতে পারে।
সেই হিসেবে দ্বীনের অংশ মন না করে আবশ্যকীয় মনে না করে আমল করা যেতে পারে।
(০২)
হ্যাঁ, এটি শোনা জায়েজ হবে।