আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (4 points)
edited by
আসসালামু   আলাইকুম,

তেত্রিশটি আয়াত হল পবিত্র কোরআনের প্রসিদ্ধ কিছু শক্তিশালী আয়াত। যাহা পাঠে দুনিয়া এবং আখেরাতের প্রভূত উন্নতি সাধন হয়। বেশিরভাগ জাকেরিনগন দুষ্ট জ্বীন এবং মানুষের কুদৃষ্টির শিকার হন, আর এই আমল নিয়মিত সকাল সন্ধ্যায় পাঠে জাকিরীনগনের সেই সমস্ত সমস্যা সহ আর্থিক এবং সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা দূরিভূত হয় আল্লাহর মেহেরবানিতে। সাধারনত সূরা ফাতেহা পর, সূরা আল বাকারার ১ থেকে ৪ আয়াত, সূরা আল বাকারার ২৫৫ থেকে ২৫৭ আয়াত, যার মধ্যে আয়াতুল কুরসী রয়েছে। সূরা আল বাকারার ২৮৪ থেকে ২৮৬ আয়াত। সূরা আল আরাফের ৫৪ থেকে ৫৬ আয়াত। সূরা আল ইসরার (বনী ইসরাইল) ১১০ থেকে ১১১ আয়াত। সূরা আস সাফফাতের ১ আয়াত থেকে ১১ নং আয়াত। সূরা আর রাহমানের ৩৩ আয়াত থেকে ৩৫ নং আয়াত। সূরা জিন এর ১ নং আয়াত থেকে ৪ নং আয়াত। এভাবে তেত্রিশটি আয়াত হয়।
কোন কোন বর্ণনায় এর সাথে সূরা হাশরের ২১ নং আয়াত থেকে ২৪ নং আয়াত পাঠ করার কথা এসেছে। আবার সূরা ইখলাছ, সূরা কাফেরূন, সূরা আল ফালাক ও সূরা আন নাছ পাঠ করার কথাও এসেছে।

১. ৩৩ আয়াতের   ফজিলত কি এবং এর উপর আমল করা কি সুন্নাত?
২.৩৩  আয়াত  একেক  জায়গায়  একেক টা আয়াত দেওয়া আছে। সঠিক কোনটা?

আরও একটি প্রশ্ন:

নামাজে সানা কয়বার পড়তে হয়? প্রতি ওয়াক্তের ফরয, সুন্নাত, নফলের আগে সানা পড়তে হবে নাকি যেই ওয়াক্তের নামাজ পড়বো শুরুতে একবার সানা পড়ে নিলেই হবে?

ধরুন, ইশার সালাতের আগে ২ রাকাত নফল পড়লাম, এরপর কোনো এক ওয়াক্তের কাযা নামাজ পড়লাম এরপর ইশার ফরজ, সুন্নাত নামাজ পড়লাম। এই অবস্থায় কোন কোন জায়গায় সানা পড়তে হবে একটু বিস্তারিত বলে দিলে ভালো হয় ইনশাআল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

প্রশ্নে উল্লেখিত আমলটি আমল আকারে কুরআন হাদীসে নেই।
তবে রুকইয়াহ কারীরা এমন আমল করে দেয়।
আকীদা বিশুদ্ধ রেখে এমন আমল করা যাবে।
,    
রাতে ঘরের দরজা, জানালা খোলা রাখবেন না। বরং বন্ধ করে রাখবেন।কেননা হাদিসে শয়তানের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সন্ধ্যা বা রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করতে বলা হয়েছে। 

যেমন: জাবির রা. হতে বর্ণিত।
عَنْ جَابِرٍ – رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ – قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِذَا كَانَ جِنْحُ اللَّيْلِ أَوْ أَمْسَيْتُمْ فَكُفُّوا صِبْيَانَكُمْ ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْتَشِرُ حِينَئِذٍ ، فَإِذَا ذَهَبَ سَاعَةً مِنَ اللَّيْلِ فَخَلَّوهُمْ وَأَغْلِقُوا الْأَبْوَابَ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لَا يَفْتَحُ بَابًا مُغْلَقًا ، وَأَوْكُوا قِرَبَكُمْ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ ، وَخَمِّرُوا آنِيَتَكُمْ ، وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ ، وَلَوْ أَنْ تَعْرِضُوا عَلَيْهِ شَيْئًا ، وَأَطْفِئُوا مَصَابِيحَكُمْ . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যখন রাতের আঁধার নেমে আসে অথবা বলেছেন:যখন সন্ধ্যা হয়, তখন তোমাদের শিশুদেরকে (বাইরে যাওয়া থেকে) আটকে রাখো। কেননা সে সময় শয়তান ছড়িয়ে পড়ে। তবে রাতের কিছু সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলে তাদেরকে ছেড়ে দাও এবং বিসমিল্লাহ বলে ঘরের দরজাসমূহ বন্ধ করো। কারণ শয়তান বদ্ধদ্বার খুলতে পারে না। আর বিসমিল্লাহ পড়ে তোমাদের মশকগুলো (চামড়ার তৈরি পানির পাত্র বিশেষ) এর মুখ বন্ধ করো এবং বিসমিল্লাহ বলে তোমাদের পাত্রগুলোও ঢেকে রাখো। (ঢাকার কিছু না পেলে) কোন কিছু আড়াআড়িভাবে হলেও পাত্রের উপর রেখে দাও। (আর ঘুমানোর সময়) বাতিগুলো নিভিয়ে দাও।” (বুখারী ও মুসলিম)

কুরআন সুন্নাহের আলোকে শরীর বা ঘর বন্ধ করার নিয়ম হল, চার কুল ও সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত এবং সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়ে শরীর বা ঘরের দরজাসমূহে ফু দেওয়া। বিশেষ করে সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে ফু দেওয়া। 

আপনি উক্ত আমল গুলো করতে পারেন

এহেন পরিস্থিতিতে নিম্নোক্ত লিংকের প্রদত্ত আমল গুলো করতে পারেন। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
৩৩ আয়াত পড়া যেতে পারে। তবে এগুলোকে সুন্নত বা ওয়াজিব বলা যাবে না। এবং আকিদাকেও অশুদ্ধ রাখা যাবে না। সুতরাং আকিদা বিশুদ্ধ রেখে উক্ত আমল করা যেতে পারে। 

(০২)
যেহেতু আমলটি কুরআন হাদীসে নেই।
একেক জায়গায় একেকটি থাকতেই পারে।

এক্ষেত্রে রুকইয়াহ কারী থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

(০৩)
প্রতি ওয়াক্তের ফরয, সুন্নাত, নফলের তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাধার পর সানা পড়তে হবে।

ইশার সালাতের আগে ২ রাকাত নফল পড়লে সেই নফলের তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাধার পর সানা পড়তে হবে।

এরপর কোনো এক ওয়াক্তের কাযা নামাজ পড়লে সে কাজা নামাজের তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাধার পর সানা পড়তে হবে।

এরপর ইশার ফরজ পড়লে তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাধার পর সানা পড়তে হবে।

এরপর সুন্নাত নামাজ পড়লে সুন্নাতের তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাধার পর সানা পড়তে হবে।

মোট কথা আপনি যেই নামাজই আদায় করবেন,প্রত্যেক নামাজের তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাধার পর সানা পড়তে হবে। এটা সুন্নাত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 240 views
...