আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in পবিত্রতা (Purity) by (102 points)
১) পায়ের নিচে তেলাপোকা চাপা পরে মরে গেলে কিছুটা সাদা তরলের মত দেখা যায়। তা কি নাপাক?

আর মেঝে টিসু দিয়ে মুছে দিলে কি পাক হবে?

২)জামাতে শেষ বৈঠকে বসা মাত্রই যদি ইমাম সালাম ফেরায় তখন কি করবো? তাশাহুদ পরে উঠবো নাকি সরাসরি উঠে পড়বো?

৩)কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ফজরের সুন্নত না পরে তাহলে কি তার যোহরের নামাজ আদায় হবে?

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/42999/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

اَلَّذِیۡنَ یَتَّبِعُوۡنَ الرَّسُوۡلَ النَّبِیَّ الۡاُمِّیَّ الَّذِیۡ یَجِدُوۡنَہٗ مَکۡتُوۡبًا عِنۡدَہُمۡ فِی التَّوۡرٰىۃِ وَ الۡاِنۡجِیۡلِ ۫ یَاۡمُرُہُمۡ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ یَنۡہٰہُمۡ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ یُحِلُّ لَہُمُ الطَّیِّبٰتِ وَ یُحَرِّمُ عَلَیۡہِمُ الۡخَبٰٓئِثَ وَ یَضَعُ عَنۡہُمۡ اِصۡرَہُمۡ وَ الۡاَغۡلٰلَ الَّتِیۡ کَانَتۡ عَلَیۡہِمۡ ؕ فَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِہٖ وَ عَزَّرُوۡہُ وَ نَصَرُوۡہُ وَ اتَّبَعُوا النُّوۡرَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ مَعَہٗۤ ۙ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ ﴿۱۵۷

“(এরা তো তারাই) যারা সেই রাসূল ও নিরক্ষর নবীর অনুসরণ করে যার কথা তারা তাদের তাওরাত ও ইনজীলে লিখিত পাচ্ছে। তিনি তাদেরকে ভালকাজ করার আদেশ দেন ও মন্দকাজ করতে নিষেধ করেন, তাদের জন্য ভাল জিনিসকে বৈধ ও খারাপ জিনিসকে অবৈধ ঘোষণা করেন।”[সূরা আরাফ, আয়াত: ১৫৭]

সুতরাং পোকামাকড় খারাপ জিনিসের অন্তর্ভুক্ত; যেমন- কীট, গুবরে পোকা, তেলাপোকা, ইঁদুর, গিরগিটি, তক্ষক, টিকটিকি, গেছু ইঁদুর, বিচ্ছু, সাপ ইত্যাদি খারাপ জিনিস হিসেবে গণ্য।

এটি ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম শাফেয়ির অভিমত...”।  (আল-মুগনী (১৩/৩১৬-৩১৭)

তেলাপোকার বিষ্টা নাপাক ও নাজাসতে গালিজা। সুতরাং কাপড় বা শরীরে এক দিরহামের বেশী হলে সেই নাজসত নিয়ে নামায পড়া যাবে না।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন !

১. সেই সাদা তরল এক দিরহামের বেশী হলে নাজসত হবে। তা ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে সাধারণত ঐ তরল এক দেরহাম পরিমাণ হয় না। যদি আপনার কছেও এমন মনে হয় তাহলে তা নাপাক হবে না। জ্বী টিস্যু দিয়েও মুছে ফেলতে পারেন যদি উহা এক দেরহামের চেয়ে কম হয়। অন্যথায় ধুয়ে ফেলতে হবে।

২. আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করে বাকি নামায আদায় করবে। সাথে সাথেই সরাসরি তাশাহুদ না পড়ে উঠবে না। (ফাতওয়া শামী-২/২০০)

৩. আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম। (মুসলিম, হাদিস নং : ৭২৫)

আরেক হাদিসে আছে, নবী (সা.) ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) নামাজে এত গুরুত্ব দিতেন যে, অন্য কোনো নফল (বা সুন্নত) নামাজে ততটুকু দিতেন না। (বুখারি, হাদিস নং : ১১৬৩; মুসলিম, হাদিস নং : ৭২৪)

সুতরাং ইচ্ছাকৃত ফজরের সুন্নাত ত্যাগ করার কারণে গুনাহ হবে। কিন্তু জোহরের নামাজের ক্ষেত্রে উক্ত সুন্নাত কোন প্রভাব ফেলবে না। বিধায় জোহরের নামাজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...