بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/42999/
ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
اَلَّذِیۡنَ یَتَّبِعُوۡنَ
الرَّسُوۡلَ النَّبِیَّ الۡاُمِّیَّ الَّذِیۡ یَجِدُوۡنَہٗ مَکۡتُوۡبًا عِنۡدَہُمۡ
فِی التَّوۡرٰىۃِ وَ الۡاِنۡجِیۡلِ ۫ یَاۡمُرُہُمۡ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ یَنۡہٰہُمۡ
عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ یُحِلُّ لَہُمُ الطَّیِّبٰتِ وَ یُحَرِّمُ عَلَیۡہِمُ
الۡخَبٰٓئِثَ وَ یَضَعُ عَنۡہُمۡ اِصۡرَہُمۡ وَ الۡاَغۡلٰلَ الَّتِیۡ کَانَتۡ عَلَیۡہِمۡ
ؕ فَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِہٖ وَ عَزَّرُوۡہُ وَ نَصَرُوۡہُ وَ اتَّبَعُوا
النُّوۡرَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ مَعَہٗۤ ۙ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ ﴿۱۵۷﴾
“(এরা তো তারাই) যারা সেই রাসূল ও নিরক্ষর নবীর অনুসরণ করে
যার কথা তারা তাদের তাওরাত ও ইনজীলে লিখিত পাচ্ছে। তিনি তাদেরকে ভালকাজ করার আদেশ দেন
ও মন্দকাজ করতে নিষেধ করেন, তাদের
জন্য ভাল জিনিসকে বৈধ ও খারাপ জিনিসকে অবৈধ ঘোষণা করেন।”[সূরা আরাফ,
আয়াত: ১৫৭]
সুতরাং পোকামাকড় খারাপ জিনিসের অন্তর্ভুক্ত;
যেমন- কীট,
গুবরে পোকা,
তেলাপোকা,
ইঁদুর, গিরগিটি, তক্ষক, টিকটিকি, গেছু ইঁদুর, বিচ্ছু, সাপ ইত্যাদি খারাপ জিনিস হিসেবে গণ্য।
এটি ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম শাফেয়ির অভিমত...”। (আল-মুগনী (১৩/৩১৬-৩১৭)
তেলাপোকার বিষ্টা নাপাক ও নাজাসতে গালিজা। সুতরাং কাপড়
বা শরীরে এক দিরহামের বেশী হলে সেই নাজসত নিয়ে নামায পড়া যাবে না।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন !
১. সেই সাদা তরল এক দিরহামের বেশী হলে নাজসত হবে। তা ধুয়ে
ফেলতে হবে। তবে সাধারণত ঐ তরল এক দেরহাম পরিমাণ হয় না। যদি আপনার কছেও এমন মনে হয় তাহলে
তা নাপাক হবে না। জ্বী টিস্যু দিয়েও মুছে ফেলতে পারেন যদি উহা এক দেরহামের চেয়ে কম
হয়। অন্যথায় ধুয়ে ফেলতে হবে।
২. আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করে বাকি নামায আদায় করবে। সাথে
সাথেই সরাসরি তাশাহুদ না পড়ে উঠবে না। (ফাতওয়া শামী-২/২০০)
৩. আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন,
ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) দুনিয়া ও দুনিয়ার
মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম। (মুসলিম, হাদিস নং : ৭২৫)
আরেক হাদিসে আছে, নবী (সা.) ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) নামাজে এত গুরুত্ব
দিতেন যে, অন্য
কোনো নফল (বা সুন্নত) নামাজে ততটুকু দিতেন না। (বুখারি,
হাদিস নং : ১১৬৩;
মুসলিম, হাদিস নং : ৭২৪)
সুতরাং ইচ্ছাকৃত ফজরের সুন্নাত ত্যাগ করার কারণে গুনাহ হবে। কিন্তু জোহরের নামাজের ক্ষেত্রে উক্ত
সুন্নাত কোন প্রভাব ফেলবে না। বিধায় জোহরের নামাজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।