আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
342 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
ক) নামাযের মাঝে নিজের অনিচ্ছায় যদি কোন শব্দ (যা অর্থ বোধক না) বের হয়, যা আমিই শুনলাম কিন্তু পাশে যে আছে সে-ও শুনে নাই, তাহলেও কি নামায ভাঙবে? এইটা একদমই নিজের অজান্তেই হচ্ছে আমার।
খ) ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল(রহ) কি পরবর্তীতে শিয়া হয়ে গিয়েছিলেন?

গ) রাসুল (স) এক কোন স্ত্রীর বাড়ি সাকিফ গোত্রে ছিল?
ঘ) আযানের জবাব এ 'লা হাওলা ওয়া লা ক্বুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' এর সাথে 'আলিয়্যিল আযীম' যোগ করলে কি বি'দাত হবে?
ঙ) অনেকে বলে রাতের বেলা খাড়া ১২টা,খাড়া ১টা এমন সময়ে নাকি বাথরুমে যাওয়া ভালো না। এইটা কি ঠিক না বিদাত?

চ) অনেকে দোয়াতে বলে 'হে আল্লাহ, তোমার নবির তোফায়েলে কবুল কর।' তোফায়েল মানে তো বাচ্চা ছেলে, সুন্দর।  এই কথা টা বুঝলাম না
closed

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(ক)
শরীয়তের বিধান হলো  নামাজের ভেতর কথা বলা। নামাজে এমন কোনো অর্থবোধক শব্দ করা, যা সাধারণ কথার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। (হোক সেটা এক অক্ষর বা দুই অক্ষরে ঘটিত) তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬১৩, আল বাহরুর রায়েক : ২/২)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
মুআবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস সুলামি (রা.) নওমুসলিম অবস্থায় নামাজে কথা বললে রাসুল (সা.) নামাজের পর তাঁকে বলেন, ‘নামাজের মধ্যে কথাবার্তা ধরনের কিছু বলা যথোচিত নয়। বরং প্রয়োজনবশত তাসবিহ, তাকবির বা কোরআন পাঠ করতে হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৫৩৭)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি সেটা অর্থবোধক না হয়ে থাকে,তাহলে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।   
(খ)
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাঃ শীয়া হননি।
তার মু'তাযিলা হওয়া হয়ে যাওয়া নিয়ে একটু কথা কেহ কেহ বলে।
তিনি মুতাজিলাও হননি।
,
আব্বাসীয় খলিফা মামুন-অর-রশীদ তাঁর জীবনের শেষ দিনগুলোতে এসে মুতাজিলা মতবাদের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং মুতাজিলা সম্প্রদায়কে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দান করেন। সমসাময়িককালের ধর্মীয় নেতারা খলিফার রোষানল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য একে একে খলিফার দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিই সমর্থন দিতে শুরু করেন; কিন্তু ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) মুতাজিলা মতবাদকে ভ্রান্ত বলে তা মানতে অস্বীকার করেন এবং এ জন্য নির্মম নির্যাতন ও কারাযন্ত্রণা ভোগ করেন। 

পবিত্র কোরআন 'সৃষ্টি' এ সম্পর্কে মুতাজিলা মতবাদের অন্যতম প্রবক্তা আব্বাসীয় খলিফা মামুন-অর-রশীদ তাঁর বিরোধিতাকারী ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলকে তলব করে জিজ্ঞেস করলেন তিনি মুতাজিলা মতবাদ গ্রহণ করেছেন কি না। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে উত্তর দিলেন, 'না, পবিত্র কোরআন হচ্ছে মহান আল্লাহর বাণী, কী করে কোরআনকে সৃষ্টি হিসেবে বিবেচনা করা সম্ভব?' মামুন-অর-রশীদ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠান।
,
(গ)
রাসুল (স) এক কোন স্ত্রীর বাড়ি সাকিফ গোত্রে ছিল
বলে কিছু পাইনি।
তবে হতে পারে।
,
(ঘ)
না এটি বিদআত হবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
وَعَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ قَالَ إِنِّي لَعِنْدَ مُعَاوِيَةَ إِذْ أَذَّنَ مُؤَذِّنُه فَقَالَ مُعَاوِيَةُ كَمَا قَالَ مُؤَذِّنهُ حَتّى إِذَا قَالَ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ قَالَ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ فَلَمَّا قَالَ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ قَالَ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيْمِ وَقَالَ بَعْدَ ذلِكَ مَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ ذلِكَ. رَوَاهُ أَحْمَد
আলক্বামাহ্ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর নিকট ছিলাম। তাঁর মুয়াযযিন আযান দিচ্ছিলেন। মুয়াযযিন যেভাবে (আযানের বাক্যগুলো) বলছিলেন, মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ)-ও ঠিক সেভাবে বাক্যগুলো বলতে থাকেন। মুয়াযযিন ‘‘হাইয়্যা ‘আলাসসলা-হ্’’ বললে মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ) বললেন, ‘‘লা- হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ’’। মুয়াযযিন ‘‘হাইয়্যা ‘আলাল ফালা-হ’’ বললে মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ) বললেন, ‘‘লা- হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল ‘আলিয়্যিল ‘আযীম’’। এরপর আর বাকীগুলো তিনি তা-ই বললেন যা মুয়াযযিন বললেন। এরপর তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (আযানের উত্তরে) এভাবে বলতে শুনেছি। 
(আহমাদ ২৭৫৯৮, নাসায়ী ১/১০৯-১০।)
,
(ঙ) না এটি বিদআত নয়।
এখানে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
,
(চ) তোফায়েলে বলার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো উসিলা।
আমাদের উদ্দেশ্য হলো রাসুল সাঃ এর উসিলায় দোয়া চাওয়া।
যাতে করে আমাদেত দোয়া কবুল হয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...