ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
জ্বী, এক শ্বাসে দম দরে সূরায়ে ফাতেহাকে নামাযে পড়লে নামায হবে।
(২)
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানোর প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বী,গলা ভাঙ্গার দরুণ হরফের উচ্চারণ মাখরাজ অনুযায়ী না আসলেও নামায হবে।
(৩)জ্বী, হুজুর খালি গায়ে ওযু করা যাবে এবং নামাজও পড়া যাবে।
(৪)
৪০ দিনের ভিতর কাটতে হবে।নতুবা মাকরুহে তাহরিমী হবে তথা গোনাহ হবে।চেষ্টার পরও কিছু লোম থেকে গেলে কোনো গোনাহ হবে না।
(৫)
নামাজ পড়ার সময় যদি নিজের সুবিধার্থে কোনো সূরা ও দোয়া দরুদ শরীফকে দম ধরে পড়া হয়, তাহলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(৬)
এশা'র ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর থেকে নিয়ে ফজরের ওয়াক্ত শুরুর পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো এক মুহুর্তে ২-১২/২০রা'কাত নামায তাহাজ্জুদের নামায পড়া সুন্নাত।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﺇِﻥَّ ﻧَﺎﺷِﺌَﺔَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻫِﻲَ ﺃَﺷَﺪُّ ﻭَﻁْﺀًﺍ ﻭَﺃَﻗْﻮَﻡُ ﻗِﻴﻠًﺎ
নিশ্চয় এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।(সূরা মুযযাম্মিল-০৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4385
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রাত ১০/১১ টার দিকেও তাহাজ্জুদ পড়া যাবে।তবে শেষ রাত্রিতে পড়াই উত্তম।