আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
152 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। খুবই জানা প্রয়োজন।দয়া করে বলবেন।

১।কোন স্ত্রী যদি ফোনে স্বামীকে বলে কাজীকে ফোন করে ডিভোর্স পেপার রেডি করতে বল।স্বামী বলে ঠিক আছে বলতেছি।মানে স্ত্রীর সাথে কথা শেষ হলে আর কি।এরপর স্ত্রী বলে কয়েকদিন পর পেপার নিয়ে আসবা সাইন করব।মানে ২ জনেই করবে এটা বলতেছে আর কি।স্বামী বলে ঠিক আছে।রাখ এখন।সেইদিন কথা হবে মানে যেইদিন আসবে সেইদিন।রাগে ঝগড়ার সময় বলেছিল।কিন্তু ১ দিন বা ২-৩ গন্টা পর ২ জনই ভাল হয়ে যায়। তহ স্ত্রীকে পাওয়ার দিলেও স্ত্রী তহ নিজেকে তালাক দেয় নি উপরে, আর জানত ও না স্ত্রী যে ইসলামে মেয়েরা এই অধিকারটা পায় যে সেটা।তহ উপরের স্বামী ও স্ত্রীর কথার দ্বারা কি তালাক হবে?

২।এইটা আরেকটা প্রশ্ন কোন স্ত্রী যদি ফোনে বলে তালাক দাও থাকতে পারব না তুমার সাথে।স্বামী যদি বলে থাকতে না পারলে চলে যাও বা যাইলে যাওগা।তহ এটা দ্বারা কি তালাক হবে নাকি পাওয়ার দেওয়া বুঝাবে? মনে হয় এই প্রশ্নটা আগেও করেছিলাম।তালাক হবে না বলেছিল।তহ যদি পাওয়ার দেওয়া বুঝায় স্ত্রী নিজেকে তালাক না দেয়।চলে যাচ্ছি বলে কিছুক্ষণ কথা বন্ধ করে মোবাইল বন্ধ করে ফেলে রাখে তাহলে কি তালাক হবে? পরে আবার সব ঠিক হয়ে যায় ধরেন । তবে এটা সিওর নিজেকে তালাক দেয় নি ধরেন।কারন মেয়েটা জানত ও না মেয়েরা ইসলামে এই অধিকার পায় যে সেটা।আর তার স্বামী তাকে পাওয়ার আগে থেকে দিছে ধরেন।কিন্তু এটা সিওর উপরের কথা গুলো বলার সময় সে নিজের দিকে ইন্গিত করে বলে নি।কারন পাওয়ার দিলেও সে জানত না মেয়েরা ইসলামে এই অধিকার  পায় যে সেটা।শুনেও নি তখন।পরে শুনেছে অনেক দিন পর যে মেয়েরাও পায় অধিকার  সেটা।

৩।দয়া করে একটু বলবেন।
ifatwa.info/55475/

 এই লিন্কের ৩ নং প্রশ্নের মত কোন স্ত্রী যদি মেসেজে তালাক চায় আর বলে বাবা মার পছন্দমত বিয়ে করব গা।ধরেন মেসেজে হচ্ছিল কথা।স্বামীও  যদি,   স্ত্রী   বিয়ে করব গা বলেছে যে স্ত্রীর এই কথাটার জন্য নিয়ত ছাড়া বলে করলে করগা বা কর গা বিয়ে বাবা মার পছন্দমত এটা বলে, তালাক চাওয়ার জন্য না  স্ত্রী বিয়ে করবে বলেছে যে এটার জন্য বলে তাহলে কি তালাক হবে?যদি স্ত্রী বিয়ে করবে না বলত আরেকটা তাহলে স্বামীও বলত না ধরেন কর গা বিয়ে বা করগা মা বাবার পছন্দমত বিয়ে এসব বলত না। মানে বিয়ে করবে বলেছে যে এটার জন্য ধরেন বলেছে ঠিকি ৩ নং প্রশ্নের মত।এটা এমনিতে মাসআলা জানার জন্য করেছি।লিন্কের ৩ নং প্রশ্নটা দ্বারা তহ কোন নতুন সমস্যা হবে না তাই না?।ধরেন মেসেজে হচ্ছিল কথা।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

তালাকের বিষয় খুবই মারাত্মক। 
হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ النِّكَاحُ وَالطَّلاَقُ وَالرَّجْعَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
 
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি বিষয় এমন যেগুলির যথার্থ তো যথার্থই এমনকি সেগুলোর কৌতুকের ব্যবহারও যথার্থ: বিবাহ, তালাক, রাজআত। - ইবনু মাজাহ ২০৩৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৫

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-গারীব।

★শরীয়তের বিধান হল "তালাক দিয়ে দিবো","ছেড়ে দিয়ে দিবো", এ কথা গুলি বলার দ্বারা তালাক পতিত হবে না।
কারণ, ভবিষ্যতের দিকে তালাকের সম্বন্ধ করলে তালাক পতিত হয় না।
এগুলো ওয়াদা মূলক কথা মাত্র,এতে তালাক পতিত হয়না।
(রদ্দুল মুহতার ৪/২৭৪; হেদায়াহ ১/২৮০।)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
উপরের স্বামী ও স্ত্রীর কথার দ্বারা তালাক হবেনা।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্ত্রী যদি নিজেকে তালাক না দেয়।চলে যাচ্ছি বলে কিছুক্ষণ কথা বন্ধ করে মোবাইল বন্ধ করে ফেলে রাখে তাহলে তালাক হবেনা।

(০৩)
উক্ত প্রশ্নটা দ্বারা কোন নতুন সমস্যা হবে না।
স্ত্রী যেহেতু তালাকের নিয়তে কিছুই বলেনি,তাই তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...