আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in সালাত(Prayer) by (100 points)
আসসালামু আলাইকুম।  কাল সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় এশা ও ফজর নামাযের জন্য ওযু করার সময় অন্ধকারের মধ্যে করতে হয়,পরে খেয়াল করছি যে বাম হাতের একটা আঙুলের নখের উপর কিছু অংশে মোম লেগে ছিল।এভাবেই ওযু করা হয়েছিল এশা আর ফজরের জন্য। এজন্য কি ওযু ফাসিদ হবে? আমায় এশা আর ফজরের নামাযের কাযা তুলতে হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/10420/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

শরীয়তের বিধান হলো যদি হাতের ভিতর কোনো এমন জিনিস লেগে যায়, যেটা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তার কারনে যদি আসলেই শরীরে পানি না পৌছে, এমনটি হয়ে থাকলে অযু, গোসল হবেনা, সেই অযু বা গোসল দিয়ে নামাজ আদায় করে থাকলে  ঐ নামায গুলো আবার পড়ে নিতে হবে।

 

হযরত আবু তামীম জায়শানী রাহ. থেকে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. যখন অযু করতেন আংটি নাড়াচাড়া করতেন। আবু তামীমও তা করতেন। ইবনে হুবায়রাও তা করতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১/৩৭১ (৪৫৬); মাবসূত, সারাখসী ১/১০; আদ্দুররুল মুখতার ১/১২৬; আলবাহরুর রায়েক ১/১৩; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী ৪২৮)

 

অজুর ক্ষেত্রে অজুর অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক।

যদি কোনো অংশ না ভিজে, তাহলে অযু, গোসল হবেনা।

আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/10420/

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু নখের কিছু অংশে মোম লেগে ছিলো। ফলে আপনার অযু সহীহ হয়নি। কারণ, মোমের কারণে নখের উপরে পানি পৌছায়নি। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে এশা ও ফজরের নামাজ কাযা আদায় করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (100 points)
এই প্রশ্নের উত্তর পেতে পেতে ইতিমধ্যে আমি যোহর ও আসরের সালাত আদায় করছি, এখন এগুলো কি পুনরায় আদায় করতে হবে কারণ এর আগের ওয়াক্তের নামাযগুলো কাযা হয়ছিল?
by (63,560 points)
না, জহর ও আসর পুনরায় আদায় করা লাগবে না৷ আপনার জহর ও আসরের নামাজ আদায় হয়ে যাবে৷

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...