ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/10420/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
শরীয়তের বিধান হলো যদি হাতের ভিতর কোনো এমন জিনিস লেগে যায়, যেটা চামড়া পর্যন্ত
পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তার কারনে যদি আসলেই
শরীরে পানি না পৌছে, এমনটি হয়ে থাকলে অযু, গোসল হবেনা, সেই অযু বা গোসল
দিয়ে নামাজ আদায় করে থাকলে ঐ নামায গুলো আবার
পড়ে নিতে হবে।
হযরত আবু তামীম জায়শানী রাহ. থেকে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর
রা. যখন অযু করতেন আংটি নাড়াচাড়া করতেন। আবু তামীমও তা করতেন। ইবনে হুবায়রাও তা
করতেন। (মুসান্নাফে ইবনে
আবী শাইবা ১/৩৭১ (৪৫৬); মাবসূত, সারাখসী ১/১০; আদ্দুররুল মুখতার
১/১২৬; আলবাহরুর রায়েক ১/১৩; হাশিয়াতুত তহতাবী
আলাল মারাকী ৪২৮)
অজুর ক্ষেত্রে অজুর অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি
দ্বারা ভেজানো আবশ্যক।
যদি কোনো অংশ না ভিজে, তাহলে অযু, গোসল হবেনা।
আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/10420/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু নখের কিছু অংশে মোম লেগে ছিলো। ফলে আপনার
অযু সহীহ হয়নি। কারণ, মোমের কারণে নখের উপরে পানি পৌছায়নি। সুতরাং প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে এশা ও ফজরের নামাজ কাযা আদায় করবেন।