আসসালামু 'আলাইকুম
না জেনে, না বুঝে পাবলিক ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলাম, তখন দ্বীনের জ্ঞান ছিলো না। এখন আলহামদুলিল্লাহ, সর্বাত্মক দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করি।পর্দা,হিজাব,নিকাব,হাত-পা মোজা।
এখন চাইলেও ভার্সিটি ছাড়তে পারছি না পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে।
শুরু থেকেই ভার্সিটিতে ক্লাসে ভালো করে এসেছি।
মোটামুটি প্রতিটা কোর্সেরই "নোট" করতাম, আর এগুলা বাকী সবাই, খাতা নিয়ে ছবি তুলে সবার মাঝে দিত এবং সেই নোট দিয়ে সবাই পড়ত!
এই কাজটা যখন দ্বীন মানতাম না,তখন থেকে হয়ে আসছে।
তো এই হিসেবে ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে ক্লাসের সবারই একটা আশা থেকে তারা পরীক্ষার আগে আমার থেকে "নোট" নিয়ে পড়বে।
ক্লাসের সামনের দিনগুলোতেও ক্লাসের সবাই আমার কাছে নোট চাইবে। আর আমার নিজের পড়ার জন্য হলেও আমার নোট করতে হয়, নোট করি।
একজন বললো, ক্লাস নোটের আমার(মেয়েদের) হাতের লেখা+ গুছায়ে লেখা দেখেও নাকি ফিতনার সৃষ্টি হতে পারে। আমার এক ছেলে ক্লাসমেট এমনও নাকি বলেছে "**অমুকের** নোট ছাড়া আমি পড়তেই পারি না!"
♦কিন্তু ক্লাসের কোনো ছেলে-মেয়ে নোট চাইলে, আমি কি করবো??
না করে দিবো?? আমি তো নিজের জন্য নোট করি-ই, মিথ্যা তো বলতে পারি না যে আমি নোট করি না!! আর ইসলামের দোহাই দিয়ে "না" বলে দিলে অনেকে ইসলামকে নিয়ে,পর্দাকে নিয়ে কটাক্ষ করতে পারে!
♦ আমার জুনিয়র ছেলে মেয়েরাও নোট চায়, এক্ষেত্রে সহজেই "না" বলে দিতে পারি। এক্ষেত্রে কি "না" বলে দিবো?
♦মেয়ে হয়ে ছেলেদের নোট শেয়ার করলে কি গুনাহ হবে?(ফিতনার আশংকা উড়িয়ে দেওয়া যায় না) নাকি সওয়াব হবে?
♦জুনিয়রদের সহজে "না" বলে দেওয়া যায়। কিন্তু ক্লাসমেটদের কি বলবো?!! এক্ষেত্রে ঠেকাবসত নোট দিলে আমি কি মা'যুর বলে গণ্য হবো?