আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু 'আলাইকুম

না জেনে, না বুঝে পাবলিক ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলাম, তখন দ্বীনের জ্ঞান ছিলো না। এখন আলহামদুলিল্লাহ, সর্বাত্মক দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করি।পর্দা,হিজাব,নিকাব,হাত-পা মোজা।

এখন চাইলেও ভার্সিটি ছাড়তে পারছি না পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে।

শুরু থেকেই ভার্সিটিতে ক্লাসে ভালো করে এসেছি।
মোটামুটি প্রতিটা কোর্সেরই "নোট" করতাম, আর এগুলা বাকী সবাই, খাতা নিয়ে ছবি তুলে সবার মাঝে দিত এবং সেই নোট দিয়ে সবাই পড়ত!
এই কাজটা যখন দ্বীন মানতাম না,তখন থেকে হয়ে আসছে।

তো এই হিসেবে ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে ক্লাসের সবারই একটা আশা থেকে তারা পরীক্ষার আগে আমার থেকে "নোট" নিয়ে  পড়বে।
ক্লাসের সামনের দিনগুলোতেও ক্লাসের সবাই আমার কাছে নোট চাইবে। আর আমার নিজের পড়ার জন্য হলেও আমার নোট করতে হয়, নোট করি।

একজন বললো, ক্লাস নোটের আমার(মেয়েদের) হাতের লেখা+ গুছায়ে লেখা দেখেও নাকি ফিতনার সৃষ্টি হতে পারে। আমার এক ছেলে ক্লাসমেট এমনও নাকি বলেছে "**অমুকের** নোট ছাড়া আমি পড়তেই পারি না!"
♦কিন্তু ক্লাসের কোনো ছেলে-মেয়ে  নোট চাইলে, আমি কি করবো??
না করে দিবো?? আমি তো নিজের জন্য নোট করি-ই, মিথ্যা তো বলতে পারি না যে আমি নোট করি না!! আর ইসলামের দোহাই দিয়ে "না" বলে দিলে অনেকে ইসলামকে নিয়ে,পর্দাকে নিয়ে কটাক্ষ করতে পারে!
♦ আমার জুনিয়র ছেলে মেয়েরাও নোট চায়,  এক্ষেত্রে সহজেই "না"  বলে দিতে পারি। এক্ষেত্রে কি "না" বলে দিবো?

♦মেয়ে হয়ে ছেলেদের নোট শেয়ার করলে কি গুনাহ হবে?(ফিতনার আশংকা উড়িয়ে দেওয়া যায় না) নাকি সওয়াব হবে?

♦জুনিয়রদের সহজে "না" বলে দেওয়া যায়। কিন্তু ক্লাসমেটদের কি বলবো?!! এক্ষেত্রে ঠেকাবসত নোট দিলে আমি কি মা'যুর বলে গণ্য হবো?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/24423/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
জাগতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্বেষণ এবং এ নিয়ে চর্চা করা, মেহনত করা এটাও নেক আমল- আমলে সালেহ হবে তবে শর্ত হলো নিয়ত হতে হবে সহীহ এবং পদ্ধতি হতে হবে সঠিক। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوٰى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُوْلِه فَهِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُولِه وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ اِلٰى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهٗ إِلٰى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ 
‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিয়্যাতের উপরই কাজের ফলাফল নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী ফল পাবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করবে, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্যই গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার স্বার্থপ্রাপ্তির জন্য অথবা কোন মহিলাকে বিবাহের জন্য হিজরত করবে সে হিজরত তার নিয়্যাত অনুসারেই হবে যে নিয়্যাতে সে হিজরত করেছে।
বুখারী ১, মুসলিম ১৯০৭, তিরমিযী ১৬৩৭, নাসায়ী ৭৫, আবূ দাঊদ ২২০১, ইবনু মাজাহ্ ৪২২৭, আহমাদ ১৬৯, ৩০২।

বিস্তারিত জানুনঃ   

সুতরাং যে ব্যাক্তি আপনার তৈরী নোট পড়ে একাডেমিক এ ভালো রেজাল্ট করেছে,উপকৃত হয়েছে,তার লেখাপড়ার ক্ষেত্রে নিয়ত যদি ছহীহ হয়,তাহলে আপনি ছওয়াব পাবেন।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!  
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ছেলেদের সাথে নোট শেয়ার৷ করার ক্ষেত্রে মূল কথা হলো, ফিতনার আশংকা আছে কিনা,সেটি দেখা।

আপনি যেকোনো ছাত্রীর সাথে নোট শেয়ার করতে পারবেন।
কোনো ছাত্র আপনার নোট নিত চাইলে সেক্ষেত্রে৷ ফিতনার আশংকা থাকলে আপনি দিবেননা।

আর যদি ফিতনার আশংকা না দেখেন,তাহলে তাকে নোট দিতে পারবেন।
এতে আপনার গুনাহ হবেনা।
এক্ষেত্রে উক্ত ছাত্র/ছাত্রীর লেখাপড়ার নিয়ত যদি ছহীহ হয়,আর আপনিও যদি ছওয়াবের নিয়তে নোট প্রদান করেন, তাহলে আপনিও ছওয়াব পাবেন,ইনশাআল্লাহ ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...