আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (101 points)
আসসালামুআলাইকুম,

হুজুর আমার মনে একটা প্রশ্ন জেগেছে যে, সাহাবায়ে কেরামের যুগে ,তাবেঈনদের যুগে ,তাবে-তাবেঈনদের যুগে যে পরিমাণ ফিতনাহ ছিল,তার চেয়ে বেশি পরিমাণ ফিতনাহ কি আমাদের বর্তমান যুগে বিদ্যমান?

আর উম্মতে মুহাম্মদীর মধ্যে সাহাবায়ে কেরামের চেয়ে অধিক মর্যাদাবান কি কেউ হতে পারে আল্লাহর কাছে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَن عِمْرَانَ بنِ الحُصَيْنِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا عَنِ النَّبِيِّ ﷺ أنّه قَالَ خَيْرُكُمْ قَرْنِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ قَالَ عِمْرَانُ : فَمَا أدْري قَالَ النَّبِيُّ ﷺ مَرَّتَيْنِ أَو ثَلاَثاً ثُمَّ يَكُوْنُ بَعْدَهُمْ قَوْمٌ يَشْهَدُونَ وَلاَ يُسْتَشْهَدُونَ وَيَخُونُونَ وَلاَ يُؤْتَمَنُونَ وَيَنْذِرُونَ وَلاَ يُوفُونَ وَيَظْهَرُ فِيهمُ السَّمَنُ متفقٌ عَلَيْهِ

ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম যুগ হল আমার (সাহাবীদের) যুগ। অতঃপর তৎপরবর্তী (তাবেয়ীদের) যুগ। অতঃপর তৎপরবর্তী (তাবে-তাবেয়ীনদের) যুগ। ইমরান (রাঃ) বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর যুগের পর উত্তম যুগ হিসাবে দুই যুগ উল্লেখ করেছেন, না তিন যুগ তা আমার জানা (স্মরণ) নেই। অতঃপর তোমাদের পর এমন এমন কিছু লোকের আবির্ভাব ঘটবে, যারা সাক্ষ্য দেবে অথচ তাদেরকে সাক্ষী মানা হবে না। তারা খেয়ানত করবে এবং তাদের নিকট আমানত রাখা যাবে না। তারা আল্লাহর নামে মানত করবে কিন্তু তা পুরা করবে না। আর তাদের দেহে স্থূলত্ব প্রকাশ পাবে।
(বুখারী ২৬৫১, মুসলিম ৬৬৩৮)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
আপনার প্রশ্নটি সঠিক।
তাদের যুগের চেয়েও বেশি পরিমাণ ফিতনাহ আমাদের বর্তমান যুগে বিদ্যমান।
,
(০২)
উম্মতে মুহাম্মদীর মধ্যে আল্লাহর কাছে সাহাবায়ে কেরামের চেয়ে অধিক মর্যাদাবান কেউ হতে পারবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

إن الله اختار أصحابي على العالمين سوى النبيين والمرسلين ، واختار لي من أصحابي أربعة – يعني : أبا بكر وعمر وعثمان وعليا – رحمهم الله – فجعلهم أصحابي . وقال : في أصحابي كلهم خير ، واختار أمتي على الأمم…».

‘আমার ছাহাবীদেরকে আল্লাহ নবী-রাসূলদের পর সারা জাহানের ওপর নির্বাচিত করেছেন। আর আমার ছাহাবীদের মধ্যে আমার জন্য চারজনকে নির্বাচিত করেছেন : আবু বকর, উমর, উসমান ও আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)। তিনি আরও বলেছেন, আমার ছাহাবীদের সবার কাছেই রয়েছে কল্যাণ। আর [আল্লাহ তা‘আলা] আমার উম্মতকে সকল উম্মতের মধ্য থেকে নির্বাচিত করেছেন।’ [মুসনাদ বাযযার : ২৭৬৩]

★তবে উম্মতে মুহাম্মদির মধ্যে যারা পরবর্তীতে এসেছেন,আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্যেও অনেক ফজিলত রেখেছেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
طُوبَى لِمَنْ رَآنِي وَآمَنَ بِي ، وَطُوبَى لِمَنْ آمَنَ بِي وَلَمْ يَرَنِي سَبْعَ مِرَارٍ.

‘সুসংবাদ ওই ব্যক্তির জন্য যে আমাকে দেখেছে এবং আমার প্রতি ঈমান এনেছে। আর সুসংবাদ ওই ব্যক্তির জন্য যে আমার প্রতি ঈমান এনেছে অথচ আমাকে দেখেনি।’ এ কথা তিনি সাতবার বললেন। [মুসনাদ আহমাদ : ২২৪৮৯]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...