আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম,

শায়েখ অনেক বড় প্রশ্ন। আপনাদের কষ্ট হবে জানি। দ্বীনের খেতমতের জন্য যদি একটু মনোযোগ সহকারে পড়ে উত্তর দেন খুশি হবে। জাযাকাল্লাহ খইরন।

আমি গোসলের আগে প্রস্রাব করে লিঙ্গ ধৌত করিনা। কমোড থেকে উঠে সরাসরি গোসলে চলে যায়। গোসল যেভাবে করি। প্রথমে শরীরে একমগ পানি দেই। তারপর উপর থেকে শুরু করে সারা গায়ে সাবান মাখি। তারপর দুহাত ধুয়ে নিই। (যেহেতু লজ্জাস্থানের হাত থেকে নাপাকি লেগেছে।) তারপর কুলি করি, নাকে পানি দিই।(কোনোদিন কুলি নাকি পানি দিতে ভুলে যায়) তারপর মাথায় পানি দিই। এরপর কাঁধে, বুকে পিঠে পানি দি। তারপর নিচের দিকে দৌত করতে যাই। কিন্তু হাদিস আছে প্রথমে লজ্জাস্থান ধুয়ে গোসল শুরু করার কথা বলা আছে। আমি সেভাবে করতে পারিনা, কারন আগে লজ্জাস্থান ধুলে  উপরের শরীরের সাবান মাখার পানি আবার লজ্জাস্থানে, পাচাই গিয়ে পড়ে। তাই শেষে লজ্জাস্থান ধুই। সবশেষে দুই হাতের কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নেই। দুহাতে গোসল চলতে চলতে কনুই পর্যন্ত পানি দেয়া হয়না। হয়তো শরীরে বা মাথায় পানি ডালতে গিয়ে কনুই পর্যন্ত ধোয়া হয়ে যায়। কিন্তু সন্দেহর কারনে পরে ধুয়ে নি।

এখন প্রশ্ন, ১/এভাবে গোসল করলে কি আবার আলাদা করে অযু করা লাগবে?

২/যদি কুলি বা নাকি পানি দিতে ভুলে গিয়ে পরে সেগুলো করি, কনুই পর্যন্ত ধুই নি। আলাদা করে অযু করা লাগবে?

এরমধ্যে সমস্যা হচ্ছে, অনেক সময় গোসলের মাঝখানে, কোনো সময় শেষে, সন্দেহ হয় লিঙ্গ থেকে কিছু বের হচ্ছে।

প্রশ্ন ৩/ যদি সন্দেহ হয় গোসলের মাঝখানে বা শেষে লিঙ্গ থেকে কিছু বের হচ্ছে। এতে কি অযু বাতিল হবে? অর্থাৃৎ গোসল শেষে আলাদা করে অযু করা লাগবে? ৩/ক, নাকি সন্দেহকে পাত্তা দিবোনা? যেহেতু নিশ্চয়তা সন্দেহ দ্বারা বাতিল হয় না।

৪/ যদি গোসলের মাঝখানে লিঙ্গ থেকে কিছু বের হচ্ছে নিশ্চিত হদে পারি, আর এতে যদি লিঙ্গ ধুয়ে নিই(গোসলের মাঝখানে, শরীর আগে ধোঁয়া হয়ে গেছে), এবং বাকি গোসল শেষ করি। তাহলে কি আবার গোসল শেষে অযু লাগবে?

৫/সর্বশেষ প্রশ্ন, এভাবে প্রশ্ন ১,২, ৩, ৪এর মত ফরয গোসল করলে কি অযু করা লাগবে?

বিশেষ প্রশ্ন- আপনাদের ওয়েবসাইটে প্রশ্নোউত্তরে লাইটের মত একটা অপশনে চাপ দিলে প্রশ্ন ব্লার হয়। সেই প্রশ্নউত্তর গুলো কি আপনারা দেখেন? অডিয়েন্স দেখে?

1 Answer

0 votes
by (587,340 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
গোসলের ফরয ১১টি।
(১) মুখ ধৌত করা।
(২) নাক ধৌত করা।
(৩) সমস্ত শরীর একবার ধৌত করা।
গোসলের ফরয সাধারনত এ তিনটিই। কেননা সমস্ত শরীরের মধ্যে পরবর্তী সবগুলাই ঢুকে গেছে।কিন্ত বিশেষ গুরুত্বের ধরুণ কোনো কোনো কিতাবে পৃথক পৃথক করে গননা করা হয়।
(৪) খতনাবিহীন ব্যক্তির পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া যদি খুলতে কষ্ট হয়,তবে তার ভেতরাংশ ধৌত করা।
(৫) নাভি ধৌত করা।
(৬) শরীরের এরূপ ছিদ্রে পানি পৌঁছানো, যা বুঁজে যায়নি।
(৭) পুরুষের চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো, এতে চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছা বা না পৌঁছার কোন শর্ত নেই।তবে মহিলার চুলের গোড়ায় যদি পানি পৌঁছে, তাহলে মহিলার চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো ফরয নয়।
(৮) দাড়ির ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(৯) গোঁফের ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১০) ভ্রুর ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১১) যোনি মুখবরনের বহিরাংশ ধৌত করা।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/229

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বর্ণনা অস্পষ্ট।আপনি মূলতে কি বুঝাতে চাচ্ছেন? পরিপূর্ণ ভাবে সেই বিষয়টা বুঝতে আমরা প্রায়ই অক্ষম হয়ে পড়েছি।যাইহোক,

(১)
আপনি যেভাবে বর্ণনা করেছেন, সেভাবে গোসল না করে বরং সুন্নাহতে বর্ণিত পদ্ধতিতে গোসল করে নিবেন। অর্থাৎ গোসলের পূর্বে লজ্জাস্থান ইত্যাদিকে ধৌত করে নিবেন।
মনে রাখবেন, গোসলের ফরয সমূহকে আদায় করে নিলে গোসল আদায় হয়ে যায়। সুন্নত আদায় না হলেও পবিত্রতা অর্জনে কোনো সমস্যা হবে না।

(২)
যদি কুলি বা নাকি পানি দিতে কেউ ভুলে যায়,এবং শরীরের শুকানোর পর সেগুলো ধৌত করা হয়, তাহলে ফরয গোসল হবে না। আর শরীর শুকানোর পূর্বে ধৌত করে নিলে ফরয গোসল হয়ে যাবে।

(৩)
যদি সন্দেহ হয় গোসলের মাঝখানে বা শেষে লিঙ্গ থেকে কিছু বের হচ্ছে। তাহলে এতেকরে অযু/গোসল বাতিল হয়ে যাবে।

(৪)
যদি গোসলের মাঝখানে লিঙ্গ থেকে কিছু বের হচ্ছে নিশ্চিত হওয়া যায়। তাহলে নতুন করে প্রথম থেকে গোসল করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (587,340 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...