আসসালামুআলাইকুম,
শায়েখ অনেক বড় প্রশ্ন। আপনাদের কষ্ট হবে জানি। দ্বীনের খেতমতের জন্য যদি একটু মনোযোগ সহকারে পড়ে উত্তর দেন খুশি হবে। জাযাকাল্লাহ খইরন।
আমি গোসলের আগে প্রস্রাব করে লিঙ্গ ধৌত করিনা। কমোড থেকে উঠে সরাসরি গোসলে চলে যায়। গোসল যেভাবে করি। প্রথমে শরীরে একমগ পানি দেই। তারপর উপর থেকে শুরু করে সারা গায়ে সাবান মাখি। তারপর দুহাত ধুয়ে নিই। (যেহেতু লজ্জাস্থানের হাত থেকে নাপাকি লেগেছে।) তারপর কুলি করি, নাকে পানি দিই।(কোনোদিন কুলি নাকি পানি দিতে ভুলে যায়) তারপর মাথায় পানি দিই। এরপর কাঁধে, বুকে পিঠে পানি দি। তারপর নিচের দিকে দৌত করতে যাই। কিন্তু হাদিস আছে প্রথমে লজ্জাস্থান ধুয়ে গোসল শুরু করার কথা বলা আছে। আমি সেভাবে করতে পারিনা, কারন আগে লজ্জাস্থান ধুলে উপরের শরীরের সাবান মাখার পানি আবার লজ্জাস্থানে, পাচাই গিয়ে পড়ে। তাই শেষে লজ্জাস্থান ধুই। সবশেষে দুই হাতের কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নেই। দুহাতে গোসল চলতে চলতে কনুই পর্যন্ত পানি দেয়া হয়না। হয়তো শরীরে বা মাথায় পানি ডালতে গিয়ে কনুই পর্যন্ত ধোয়া হয়ে যায়। কিন্তু সন্দেহর কারনে পরে ধুয়ে নি।
এখন প্রশ্ন, ১/এভাবে গোসল করলে কি আবার আলাদা করে অযু করা লাগবে?
২/যদি কুলি বা নাকি পানি দিতে ভুলে গিয়ে পরে সেগুলো করি, কনুই পর্যন্ত ধুই নি। আলাদা করে অযু করা লাগবে?
এরমধ্যে সমস্যা হচ্ছে, অনেক সময় গোসলের মাঝখানে, কোনো সময় শেষে, সন্দেহ হয় লিঙ্গ থেকে কিছু বের হচ্ছে।
প্রশ্ন ৩/ যদি সন্দেহ হয় গোসলের মাঝখানে বা শেষে লিঙ্গ থেকে কিছু বের হচ্ছে। এতে কি অযু বাতিল হবে? অর্থাৃৎ গোসল শেষে আলাদা করে অযু করা লাগবে? ৩/ক, নাকি সন্দেহকে পাত্তা দিবোনা? যেহেতু নিশ্চয়তা সন্দেহ দ্বারা বাতিল হয় না।
৪/ যদি গোসলের মাঝখানে লিঙ্গ থেকে কিছু বের হচ্ছে নিশ্চিত হদে পারি, আর এতে যদি লিঙ্গ ধুয়ে নিই(গোসলের মাঝখানে, শরীর আগে ধোঁয়া হয়ে গেছে), এবং বাকি গোসল শেষ করি। তাহলে কি আবার গোসল শেষে অযু লাগবে?
৫/সর্বশেষ প্রশ্ন, এভাবে প্রশ্ন ১,২, ৩, ৪এর মত ফরয গোসল করলে কি অযু করা লাগবে?
বিশেষ প্রশ্ন- আপনাদের ওয়েবসাইটে প্রশ্নোউত্তরে লাইটের মত একটা অপশনে চাপ দিলে প্রশ্ন ব্লার হয়। সেই প্রশ্নউত্তর গুলো কি আপনারা দেখেন? অডিয়েন্স দেখে?