ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আমার হাজবেন্ড আমাকে যাও, বাবার বাড়ি যাও এসব বলে।তাই আমি একদিন ওকে বলি ওই যাও তালা** এর নিয়ত এ বলেছে কিনা? তার উত্তরে ও আমাকে বলে না। আমি এসব প্রশ্ন করায় ও আমার উপর রেগে যায় ও বলে যাও যাও যাও এখান থেকে। আমি যখন প্রশ্ন করি যে এখানে ওর নিয়ত কি ছিল ও বলছে অন্য রুমে যেতে বলছে এবং ঐ নিয়ত ছিল না।হুজুর এখানে এটি তালা*** এর মুযাকারা বা মজলিস বলে গন্য হবে না।কেননা স্বামী তালাককে অগ্রাহ্য করছে।
(২)
আমার হাজবেন্ড কখনো আমাকে তালা*** দিয়েছে কিনা এ নিয়ে আলোচনা করছিলাম আমি আর আমার হাজবেন্ড। তালা*** নিয়ে যে ওয়াসওয়াসা তা জেনে আমার হাজবেন্ড আমার উপর রাগ করে এবং আমার কারনএ কষ্ট পায়। আমি তখন বৌাগ গুছিয়ে ওকে বলি আমি বাবার বাড়ি যাচ্ছি।তুমি আমাকে টিকিট কেটে দাও। কাদতে কাদতে মনে মনে বলি যে আমি চলে যাচ্ছি তুমি ডিভোর্স লেটার পাঠায়ে দিও কিন্তু আমি মুখে এই কথা একবারও বলিনি শুধুই মনে মনে বলেছি।তখন ও বলে যাবা তো যাও আর নিজে টিকিট কেটে নাও। তখন ঐ যাও যে আমার হাজবেন্ড বলেছে তাও তালা** কের নিয়ত ছাড়া।ও জানতো না আমি কোন নিয়তে চলে যাওয়ার কথা বলেছি। আমি একবারও আমার নিয়ত ওকে বলিনি এবং সরাসরি তা*** চাই ও নি।
এটাও তালা** এর মুযাকারা বা মজলিশ বলে গণ্য হবে না।
(৩)
তালাকের অধিকার নেই এমন কেউ শরটতসাপেক্ষ তালা*** ও কেনায়া তালা***নিতে পারবে না।
(৪)
কেউ যদি বলে ওমূক কাজ করলে আমার হাজবেন্ড আমাকে তালা*** দেবে।কিন্তু হাজবেন্ডকে সেই শর্ত সম্পর্কে বলেন না এবং সাজবেন্ড জানেনও না।আবার সেই স্ত্রীর তালা*** এর অধিকারও নেই।তখন স্ত্রী যদি শর্ত ভাঙে তখন হাজবেন্ড এর তরফ থেকে তালা*** হবে না।
(৫)
স্ত্রী যদি হাজবেন্ড কে বাপ বলে সম্পর্ক হারাম করার নিয়তে কিন্তু স্ত্রীর তালা***এর অধিকার নেই তখনও স্ত্রী তা*** হবে না।
(৬)
আমি যদি আমার হাজবেন্ড কে বলি যে তুমি কি চাও আমি চলে যাই বা আমি কি চলে যাব এবং আমি কোন নিয়তে চলে যেতে চাইছি তা না বুঝে আমার হাজবেন্ড তা*** নিয়ত ছাড়া বলে যে যাও।অর্থাৎ তোমার বাবার বাড়ি যাও তাহলে তা তা** এর মজলিশ বলে গণ্য হবে না।
আমি কোন নিয়তে চলে যাব কিনা জানতে চাইছি তা যদি বুঝতে পারে তাহলেও মজলিশ হবে না।