ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
□ পশু-পাখিকে নিয়মিত
খাবার - পানি ও চিকিৎসা দিয়ে খাচায় বন্দী করে সুন্দরভাবে পরিচর্যা করে লালন-পালন করা
জায়েয। কিন্তু এক্ষেত্রে যথাযথ পরিচর্যা করতে হবে। পরিচর্যা করতে না পারলে অথবা বন্দি
করে রাখার কারণে কষ্ট পেলে খাচায় আটকে রাখা জায়েয হবে না। বরং ছেড়ে দিতে হবে। ( রদ্দুল
মুহতার ৬/৪০১)
কিছু সাহাবী থেকে খাচায় পাখি লালন-পালন করা প্রমাণিত রয়েছে। হযরত হিশাম ইবনে উরওয়া
রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كَانَ ابْنُ الزّبَيْرِ بِمَكّةَ
وَأَصْحَابُ النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَحْمِلُونَ الطّيْرَ فِي
الْأَقْفَاصِ.
আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রা. মক্কায় ছিলেন। তখন সাহাবীগণ খাচায় পাখি রাখতেন। (আল
আদাবুল মুফরাদ, হাদীস ৩৮৩)
□ হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। সাহাবায়ে কেরাম
রাঃ রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করেন-
قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ،
وَإِنَّ لَنَا فِي البَهَائِمِ أَجْرًا؟ قَالَ: «فِي كُلِّ كَبِدٍ رَطْبَةٍ أَجْرٌ
হে আল্লাহর রাসূল! জীব জন্তুর জন্যও কি আমাদের পুরস্কার আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, প্রত্যেক দয়ার্দ্র হৃদয়ের অধিকারীদের জন্য পুরস্কার
আছে। {বুখারী, হাদীস নং-২৩৬৩}
আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/51979/
নিয়মিত খাবার - পানি ও চিকিৎসা দিয়ে সুন্দরভাবে পরিচর্যার মাধ্যমে বিড়াল পোষা জায়েজ
এবং বিড়ালকে টাকা-পয়সা দিয়ে খাবার কিনে খাওয়ালেও সওয়াব হবে ইনশাআল্লাহ। তাই প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে আপনার জন্য বিড়াল পোষা জায়েজ এবং বিড়ালকে নিয়মিত খাবার খাওয়ানোর কারণে আপনি
সওয়াবও পাবেন ইনশাআল্লাহ। তবে যদি আপনার বিড়াল
প্রতিবেশীদের কোনো ক্ষতি করতে থাকে। ফলে প্রতিবেশীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়বে, তাই এই ছুরতে আপনার জন্য করনীয় হবে সেই বিড়ালকে
অন্য এলাকায় ছেড়ে আসা। অথবা বড় খাচার মধ্যে বন্দি করে রাখা এবং নিয়মিত খাবার-পানি দেওয়া।
একান্ত কখনও ছেড়ে দিলে তার দিকে দৃষ্টি রাখা। যাতে করে অন্যের কোনো ক্ষতি করতে না পারে।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বিড়ালকে দূরে কোথাও ছেড়ে আসার দ্বারা আপনার কোনো
গোনাহ হবে না।
২. না, এতে আপনার কোনো দায় বদ্ধতা থাকবে না।
৩. বিনা প্রয়োজনে বিড়ালকে খাসি বানানো যাবে না, জায়েয হবে না।
বিড়ালটিকে আপনি তাড়িয়ে দিতে পারেন। তাকে ঘরে লালন পালন করার জন্য তো কেউ আপনাকে চাপ
দিচ্ছে না। তাকে তার উপর ছেড়ে দিন। তার রিযিকের ব্যবস্থা আল্লাহ করবেন।
তাকে বাহিরে ছেড়ে দিলে সে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেনা,যার ফলে মারা
যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই অজুহাতে তাজে নিউটির করানোর অনুমতি নেই।
আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/37632/