ফেসবুকের রিলেশন স্টাটাস ডিভোর্সের করে দিলে তালাক হবে?

Question

আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

কেউ মানে কোন বিবাহিত পুরুষ যদি ফেসবুকের রিলেশন স্টাটাস ডিভোর্স করে দেয় তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে? জেনে শুনে রাগে করে দিলে? মানে স্ত্রীর সাথে রাগ করে করে দিলে?

এই প্রশ্নটার উত্তরে আপনি বলেছিলেন তালাক হবে না

১।কোন স্ত্রী যদি স্বামীকে মাসআলা বুঝায়,যে সেভাবে বলে কোনদিন ফেসবুকের রিলেশন স্টাটাস ডিভোর্সের করে দিয়েন না।করলে মানে তালাক হয়ে যায় ইসলামি শরীয়তে। এটা ফতোয়া এভাবে বললে মাসআলা বুঝায় যে এভাবে।

তবু পরে যদি স্বামী রাগ করে ওটা পাল্টায়ে ডিভোর্সের করে দেয় তাহলে কি তালাক হবে নাকি তখন ও হবে না? মানে রাগ করে করলে আর কি স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে করলে আর কি।

Answer 1

জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم 

তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)

সারমর্মঃ  

সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

আরো জানুনঃ- 

https://ifatwa.info/44865/

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও স্বামী ফেসবুকের রিলেশন স্টাটাস ডিভোর্সের করে দিলে তালাক হবেনা।

Comments

১।আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। ধরেন স্বামী আর স্ত্রী দূরে থাকে।স্ত্রী এখনো বাবার বাড়িতে থাকে নামিয়ে নেয় নি।তহ স্বামীর সাথে কথা বলা শেষ করে ঘুমাবে বলে স্ত্রী ফেসবুক দেখতেছে। ফোনে কথা বলেছিল আর কি স্বামীর সাথে।তহ সেখানে একটা ভিড়িও দেখছে যে যেটার গল্প হচ্ছে মেয়ে একটার সাথে দেবরের খারাপ সম্পর্ক মানে যেনার।তহ সেটা দেখে স্ত্রীর ভয় লাগছে কারন স্ত্রী দূরে থাকে আর স্বামীর ও ভাবি আছে।স্ত্রী মেসেজ দেয় আপনি আপনার ভাবির সাথে এত কি কথা বলেন যে? কিসের এত কথা? প্রায় ১.৩০ রাতে স্বামী অনেক্ষন পর স্বামীর ঘুম ভান্গে আর বলে কি বলতেছ এত রাতে এসব? এখনো ঘুমাও নি? স্বামীর ও আবার সন্দেহ হয়েছে স্ত্রীকে আর বলতেছে কোনদিন যদি এমন কিছু  দেখি আমি আগে তুমাকে মেরে ফেলব তারপর আমি মরে যাব। তারপর স্বামী বলতেছে ভিড়িও কোনটা,দেখছ যে দেখি?  স্ত্রী দিছে।ওটা স্বামী দেখতেছে।তখন স্ত্রী বলতেছে আমাকে ছেড়ে দিয়েন না প্লিজ। আল্লাহর কসম আমি আপনাকে কোনদিন ঠকায় নি।কলমা পরেও বলেছে ঠকায় নাই স্ত্রী। তহ স্বামী বলতেছে সব নাটক এগুলো কেন দেখ? এগুলো রিয়েল লাইফের সাথে মেলালে শেষ।স্বামী মনে হয় নাটক ওটা দেখে এসব বলেছে।স্ত্রী আবার বলে আমাকে ছেড়ে দিয়েন না।স্বামী একটু রোমান্টিক একটা কথা বলে যেটার দ্বারা স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা বুঝিয়েছে।তহ স্ত্রী বলে কি শেষ বলছেন যে।স্বামী বলে এই তহ আমি ঘুমাইছি শান্তির ঘুম আর তুমি নাটক দেখে অশান্তির কান্না করতেছ।স্ত্রী একফোটা তালাক চায় নি।আর মেসেজে কথা হচ্ছিল।তহ স্বামীর কোন কথা দ্বারা কি তালাক হবে?

২।কেউ যদি কলমা লাই লাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রসুলুল্লাহ বলে মিথ্যা শপথ করে তাহলে কি ঈমান চলে যাবে?

৩।উপরের ১ নং প্রশ্নে   স্ত্রী শপথ করেও মিথ্যা বলে নি।তার সাথে কোন ছেলের তেমন সম্পর্ক নাই।তবে মাঝে মাঝে কথা বলার সময় বন্ধু বা কোন ছেলের প্রতি তেমন মনে খারাপ চিন্তা আসলে কোন ছেলের প্রতি তাহলে কি ওটার দ্বারা শপথটা মিথ্যা হবে?তার সাথে কারো সম্পর্ক নাই।সে স্বামীকে খুব ভালবাসে।

৪।স্বামীকে কি আর নিয়ত জিগ্যেস করতে হবে?মেয়েটার স্বামী এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে রেগে যায়।আর কি জিগ্যেস করা উচিত হবে?

---

(০১)

তালাক হবেনা।

(০২)

না,ঈমান চলে যাবেনা।

(০৩)

না,মিথ্যা শপথ হবেনা।

(০৪)

না,নিয়ত জিজ্ঞাসা করতে হবেনা।