আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
95 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (67 points)
edited by

১. সুরা ত্বীনের আয়াত ১-৪ যেখানে আল্লাহ তা'লা, ত্বীন,যাইতুন,সিনাই পর্বত,ও নিরাপদ শহরের শপথ নিয়ে বলেছেন,  তিনি মানুষকে উত্তম গঠনে তৈরি করেছেন। এই আয়াত উপরে লিখে, একজন প্রফেসর একটি গবেষনা প্রকাশ করেছেন।যেখানে তিনি দেখাতে চেয়েছেন মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশ উপরে আল্লাহর  শপথকৃত ওই ফল,পর্বত এবং নগরীর আকৃতির ন্যায়। এবং মানুষের শরীর শুয়ে থাকলে নবী (সঃ) এর নামের ন্যায়, হাত  আরবিতে "আল্লাহ " লেখার ন্যায় ইত্যাদি।  এইসব দেখে অনেকে হাসাহাসি করছেন?  শেয়ার করছেন, কেও উনাকে নিয়ে কটুক্তি করছেন, অনেকে বলছেন উনার কাজো আমাদের ধর্মকে নিয়া অনেকে হাসাহাসি করবে। উনার এই কাজকে আমরা কি ভাবে বিবেচনা করতে পারি, যারা হাসি তামাশা  করছেন উনাদের দ্বারা গুনাহ বা কুফর হচ্ছে কি ?

(ছবি লিংকঃ  https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid0bgMoDUhWKDoQNVKWL342M2pgtcigVFF5gRUQxhafzzBS1xpi1oDmxND3PtZXp1e1l&id=100030270374038 )
২. অনেকে বিভিন্ন এডিট করা ছবি বা কিছু লিখে ফেসবুকে, লাইক কমেন্ট পাওয়ার জন্য, লিখতো আমিন/আলহামদুলিল্লাহ /মাশাআল্লাহ  না লিখে যাবেন না। কেও যদি ওই সব মানুষদের পচানোর উদ্দেশ্যে, ইয়ার্কি করে কোনো  ভালো/খারাপ পোস্ট বা কিছু লিখে, বলে, কেও আমিন না লিখে যাবেন না,।  এতে কি কুফর হবে?
৩. কেও মাসআলা জানার জন্য, বা কোনো তথ্যা খোজার জন্য  কুফরি কথা লিখে গুগলে সার্চ  করে। এতে কি কুফর হবে?আমি সার্চ হিস্ট্রি তে দেখলাম,"জন্মদিন উদযপন হালাল"  এরকম একটা কিছু লিখে সার্চ করা। এতে কি আমার কুফর হয়েছে?
৪.আল্লাহ কে  ইশ্বর বললে কি গুনাহ বা কুফর হবে?

৫. কেও একজন প্রতিদিন রাতে কলিমা তৈয়িবা পড়ি, এতে কি তার ইমান নবায়ন হয়ে যাবে? অনেক বছর থেকেই পরছে? তার বিয়ের অনেক পূর্বে এমন যদি কিছু পাওয়া যায় যা তার ইমানের জন্য ক্ষতিকর তার কি বিবাহ দুহরাতে হবে? সে প্রতি রাতে কলিমা করেই ঘুমায়।

৬.জন্মদিন পালন ও এই উপলক্ষে খাওয়া খাবার এই দুই জিনিস হালাল মনেমকরলে কি কুফর হবে?

৭. অনেক সময় গোসল ফরজ অবস্থায়,মোবাইল চালানোর সময় স্কিনে কোরআনের আয়াত চলে আসে, স্পর্শ লেগে যায়। আল্লাহ নাম আসে, নামের লেখার  উপর স্পর্শ পরে যায়। কখনো ইচ্ছেকৃত ও বিভিন্ন মাসায়েল খোজার সময় জুনুব অবস্থায় কোরআনের আয়াত, হাদীস এইসবে স্পর্শ লাগে। বাথরুমে ও মোবাইল চালানোর সময় কোরআনের আয়াত চলে আসে, এই দুই ধরনের কাজ গুনাহ জানি, তবে এই দুই ধরনের কাজে কুফর ও হবে কি? ( অসম্মান করার নিয়ত থাকে না)

৮. কেও যদি নিজেকে মজা করে শয়তান বলে, এতে কি সে কাফের হবে? বাচ্চারা দুষ্টামি করলে তো আমরা বলি ওই ছেলে/মেয়ে খুব শয়তান। এইটা কি ঠিক?

৯. ""হে আল্লাহ, আমার ইমান গেলে গিয়া ফিরাইয়া দিয়েন"এভাবে দোয়া করলে সমস্যা নেঔ তো?

1 Answer

+1 vote
by (682,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
কুরআনের আয়াত,হাদীস,আল্লাহ,রাসুলুল্লাহ সাঃ,শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

আরো জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কেউ কুরবানী আয়াতটিকে নিয়ে হাসি ঠাট্রা করছেনা,তাই এতে কাহারো ঈমান চলে যাবেনা।
তবে লেখকের এধরনের পোস্ট করা উচিত হয়নি।
এধরনের কথা শরীয়ত সমর্থিত নয়।

(০২)
এতে কুফর হবেনা।

(০৩)
এতে কুফর হবেনা।
তবে সার্চ দেয়ার সময় সতর্কতা মূলক প্রশ্নবোধক চিন্হ লিখবে।

(০৪)
এতে কুফর হবেনা।
তবে বিধর্মীদের কথার সাথে সাদৃশ্যতা চলে আসে,তাই ইসলাম এর অনুমোদন দেয়না।

(০৫)
তার ঈমান চলে গিয়ে থাকলে ঈমান নবায়ন হবে।

তার ঈমান চলে যাওয়া যেহেতু নিশ্চিত নয়,তাই তার বিবাহের সমস্যা হবেনা।

(০৬)
না,এতে কুফর হবেনা।

(০৭)
এতে কুফর হবেনা।
তনে গুনাহ হবে,তাই তওবা আবশ্যক হবে 

(০৮)
এতে সে কাফের হবেনা।
এভাবে কাউকে বলা গালি দেয়ার নামান্তর, এভাবে কাউকে গালি দেয়া জায়েজ নেই।

(০৯)
এভাবে দোয়া করলে তার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।

(তবে ঈমান চলে গেলে স্রেফ দোয়া করার দরুন ঈমান ফিরে আসবেনা। এক্ষেত্রে আল্লাহ চাহেন তো ঈমান ফিরে আসার তওফিক হবে,ইনশাআল্লাহ।) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...