ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
আপনি আপনার আব্বু আম্মুর অনুমতি ছাড়া ইসলাম প্রচার করতে পারবেন।
এতে সমস্যা নেই।
(০২)
এই ব্যাপারে আপনার বাবার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলা জায়েয হয়নি।
আপনার বাবা অনুমতি না দিলে এগুলো ডিলিট করতে হবে।
তবে আপনার জন্য এটি বিশেষ প্রয়োজনীয় হলে ডিলিট না করলেও গুনাহ হবেনা।
(০৩)
সে আগে কাজা নামাজ আদায় করবে।
তারপর জামায়াতে শরীক হতে পারলে শরিক হবে,অন্যথায় একাকী নামাজ আদায় করবে।
তবুও আগে তাকে কাজা নামাজই আদায় করতে হবে।
(০৪)
গজল,শে'র এর মধ্যে এসব বাক্য সাধারণত বলা হয়েই থাকে।
এখানে কাউকে আত্মহত্যা প্রচরণা দেয়া হয়নি।
উম্মাহকে ঈমানের বলে বলিয়ান হওয়ার জন্য গজলের মধ্যে উক্ত কথা বলা হয়েছে।
এটি শরীয়ত সম্মত, এতে কোনো সমস্যা নেই।
(০৫)
এতে সমাজে বিশৃংখলা তৈরী হবে,তাই আওয়ামদের জন্য এভাবে বলা সমীচীন হবেনা।
(০৬)
ক্লাসে দুষ্টুমি করা অপ্রয়োজনীয় কথা বলা জায়েয।
তবে অপ্রয়োজনীয় কথা/কাজ মুমিনদের জন্য পরিহার করাই উত্তম।
কোরআনে কারীমে মু'মিনদের উত্তম ও প্রশংসনীয় গুনাবলীর আলোচনা করতে যেয়ে বলা হয়,
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢْ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣُﻌْﺮِﺿُﻮﻥَ
যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত।(মু'মিনুন-৩)
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﻛِﺮَﺍﻣًﺎ
এবং যখন অসার ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়।
(ফুরকান-৭৩)
(০৭)
যেসব মাসয়ালা জানা তার জন্য ফরজ/ওয়াজিব, সেসব মাসয়ালা না জানলে গুনাহ হবে।
(০৮)
নামাজে মনে মনে বাংলা কথা চিন্তা করলে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে একাকী নামাজ আদায় কালে তিন তাসবিহ পরিমান কোনোভাবেই চুপ থাকা যাবেনা।
(০৯)
নামাজে তাসবিহ দোয়া সূরা গুলোর বাংলা অর্থ মনে মনে কল্পনা করা যাবে।
(১০)
এতে নামাজের সমস্যা হবেনা।
(১১)
তওবা না করলে গুণাহটি লিপিবদ্ধ হবে।
(১২)
হ্যাঁ ছওয়াব হবে।
(১৩)
হ্যাঁ, ছওয়াব হয়।
(১৪)
আপনি টুপি পড়েতে পারেন।
স্কুল ঝামেলা করলে স্কুলে টুপি পড়তে হবেনা।
(১৫)
গালিকে কিভাবে ভালো অর্থ হিসেব নিবেন,বিষয়টি স্পষ্ট করুন।
(১৬)
হ্যাঁ, পারবেন।
তবে মারতে পারবেননা।
(১৭)
হ্যাঁ, নামিয়ে দিবেন।
(১৮)
এতে নামাজ হয়ে যাবে।
(১৯)
হ্যাঁ, জায়েজ।
(২০)
হ্যাঁ, নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
(২১)
হ্যাঁ, মাখরাজ সহ হরফ উচ্চারণ করতে হবে।
(২২)
হ্যাঁ, নামাজ হয়ে যাবে।
(২৩)
অনিচ্ছাকৃত হলে সমস্যা নেই।
(২৪)
যখনই মনে পড়বে,তখন একটি সেজদাহ করে শেষে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
(২৫)
ভুলে ৩টি সিজদা দিলে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
রুকু সিজদার তাসবিহ জোড় সংখ্যায় পড়লে আপনার কোনো করণীয় নেই।
সমস্যা হবেনা।
(২৬)
নামাজ হয়ে যাবে।