আসসালামু আলাইকুম
প্রথমেই ক্ষমা চাচ্ছি ফেক আইডি দিয়ে প্রশ্ন করার জন্য। আসলে নিরুপায় হয়ে প্রশ্ন করলাম আশা করি বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি নিজে ওয়াসওয়াসা রোগী ,একথা আমি জানি , আমার স্ত্রী জানে, আমার পরিবার জানে ,আমার কলিগরাও জানে যে আমি ওয়াসওয়াসার রোগী। এবং আপনারাও ফতুয়া দিয়েছেন আমার রিয়েল আইডিতে যে আমি ওয়াসওয়াসার রোগী তাই আমার কোন তা*** গ্রহনযোগ্য না।
একবার উত্তর পেয়েছিলাম অন্য আইডি থেকে প্রশ্ম করে কিন্তু মনে আবার সন্দেহ আসে যে আমি কি ঠিক ভাবে প্রশ্নের বিবরন লিখতে পেরেছিলাম কিনা । তাই আবার প্রশ্ন করলাম যাতে আমার বিবরন টা সঠিক ভাবে লিখতে পারি।আমি আগেই জানতাম এই বিষয়ে শয়তান আমাকে আবার ধোকা দিবে তাই আমি স্ত্রীকে আপনাদের ফায়সালার কথা ও জানিয়েছিলাম যাতে আমি ভূলে গেলেও তার যেনো মনে থাকে। ক্ষমা করবেন প্লিজ। আমি ওয়াসওয়াসার রোগী। এই প্রশ্নের উত্তর পেলে আমার জীবন টা সাভাবিক হবে ইনশাআল্লাহ । দয়া করে আপনারা আমার ওয়াসাওয়াসা কে বিবেচনা করে একটা ফায়সাল দিবেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করি উত্তরটা যেনো আগের মত হয়।
https://ifatwa.info/57962/ আগের প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্ন) ঘটনাটি ফোনে কথা বলার সময়।স্ত্রীর সাথে কথা বলার সময় সামী বলে "তোমার শিক্ষা হওয়া উচিত"। তারপর কিছু কথা বলার পর সামী ইংগিতে তা** শব্দ উচ্চারণ ব্যতীত মজলিস সম্পর্কে সাবধান করে এভাবে বলে , এমন কিছু কথা বললে মজলিস হয়ে যায় এবং মজলিস হয়ে গেলে সেখানে নিয়ত ব্যতিত অনেক কিছুই হয়ে যায়"। একটু পর ঝগড়ার এক পর্যায়ে সামী ভয় পেয়ে ভাবে স্ত্রীর মুখ থেকে কেনায়া শব্দ উচ্চারণ হয়ে গেল কিনা।তারপর সামী ধমক দিয়ে স্ত্রীকে বলে তুমি কি চাও আমি ঊল্টাপাল্টা কিছু বলি? তুমি কিন্তু আমাকে বাধ্য করতেছো। স্ত্রী সম্ভবত বলে আমি কিছুই বলিনি যা বলার তুমি ই পাগলের মত বলতেছো আমি কিছুই বলিনি। স্ত্রী আসলেই কিছু বলেনি।সামীর ওয়াসওয়াসার কারনে ভাবে স্ত্রী হয়ত কোন কেনায়া শব্দ বলেছে যার কারনে সম্পর্কে হয়ত হারাম হয়ে গেলো কিনা? এটা ভেবে সামী স্ত্রীকে ধমক দিয়ে বলে " তুই হালাল সম্পর্ক টাকে হারাম বানাইছোস"। এই কথা বলার দুইটা কারন ,একটা কারন হচ্ছে সামীর আশংকা যে স্ত্রীর হয়ত কোন কেনায়া শব্দের দারা হালাল সম্পর্ক হারাম হয়ে যাওয়ার ভয় আর দ্বিতীয় কারন হচ্ছে এই কথা শুনে স্ত্রী ভয় পেয়ে যাতে চুপ হয়ে যায় এছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিলোনা । সত্যকথা হচ্ছে সেখানে স্ত্রী আদৌ কোন কেনায়া শব্দ বলেনি এবং সেখানে তাদের দুজনের কেউই তা**** শব্দ উচ্চারণ বা তা*** চাওয়া হয়নি।সামী পরবর্তীতে আল্লাহর নামে সপথ করে বলেছে " তুই হালাল সম্পর্ক টাকে হারাম বানাইছোস" এই কথা তা*** নিয়তে বলেনি এই ব্যাপারে ১০০% সিউর এবং এটা স্ত্রী নিজেও জানে যে এটা স্ত্রীকে ধমকের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিলো। কারন স্ত্রী জানে তার সামী ওয়াসওয়াসা রোগী।
সামী ওয়াসওয়াসার রোগী এবং ফতোয়া দেয়া হয়েছিলো এখান থেকে সামীর কোন তা*** গ্রহনযোগ্যনয় যতদিন না পরিপূর্ণ সুস্থ হয়।
দয়া করে আমার ওয়াসওয়াসা কে বিবেচনা করে আমার বিষয়ে ফায়সালা দিবেন , অনুরোধ।