আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
156 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
১.সূরা কাহাফ এর ১৯ নং আয়াতের একটা শব্দ আছে وليتلطف এর শব্দের উপরে প্রায় সব কুরআনে দেখি উপরে একটা বিশেষ চিহ্ন দেওয়া এটা কেনো।

২.কোনো নামাজ পড়ারত অবস্থায় হায়েজ হলে ওই নামাজ কাজা করতে হয় এবং ফরজ ৪ রাকাত।কিন্তু কেউ যদি যোহরের সুন্নত ৪ রাকাতের শেষের দিকে হায়েজ হয়ে যায় তখন তার জন্য কি তাকে ওই সুন্নত কাজা করতে হবে?

৩.কেউ যদি শেষরাতের জন্য বিতির রেখে দেয়,সে সালাতের জন্য উঠে তাহাজ্জুদ পড়া অবস্থায় ই হায়েজ চলে আসে তাহলে কি ওই বিতর কাজা করতে হবে নাকি ওয়াক্ত থাকার কারণে রহিত হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/19281/ নং ফাতওয়াতে বলা হয়েছে যে, হায়েজ অবস্থায় অবস্থায় তো পবিত্রতাই অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই এ ক্ষেত্রে আসলে নামাজ পড়ার কোন সুযোগই নেই। হাদিস শরিফে এসেছে,

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامٍ، بِإِسْنَادِ زُهَيْرٍ وَمَعْنَاهُ وَقَالَ : " فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَاتْرُكِي الصَّلَاةَ فَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا فَاغْسِلِي الدَّمَ عَنْكِ وَصَلِّي " . - صحيح : ق

হিশাম (রহঃ) যুহাইর সূত্রে উপরোক্ত অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঋতুস্রাব আসলে সলাত ছেড়ে দিবে আর ঋতুস্রাবের সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে রক্ত ধুয়ে নিয়ে (গোসল করে) সলাত আদায় করবে।

বুখারী (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ হায়িযের রক্ত ধোয়া, হাঃ ৩০৭), মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ মুস্তাহাযা এবং তার গোসল ও সালাত,আবু দাউদ ২৮৩।)

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْمَدَنِيُّ ، ثَنَا مَالِكٌ ، ح : وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى ، نَا ابْنُ وَهْبٍ ؛ أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ ، ح : وَحَدَّثَنَا أَبُو رَوْقٍ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ بَكْرٍ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خَلَّادٍ ، ثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى ، ثَنَا مَالِكٌ ، ح : وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ الْمُهْتَدِي ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَدْرٍ ، قَالَا : نَا بَكْرُ بْنُ سَهْلٍ ، نَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ ، أَنَا مَالِكٌ ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ ؛ أَنَّهَا قَالَتْ : قَالَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ لِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي لَا أَطْهُرُ ، أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ ؟ قَالَتْ : فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَ بِالْحَيْضَةِ ، فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَاتْرُكِي الصَّلَاةَ ، فَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي

আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কখনও পাক হই না। আমি কি নামায ছেড়ে দিবো? আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ নিশ্চয়ই এটা একটা শিরার রক্ত, হায়েয নয়। যখন তোমার হায়েয শুরু হবে তখন নামায ছেড়ে দিবে। যখন হায়েযের মেয়াদ পরিমাণ সময় শেষ হবে, তখন তোমার শরীর থেকে রক্ত ধুয়ে ফেলবে (গোসল করবে) এবং নামায পড়বে। (সুনানে দারা কুতনি ৭৬২)

★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. কুরাআনের হরফ সংখ্যার দিক থেকে وليتلطف শব্দটি কুরআনের ঠিক মধ্যখানে বিদ্যমান। বিধায়, কুরআনের ঠিক মধ্যখান হওয়ার কারণে উক্ত শব্দটিকে বিশেষ ভাবে মার্ক করা হয়।

২.শরীয়তের বিধান হলো যদি কোনো মহিলার নামাজের মধ্যে হায়েজ আসে,তাহলে সেই নামাজ মাফ। এবং উক্ত মহিলা তৎক্ষনাৎ সেই নামাজ ভেঙ্গে দিবে,নামাজ পূর্ণ করবেনা। যদি ফরজ নামাজের মধ্যে হায়েজ আসে,তাহলে তার কাজা আদায় করা জরুরি  নয়। এবং যদি সুন্নাত বা নফল নামাজের ক্ষেত্রে এটি হয়,তথা সুন্নাত/নফল নামাজের মধ্যে হায়েজ চলে আসে,তাহলে পবিত্র হওয়ার পর উক্ত নামাজের কাজা আদায় করবে।

৩. জ্বী না। উক্ত বিতির সালাত পুনরায় কাযা করার প্রয়োজন নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...