আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল এর উত্তর দিলে উপকৃত হব।


১.জায়েয আর হালাল এই দুইটির মধ্যে পার্থক্য কি?


২.নাজায়েজ ও হারাম এই দুইটির মধ্যে পার্থক্য কি?


৩.ইচ্ছাকৃতভাবে মাঝে মাঝে এক রাকাত জামায়াত ছাড়লে করলে কি গুণাহ হবে?


৪.আমার রেজাল্ট দিয়েছে আজকে তাই আমি রেজাল্ট আনতে যাওয়ায় আমার জামাত ছুটে যায় কিন্তু আম্মু চাইলে রেজাল্ট আনতে পারত কিন্তু আমিও গিয়েছিলাম যারফলে জামাত ছুটে যায় এরজন্য কি আমার গুণাহ হবে,ঃঃ?


৫.যদি কারও অনেক নামাজ কাযা থাকে তাহলে সে নামাজ আদায় করতে যদি সময় থাকা সত্ত্বেও সুন্নাতে মুয়াক্বাদা নিয়মিত ছেড়ে দেঈ তাহলে কি গুণাহ হবে?


৬.একই মাজহাবে কোন মাসায়েলে দ্বীমত থাকলে আর কোন মতের শক্তিশালী দলিল পাওয়া আমাদের মত আম জনতার সম্ভব না হয় তাহলে কি নিজ সুবিধানুযায়ী আমল করা যাবে?


৭.হাতের মাধ্যমে অশ্লীল চিহ্ন দেখানো, অশ্লীল ইঙ্গিতে কথা বলা, অশ্লীল কথার বিরুদ্ধে কুরআন এর সুরা আরাফের ৩৩নং আয়াত পেশ করা যাবে?

৮. মাজহাবের ইমামণের কি ভুল হতে পারে?

৯.আমার পোষা বিড়ালকে খাবার দিলে বেশিরভাগ পুরোটা খায় না। তবুও সম্ভবত খিদায় মেউ মেউ করে।সে বেশিরভাগ বড় মাছ খেতে পছন্দ করে। কিন্তু দারিদ্রতার কারণে সবসময় তাকে বড় মাছ দেওয়া সম্ভব হয় না।এখন এতে কি আমার গুণাহ হবে?

১০.কারো উপকার করলে এর ফজিলত কি?

১১.টুপি পড়া কি সুন্নত?

১২.প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাওয়া কি জায়েয না নাজায়েজ?

১৩.একটা ছোট বাচ্ছা আমার বিড়ালকে জালাত তাই এর কারণে তাকে রাগ করে চিমটি দেয় এতে সে ব্যাথা পায় এখন কি এতে আমার গুণাহ হয়েছে?

১৪.আমার বিড়াল যদি কারো খাবার চুরি করে খায় তাহলে কি এরজন্য আমার গুণাহ হবে?

১৫.ভুল করে কারো গায়ে পা লাগলে কি আমার গুণাহ হবে?

১৬.পোষা প্রাণির নাম রাখা কি জায়েয?

১৭.শায়খ আহমাদুল্লাহ হুজুর বলেছিলেন যে তিনি হানাফী মাযহাব অনুসারে ফতোয়া দেন বা দেওয়ার চেষ্টা করি।তাই আমি কি উনাকে ফলো করতে পারব?

1 Answer

0 votes
by (715,760 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

(১+২)
জায়েয আর হালাল এবং নাজায়েয ও হারাম একই। খাবার জাতীয় কিছুর বিধান বর্ণনার ক্ষেত্রে হালাল/হারাম শব্দ ব্যবহার করা হয়।এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে জায়েয/নাজায়েয শব্দ ব্যবহার করা হয়।

(৩)
জ্বী, গোনাহ হবে।

(৪)
এখানে জরুরত আছে, তাই গোনাহ হবে না।

(৫)
যদি কারও অনেক নামাজ কাযা থাকে এবং সে কাযা নামাজ আদায় করতে করতে সময় থাকা সত্ত্বেও যদি সুন্নাতে মুয়াক্বাদা নিয়মিত ছেড়ে দেয়, তাহলে তার অবশ্যই গুণাহ হবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/400

(৬)
একই মাজহাবে কোন মাসায়েলে দ্বীমত থাকলে, বিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম যে মতের পক্ষ্যে সমর্থন দিবেন, সেই মতানুযায়ী আমল করবেন। বিজ্ঞ আলেম বলতে যাকে অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম সমর্থন দিবেন।

(৭)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالْإِثْمَ وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَأَن تُشْرِكُوا بِاللَّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ سُلْطَانًا وَأَن تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ

আপনি বলে দিনঃ আমার পালনকর্তা কেবলমাত্র অশ্লীল বিষয়সমূহ হারাম করেছেন যা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য এবং হারাম করেছেন গোনাহ, অন্যায়-অত্যাচার আল্লাহর সাথে এমন বস্তুকে অংশীদার করা, তিনি যার কোন, সনদ অবতীর্ণ করেননি এবং আল্লাহর প্রতি এমন কথা আরোপ করা, যা তোমরা জান না।(সূরা আ'রাফ-৩৩)

সকল প্রকার অশ্লীলতার বিরুদ্ধে উক্ত আয়াতকে পেশ করা যাবে।চায় আকার ইঙ্গিতে হোক বা ইশারার মাধ্যমে হোক।

(৮)
হ্যা, ভুল হতে পারে।

(৯)
আপনি যেহেতু আপনার সাধ্যমত চেষ্টা করছেন, তাই আপনার কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।

(১০)
উপকার করার অনেক ফযিলত।আপনি কারো উপকার করলে আল্লাহ আপনার হাজতকে পূর্ণ করবেন, আল্লাহ আপনার উপকার করবেন।

(১১)
জ্বী, টুপি পরিধান করা সুন্নত।

(১২)
প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ নাজায়েয। পেঠের তিনভাগের একভাগ খাবার গ্রহণ করতে হবে।

(১৩)
আপনি ঐ বাচ্ছাকে খুশী করে নিবেন।তার মনকে জয় করে নিবেন। নতুবা তার জন্য আল্লাহর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হবেন।

(১৪)
আপনার বিড়াল যদি কারো খাবার চুরি করে খায় তাহলে এরজন্য আপনার গুণাহ হবে না।তবে তাকে পর্যাপ্ত খাবার খাওয়াতে হবে।

(১৫)
ভুল করে কারো গায়ে পা লাগলে, এতেকরে আপনার কোনো গুণাহ হবে না।

(১৬)
পোষা প্রাণির নাম রাখা জায়েয।

(১৭)
উনি যদি হানাফি ফিকহ অনুযায়ী ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনি উনার ফাতাওয়া গ্রহণ করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,760 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...