ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১+২)
জায়েয আর হালাল এবং নাজায়েয ও হারাম একই। খাবার জাতীয় কিছুর বিধান বর্ণনার ক্ষেত্রে হালাল/হারাম শব্দ ব্যবহার করা হয়।এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে জায়েয/নাজায়েয শব্দ ব্যবহার করা হয়।
(৩)
জ্বী, গোনাহ হবে।
(৪)
এখানে জরুরত আছে, তাই গোনাহ হবে না।
(৫)
যদি কারও অনেক নামাজ কাযা থাকে এবং সে কাযা নামাজ আদায় করতে করতে সময় থাকা সত্ত্বেও যদি সুন্নাতে মুয়াক্বাদা নিয়মিত ছেড়ে দেয়, তাহলে তার অবশ্যই গুণাহ হবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/400
(৬)
একই মাজহাবে কোন মাসায়েলে দ্বীমত থাকলে, বিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম যে মতের পক্ষ্যে সমর্থন দিবেন, সেই মতানুযায়ী আমল করবেন। বিজ্ঞ আলেম বলতে যাকে অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম সমর্থন দিবেন।
(৭)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالْإِثْمَ وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَأَن تُشْرِكُوا بِاللَّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ سُلْطَانًا وَأَن تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ
আপনি বলে দিনঃ আমার পালনকর্তা কেবলমাত্র অশ্লীল বিষয়সমূহ হারাম করেছেন যা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য এবং হারাম করেছেন গোনাহ, অন্যায়-অত্যাচার আল্লাহর সাথে এমন বস্তুকে অংশীদার করা, তিনি যার কোন, সনদ অবতীর্ণ করেননি এবং আল্লাহর প্রতি এমন কথা আরোপ করা, যা তোমরা জান না।(সূরা আ'রাফ-৩৩)
সকল প্রকার অশ্লীলতার বিরুদ্ধে উক্ত আয়াতকে পেশ করা যাবে।চায় আকার ইঙ্গিতে হোক বা ইশারার মাধ্যমে হোক।
(৮)
হ্যা, ভুল হতে পারে।
(৯)
আপনি যেহেতু আপনার সাধ্যমত চেষ্টা করছেন, তাই আপনার কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।
(১০)
উপকার করার অনেক ফযিলত।আপনি কারো উপকার করলে আল্লাহ আপনার হাজতকে পূর্ণ করবেন, আল্লাহ আপনার উপকার করবেন।
(১১)
জ্বী, টুপি পরিধান করা সুন্নত।
(১২)
প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ নাজায়েয। পেঠের তিনভাগের একভাগ খাবার গ্রহণ করতে হবে।
(১৩)
আপনি ঐ বাচ্ছাকে খুশী করে নিবেন।তার মনকে জয় করে নিবেন। নতুবা তার জন্য আল্লাহর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হবেন।
(১৪)
আপনার বিড়াল যদি কারো খাবার চুরি করে খায় তাহলে এরজন্য আপনার গুণাহ হবে না।তবে তাকে পর্যাপ্ত খাবার খাওয়াতে হবে।
(১৫)
ভুল করে কারো গায়ে পা লাগলে, এতেকরে আপনার কোনো গুণাহ হবে না।
(১৬)
পোষা প্রাণির নাম রাখা জায়েয।
(১৭)
উনি যদি হানাফি ফিকহ অনুযায়ী ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনি উনার ফাতাওয়া গ্রহণ করতে পারবেন।