ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/18137/ ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে, আবিস্কার লেখা ও প্রকাশনা সত্ত্বকে কি ইসলামী শরীয়ত সত্ত্ব
হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে?
এই মৌলিক প্রশ্নের উত্তর হল এই যে,
যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম কোনো জিনিষ
আবিস্কার করেছে,তার আবিস্কৃত জিনিষ অস্তিত্বমান বস্তু হোক বা অস্তিত্বহীন, নিঃসন্দেহে সেই ব্যক্তি অন্যের তুলনায় তা থেকে উপকৃত হওয়ার, প্রস্তুত করার এবং মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বাজারজাত করার
বেশী অধিকারী। কেননা,আবু দাউদ শরীফে হযরত আসমুর ইবনে মুদরাস (রা.) থেকে একটি
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, 'আমি নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামের দরবারে হাজির হয়ে তার হাতে বাইআত গ্রহণ করি। এ সময় নবী আকরাম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, 'যে
ব্যক্তি ওই বস্তুর দিতে অগ্রসর হল, যে
বস্তুর দিকে কোনো মুসলমান অগ্রসর হয় নাই, তাহলে
ওই বস্তু ওই ব্যক্তির। (যে ওই দিকে প্রথম অগ্রসর হয়েছে।) আবু-দাউদ:৪/২৬৪ হাদীস
নং২৯৪৭)
আল্লামা মুনাবী রহ. [আব্দুর রউফ আল
মুনাবী, মৃত্যু:১০৩১হি,] যদিও এই হাদীসটিকে পতিত ও অনাবাদী জমিন ব্যবহারযোগ্য করে
গড়ে তোলার অর্থে প্রয়োগের বিষয়কে প্রধান্য দিয়েছেন, তথাপি তিনি কোনো কেনো উলামায়ে কেরাম থেকে এ বর্ণনাও উদ্ধৃত
করেছেন যে, এই হাদীসটির মর্মে যাবতীয় ঝরণা, কূপ এবং খণিজসম্পদ অন্তর্ভুক্ত। আর যে ব্যক্তি এসবের কোনো
একটিতে প্রথম অগ্রসর হবে,ওই জিনিসটির সত্ত্বাধিকারী ওই ব্যক্তিই সাব্যস্ত হবে। এ
বিষয়ে কোনো সংশয় নেই যে, যে কোনো বাক্যে শব্দের ব্যাপকতাই
গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে, তা কোনো নির্দিষ্ট কারণের
প্রেক্ষিতে বলা হলেও সেই কারণের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ হয় না। (ফায়জুল কাদীর:৬/১৩৮)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পারলাম যে,কোনো কিতাব নতুন হোক বা পুরাতন হোক,সংরক্ষিত প্রকাশনায় প্রকাশকের অনুমতি ব্যতীত ঐ প্রকাশনার
কোনো কপি করা যাবে না। আল্লাহ-ই ভালো জানেন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1197
★সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত সূরতে কেউ যদি
কোনো বইয়ের পিডিএফ করে তাহলে সেক্ষেত্রে কপির মাসয়ালা চলে আসে।
এক্ষেত্রে প্রকাশনী থেকে
কপি.ফটোকপির উপর নিষেধাজ্ঞা
দেওয়া না থাকলে ছবি তুলে নিতে/দিতে সমস্যা নেই, জায়েজ
হবে। তবে যদি নিষেধ থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে সংরক্ষিত প্রকাশনায় প্রকাশকের অনুমতি
ব্যতীত ঐ প্রকাশনার কোনো বই এভাবে ছবি তোলা যাবে না।
এটি কপির আওতায় পড়বে।
সেক্ষেত্রে সংরক্ষিত
প্রকাশনায় প্রকাশকের অনুমতি ব্যতীত ঐ প্রকাশনার কোনো বই এভাবে ছবি তুললে তাদেরকে
ধোঁকা দেওয়া হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে
আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ
মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস
নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ
ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ
عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু
দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস
নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. বাজারে কোনো কিতাবের সংস্করণ
সচরাচর পাওয়া না গেলে সেই কিতাবকে ক্রয় করার নিয়ত অন্তরে রেখে উক্ত কিতাবের পিডিএফ
করা যাবে এবং অন্য কারোর জন্যও উক্ত পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়াও যাবে। এতে কোনো
অসুবিধে হবে না।
আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/34263/
২. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে অজু ছাড়া মোবাইল স্ক্রিনে কুরআনের আয়াত
পড়া যাবে।
৩. জানাযার
নামাজ পড়া ফরজে কেফায়া। তাই কিছু লোক তা আদায় করে দিলেও সকলের পক্ষ হতে তা আদায় হয়ে যাবে। সেই হিসেবে আমরা বলতে পারি যে, জানাযার নামাজের কথা শুনলেই জানাযায় উপস্থিত হওয়া বাধ্যতামূলক নয় এবং ইচ্ছাকৃতভাবে
উপস্থিত না হলেও কোনো গুনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ। তবে জানাযার নামাজ ও দাফন কাফনে
শরীক হলে অনেক অনেক সওয়াব রয়েছে।