আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
১।আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।
কেউ ধরেন কেনায়া তালাকের ব্যাপারে সন্দেহ নিয়ে প্রশ্ন লিখেছে।মানে ধরেন লিখেছেঃ আমি স্ত্রীকে বলি তুই আমার জন্য হারাম ।এটা বলেছে কিনা জানে না স্ত্রীকে।কিন্তুু সন্দেহ নিয়ে প্রশ্নটা করতে চেয়েছিল ধরেন।কিন্তুু সন্দেহের কথাটা প্রশ্নে লিখতে ভুলে গেছে।প্রশ্নটা পুরো লিখে নাই হারাম পর্যন্ত লিখে ধরেন ওর মনে ওয়াসওয়াসা আর ভয় আসতে থাকে কোন এভাবে লিখলে কোন তালাক হবে কিনা হুজুররা উত্তর হ্যা বললে।এটার ভয়ে যতটুকু লিখছে কেটে ফেলছে।মানে প্রশ্নটা পুরো লিখে নাই ভয়ে।আরো লিখত,ভয় আসার কারনে লিখে নাই।মানে মাসআলা জানার জন্য লিখতে চেয়েছিল।।এমনটা স্ত্রীকে বলেছে কিনাও জানে না।এরকম লিখতে চেয়ে ভয়ে কেটে দিছে ধরেন।তহ ওই প্রশ্নটা যতটুকু লিখেছে জানার জন্য এটা লিখার জন্য কি তালাক হবে?মানে এভাবে প্রশ্ন করলে কিছু হবে কিনা সেটাও জানত না।সে সন্দেহের ভিত্তিতে প্রশ্নটা করতে চেয়েছিল।মনে মনে আছে যে সে সন্দেহ নিয়ে করতেছে কিন্তু প্রশ্নে লিখে নি ভয়ে।

২।একটা প্রশ্ন দেখেছিলাম স্ত্রী যদি মেসেজে তালাক চায় আর বলে তালাক দাও আরেকটা করব গা বিয়ে।মানে স্বামী তালাক দিলে করবে আর কি। স্বামী যদি বলে তালাক দিতে হবে না। এতটুকুতে আরেকটা কর গা বিয়ে।এর উত্তরে তালাক হবে না বলেছিল।লিন্কটা খুজে পাচ্ছি না। তহ এখন প্রশ্ন হল স্ত্রী মেসেজে তালাক চাওয়ার পর স্বামী যদি বলে দিতে হবে না তালাক, আরেকটা কর গা বিয়ে।বাধা দিব না অধিকার নিয়েও যাব না।রাগ করে বললে।স্বামী ধরেন তালাক দিতে চায় না।তহ উপরোক্ত কথার কারনে কি তালাক হবে? তালাক দিতে চায় না ধরেন স্বামী তাই স্বামী বলেছে দিতে হবে না তালাক।তাই অমনটা বলেছে। এই প্রশ্নটা জানার জন্য।

৩।স্ত্রীকে  যদি পাওয়ার দেয়।তহ স্ত্রী যদি নিজেকে তালাক না দিয়ে স্বামীর কাছে তালাক চায় আর বলে তালাক দেন আরেকটা করব গা বিয়ে তাহলে কি তালাক হবে? ধরেন স্ত্রী রাগে বলেছে  কিন্তুু সে স্বামীর সাথে থাকতে চায়।

৪।কেউ ধরেন মেসেজে খুলছে বলেছে।মানে ধরেন অন্য কিছু যেমনঃ স্কুল কলেজ ইত্যাদি। ওর মনে হঠাত ওয়াসওয়াসা আসতেছে এটার দ্বারা কি কোন খোলা তালাক হবে কিনা।মনে ধরেন আরো ওয়াসওয়াসা আসতেছে সে সেই উদ্দ্যশ্যে বলেছে মানে ওয়াসওয়াসা আসতেছে ধরেন খোলা তালাকের উদ্দ্যশ্যে বলেছে।কিন্তু মুখ দিয়ে বা মনেও মনেও বলে নি ধরেন।এমনিতে ওয়াসওয়াসা বা চিন্তায় এমন আসলে কি তালাক হয়?

৫।উপরের প্রশ্নগুলো যার সে নিজে প্রশ্নগুলো করলে কি কোন সমস্যা হবে বৈবাহিক সম্পর্কে?

৬।কোন স্ত্রী যদি মেসেজে তালাক চায় আর স্বামী যদি বলে আমিও থাকতে চায় না তুমার সাথে,বা আমিও চায় না তুমাকে।এরপর কোন কেনায়া শব্দ বলে নি ধরেন।তাহলে কি তালাক হবে?

৭।কোন স্বামী যদি বলে এভাবে হিজাব পর নেকাব পড়।রাগারাগি ও করেছে ধরেন মেসেজে আর কি।স্ত্রী যদি বলে ভাল না লাগলে তালাক দিয়ে দেন।স্বামী যদি বলে আর কিছু বলব না কোনদিন।তুমার যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে চল।মানে হিজাব নেকাব এসব নিয়ে কিছু বলবে না স্ত্রীর যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে পরিধান করতে বলতেছে আর কি।স্বামীর কথার দ্বারা যদি স্ত্রী এমনটা বুঝে বা স্বামী যদি এমনটা বুঝাতে চায় তাহলে কি তালাক হবে?এমনটা না যে আজ থেকে তুমার বিষয় তুমার হাতে এমনটা না।আর তখন স্বামী স্ত্রী কেউ কেনায়া তালাকের ব্যপারে শুনেও নি ধরেন।

৮।কোন স্ত্রী যদি মেসেজে বলে আমি চলে যাব ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দিও অথবা যদি বলে আমি চলে যাচ্ছি ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিও মানে যাওয়ার পর আর কি।স্বামী যদি বলে ঠিক আছে যাও  অথবা যদি বলে ঠিক আছে যাও পাঠিয়ে দিব।এখানে ধরেন ডিভোর্স চাইছে যে এর  উত্তরে চলে যেতে বলে নি।স্ত্রী চলে যাব বলেছে যে এর উত্তরে ঠিক আছে যাও বলেছে।।আর শুনেছি মেসেজে তালাক চাওয়ার উত্তরে কেনায়া বাক্য বললে তালাক হয় যে।তালাক চাওয়ার উত্তরে না বললে বা অন্য কথার জন্য  কেনায়া শব্দ নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হয় না।তহ উপরোক্ত স্বামীর কথাগুলো স্বামী নিয়ত ছাড়া বললে কি তালাক হবে?

এই প্রশ্নটার উত্তরে ইমদাদুল হুজুর বলেছে স্ত্রী যদি বর্তমানের নিয়তে তালাক চায় তাহলে তালাক হবে,না হয় হবে না।আগের প্রশ্ন তহ স্ত্রী দিধাদন্দে পড়ে গেছে। ওর মনে হচ্ছে ভবিষ্যৎ এর দিকে ইন্গিত করে বলেছে।আবার সন্দেহেও আসে কোন বর্তমানে ইন্গিত করে বলেছে কিনা এসব ভেবে।এভাবে কি সমস্যা হবে?

৯।কোন মানুষ একটা তার বউকে ছেড়ে দিছে। তহ এসব কথা আরেকটা মানুষ তার স্ত্রীকে ধরেন এসব বলতেছে।তহ কথার মাঝে বার বার ওই মানুষটা বলেছে ওটা বার বার না বলে ওই মানুষটা যেভাবে বলেছে কথাগুলো  ঠিক ঐভাবে বললে স্বামী তাহলে কি তালাক হবে?যেমনঃ ধরেন প্রথমের দিকে বলেছে জামাই ওটা এমন এমন বলেছে মানে যেই জামাইটা তার বউ ছেড়ে দিছে ।তারপর জামাই ওটা যেগুলো আমি আমি বলে বলেছে সেগুলো ও  ওই মানুষ ওটা আমি আমি করে বললে কি সমস্যা হবে? আসলে কথা বুঝানোর জন্য বলেছে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য বলে নি।

১০।  ৯ নং প্রশ্নটা কি বুঝাতে পেরেছি হুজুর? নাকি আবার করব?

১১।কিছু কেনায়া শব্দ বলার পর স্ত্রী স্বামীর কাছে নিয়ত জিগ্যেস করেছিল কিনা সিওরলি মনে পড়তেছে না স্ত্রীর। কিন্তুু খুব বেশি মনে হচ্ছে স্ত্রীর যে সে জিগ্যেস করেছিল।আর স্বামী না বলেছিল মানে তালাকের নিয়তে বলে নি বলেছিল।খুব বেশি মনে হচ্ছে করেছিল কথা গুলোর পর।কিন্তুু আবার সন্দেহ ও হচ্ছে। স্বামী রেগে যায় খুব এই বিষয়ে প্রশ্ন নাও করতে বলেছিল মানে তালাকের বিষয়ে প্রশ্ন না করতে বলেছে কোনদিন।এখন স্ত্রীর সন্দেহ হলে প্রশ্ন না করলে কি কোন গুণাহ হবে? ওর মনে হচ্ছে বেশি যে এরপর অনেকবার  নিয়ত জিগ্যেস করেছিল যে কোনোদন তালাকের নিয়তে কিছু বলেছিল কিনা।প্রত্যেকবার স্বামী না না বলেছে বলে মনে হচ্ছে ওর।মানে একটা একটা জিগ্যেস না করে এক্কেবারে জিগ্যেস করেছিল কয়েকবার এরপর এমনটা মনে হচ্ছে ওর।তহ আর জিগ্যেস না করলে কি কিছু হবে? কারন স্বামী খুব রেগে যায়।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/54817/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-

كَمَا  لَوْ أَقَرَّ بِالطَّلَاقِ هَازِلًا  أَوْ كَاذِبًا فَقَالَ فِي الْبَحْرِ، وَإِنَّ مُرَادَهُ لِعَدَمِ الْوُقُوعِ فِي الْمُشَبَّهِ بِهِ عَدَمُهُ دِيَانَةً، ثُمَّ نَقَلَ عَنْ الْبَزَّازِيَّةِ وَالْقُنْيَةِ لَوْ أَرَادَ بِهِ الْخَبَرَ عَنْ الْمَاضِي كَذِبًا لَا يَقَعُ دِيَانَةً، وَإِنْ أَشْهَدَ قَبْلَ ذَلِكَ لَا يَقَعُ قَضَاءً أَيْضًا. اهـ. 

অনুরুপ ভাবে যদি স্বামী মিথ্যা বা তামাশা মূলক তালাকের স্বীকারোক্তি দেয়,তাহলে বাহরুর রায়েক গ্রন্থে বলা হয়েছে যে এটি দিয়ানাতান তথা আল্লাহর নিকট তালাক বলে গন্য হবে না।
,
অতঃপর বাযযাযিয়া ও ক্বুনয়া কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, যদি এই মিথ্যা স্বীকারোক্তি দ্বারা অতীতের তালাকের খবর স্বামী দেয়,তাহলে দিয়ানাতান (আল্লাহর নিকট) তালাক হবে না। 
(কাযা'আন তালাক হবে।)

কিন্তু যদি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তির পূর্বে স্বামী এ ব্যাপারে সাক্ষী রাখে, তাহলে  কাযা'আনও (তথা কাযী সাহেবের নিকট তালাক নিয়ে স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার মূহুর্তেও) তালাক হবে না।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৩৬)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে তালাক হবেনা।
এখানে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়েছে।
এতে তালাক হবেনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৩)
তালাক হবেনা।

(০৪)
না,এতে তালাক হয়না।

(০৫)
উপরের প্রশ্নগুলো যার, সে নিজে প্রশ্নগুলো করলে  তার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবেনা।

(০৬)
প্রশ্নের উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা। 

(০৭)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৮)
স্বামীর এখানে তালাকের নিয়ত না থাকলে তালাক হবেনা।

(০৯)
এতে সমস্যা হবেনা। 

(১০)
হ্যাঁ, বুঝতে পেরেছি।
পুনরায় প্রশ্ন করতে হবেনা।

(১১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীকে আর জিজ্ঞাসা না করলে কিছু হবেনা।
স্বামীকে আর জিজ্ঞাসা না করার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...