আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
210 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম মুফতি সাহেব।

আমার হাজবেন্ড কয়েক দিন আগে একটি মেয়ের সাথে কথা বলছিল। তো ওই নিয়ে আমি তারে আজকে অনেক গালাগালি করছি, আর ওর সাথে আমার সব কথা ফোনে হইছিল। তো যেহেতু আমি তার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করছি সে আমার প্রতি খুবই রাগান্বিত হইছে, সে বলছে, " আমি এভাবে সম্পর্ক রাখতে চাই না, আমাকে ছেডে দে।" আমি কথাগুলোর কোন উত্তর দিই নি, তারপর অনেক রকমের কথা বলছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটা কথা হল

১. তোকে ডাইরেক্ট ছেডে দি( দিলাম, দিছি এরকম কিছু বলে নি, একটু থেমে ছিল তারপর আমি যে খারাপ ব্যবহার করতেছি তা বলছে)। তারপর আবারো বলছে," তোকে ডাইরেক্ট ছেডে দি তোকে আমি ছেডে দিতে চাই" ঠিক এ কথাটা বলছে। আমরা নোয়াখালীর। আমাদের ভাষায় এ কথাটা হল, "তোরে ডাইরেক্ট চাই দি", মানে এ কথাটার মাধ্যমে সে বুঝতে চাইছে ছেডে দিবে বা দিতে চায়, সে নোয়াখালী র ভাষায় বলছে, তো এতে কি আমাদের সম্পর্ক ঠিক থাকবে বলবেন।

২. ঝগড়া যেহেতু অনেকক্ষন ধরে হইছে সে কথায় কথায় কয়েকবার মনে হয় ৩-৪ বার বলছে, "তুই একেবারে বিদায় নিয়ে চলে যা"।

৩. তারপর ৩-৪ বার বলছে, "তোর সাথে সম্পর্ক রাখতে চাই না।"

৪. কয়েকবার বলছে, আমি তাকে ছেডে দিতাম, কিন্তু আমি উত্তর দিছি, আমি কিছু বলতে পারবো না, সব ক্ষমতা তোর হাতে, তোর যদি কিছু বলতে ইচ্ছা হয় তুই বল। আমি কিছুই বলব না কারন আমি এসব চাই না। তখন আরো কিছুক্ষন ঝগড়া হইছে, কিন্তু আমি কোন ভাবেই ছাডাছাডি টাইপের কোন কথা বলিনি বা চাইনি, কিন্তু ও যখন বলছে তখন শুধু বলছি সব ক্ষমতা তোর হাতে। তো কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে, সে বলছে, " আমি তোকে আগে অনেকবার ছেডে দিছি, এবার তুই আমাকে ছাডি দে।" আমি কোন উত্তর দিই নি। আমাদের প্রেমের বিয়ে। বিয়ের আগে প্রেমের সময় সে অনেকবারই আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করছে, আমার ধারণা বলে সে সেটা উদ্দেশ্য করছে। এখন এতে কি কোন সমস্যা হতে পারে নাকি বলবে। অনেকবার ছেডে দিছি, এটাতে অনেকবার কথাটার মাধ্যেমে কি বাডতি কোন সমস্যা হতে পারে? তবে আমার বিশ্বাস সে বিয়ের আগে সম্পর্ক কে বুঝাইছে।
এই পুরো কথাতে আমাদের পুরো এক ঘন্টার মত কথা হয়েছে, আর বেশিরভাগ ই বলছে তাকে যেন আমি ছেডে দিই। আর আমি প্রতিবারই বলছি, ক্ষমতা তোর হাতে আমি কিছু বলতে চাই না, আমি ছাডাছাডি চাই না। উপরের ১,২,৩,৪ এই এক ঘন্টার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বলা কথা। কিন্তু আমি জানি এখানে প্রত্যেক টা কথা শুধুই আমাকে ভয় দেখানোর জন্য, সে আমাকে কোনভাবেই ছাডতে চায় না, সে জানে তালাকের ব্যাপার টা বললে আমি ভয় পাবো তাই প্রত্যেকটা কথা ভয় দেখানোর জন্য বলেছে। পুরো আলোচনা সে সেচ্চায় ছাডাছাডির ব্যাপার এ করেছে, আর আমাকে এসব কথা বলেছে। আমি পুরো আলোচনায় একবারও কোন খারাপ কিছু চাই নি মানে ছাডাছাডির ব্যাপার এ কিছু চাই নি।

সে যখন এই সব কথাগুলো বলে ফেলেছিল কল রাখার লাস্টে আমি বলেছিলাম, " তুই এতক্ষন যেসব কথা বলছস কথাগুলো সন্দেহজনক, আমি ঠিক জানিনা এতে কোন সমস্যা আছে নাকি। তবে আমি কাল থেকে তোর সাথে যোগাযোগ করব না, তোর সাথে কখনো কথাও বলব না।" তবে কোন কিছুই খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে বলিনি, ওর কথাগুলো সন্দেহ জনক হওয়ায় বলেছি।

আমাকে প্লিজ উপরের কথাগুলো বলাতে কোন সমস্যা হতে পারে নাকি বলুন প্লিজ। সবগুলো কথা ছিল শুধু ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে।
by
প্লিজ কমেন্ট টা খেয়াল করবেন। উপরে ১ নাম্বারে আমি যে সমস্যা টার কথা বলেছি সেটা সে নোয়াখালী ভাষায় বলেছে, " তোরে ডাইরেক্ট ছাই দি" মানে এটার শুদ্ধ হয়," তোকে ডাইরেক্ট ছেডে দিই" এভাবে বললে কোন সমস্যা হতে পারে? (দিলাম বা দিছি ওরকম কিছু বলে নি)

তারপর ৪ নাম্বারে যে সমস্যা টার কথা লিখেছিলাম, সে বলেছে," তোকে আগে অনেকবার ছেডে দিছি তুই তারপর ও দুইদিন পর আবার চলে আসছ", আমি তাকে সকালে জিজ্ঞেস করলাম এই কথা কোন উদ্দেশ্যে বলছে? তার বক্তব্য সে তালাকের উদ্দেশ্যে বলে নি, সে যে অনেকবার কথা বলা বন্ধ করছে তারপর আবার আমি কথা বলতে গেছি এটা বলতে চাইছে। ও শুধু বলছে তালাকের উদ্দেশ্যে বলে নি, কিন্তু কোন উদ্দেশ্য করে বলছে এটা সে নিজেও বুঝতে পারছে না, এক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে নাকি জানাবেন

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
তালাকের বিষয় খুবই মারাত্মক, তাই স্বামী থেকে তালাক চাওয়া ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে।   
হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ النِّكَاحُ وَالطَّلاَقُ وَالرَّجْعَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
 
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি বিষয় এমন যেগুলির যথার্থ তো যথার্থই এমনকি সেগুলোর কৌতুকের ব্যবহারও যথার্থ: বিবাহ, তালাক, রাজআত। - ইবনু মাজাহ ২০৩৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৫

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-গারীব।

★শরীয়তের বিধান হল "তালাক দিয়ে দিবো","ছেড়ে দিয়ে দিবো", এ কথা গুলি বলার দ্বারা তালাক পতিত হবে না।
কারণ, ভবিষ্যতের দিকে তালাকের সম্বন্ধ করলে তালাক পতিত হয় না।
এগুলো ওয়াদা মূলক কথা মাত্র,এতে তালাক পতিত হয়না।
(রদ্দুল মুহতার ৪/২৭৪; হেদায়াহ ১/২৮০।)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০২)
"তুই একেবারে বিদায় নিয়ে চলে যা"
এ কথা তালাকের নিয়তে বললে এক তালাক হবে।

নতুবা তালাক হবেনা।

(০৩)
এ কথা বলায় তালাক হবেনা।

(০৪)
এতে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...