জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কোন পর নারীর দিকে দৃষ্টিপাত করা, ছগীরা গুনাহ।
,
তবে কোন ছোট গুনাহকে যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বারবার করে বা তুচ্ছ মনে করে করে তখন তা আর ছোট থাকে না বরং তা বড় গুনাহে পরিণত হয়।
আরো জানুনঃ
,
তাই কোনো গায়রে মাহরাম মহিলার দিকে নজর দিয়ে অন্তরে খারাপ চিন্তা ভাবনা নিয়ে আসা,ইত্যাদি কবীরাহ গুনাহের অন্তর্ভুক্ত।
তার জন্য অবশ্যই তওবা করতে হবে।
,
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.
...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠]
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
আলী রা.-কে নবীজী বলেছেন,
يَا عَلِيُّ لَا تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ، فَإِنَّ لَكَ الأُولَى وَلَيْسَتْ لَكَ الآخِرَةُ.
হে আলী! (হঠাৎ) দৃষ্টি পড়ে যাওয়ার পর আবার দ্বিতীয়বার তাকিয়ো না। কারণ, (হঠাৎ অনিচ্ছাকৃত পড়ে যাওয়া) প্রথম দৃষ্টি তোমাকে ক্ষমা করা হবে, কিন্তু দ্বিতীয় দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না। জামে তিরমিযী, হাদীস ২৭৭৭
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}
,
(০২)
না,তাহা কবীরা গুনাহই থাকবে।
এর জন্য তওবা আবশ্যক।
(০৩)
নিজ মাযহাবের বিজ্ঞ মুফতী সাহেবের মত মানতে হবে।
একাধিক মত পাওয়া গেলে স্পষ্ট দলিল যেই মতের পক্ষে থাকবে,সেই মত মানবেন।
(০৪)
এটা সহ শিক্ষা।
ফিতনার আশংকা না থাকলে শর্ত সাপেক্ষে এভাবে কোচিং-এ লেখাপড়ার করার অনুমতি উলামায়ে কেরামগন দিয়েছেন।
(০৫)
জায়েজ নেই।
(০৬)
ইচ্ছাকৃতভাবে জায়েজ নেই।
(০৭)
হ্যাঁ, নাজায়েজ।
(০৮)
অন্যায় প্রতিরোধ হিসেবে এটি জায়েজ হবে।
তবে আইনি সহায়তা নেয়ারই পরামর্শ থাকবে।
কেননা নিজে আক্রমণ করলে এখানে জুলুম হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
(০৯)
স্থানীয় কোনো বড় মসজিদের ইমাম সাহেব থেকে জেনে নেওয়ার পরামর্শ রইলো।
(১০)
কবিরা গুনাহ হবে।
(১১)
মুশরিকরা অবশ্যই কাফের, তবে কাফের মানেই সে মুশরিক নয়।
যারা মুহাম্মাদ সাঃ কে শেষ নবী হিসেবে মানে না তারাই হলো কাফের সম্প্রদায়।
যারা আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করে,তারা মুশরিক।
যেমন ইয়াহূদীরা উযাইর আ. যেসব খৃষ্টানরা ঈসা আ. কে আল্লাহর পুত্র মনে করে তারা আবার মুশরিক(আল্লাহর অস্তিত্বে অংশ স্থাপনকারী)… …
(১২)
জায়েজ নেই।
(১৩)
কোনো এলাকায় এটি গালি না হলে বন্ধু এতে কষ্ট না পেলে বলা যাবে।
(১৪)
যদি এর অর্থ মন্দ না হয়।
আর সেই সমাজে যদি তাহাকে কেউ গালি মনে না করে,তাহলে সেটি বৈধ ভাষা হিসেবে ব্যাবহার করা যাবে।
(১৫)
এই মাসয়ালা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ-
(১৬)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ-