আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
আসসালামু আলাইকুম
কিছু পরিভাষা এর ব্যাপারে জানতে চাচ্ছিলাম।
১/  মাকরূহে তাহরীমি  এবং আমরা যে প্রচলিত অর্থে হারাম বলে থাকি এর মাঝে পার্থক্য আছে কি? থাকলে সেটা কিরকম।
২/ মাকরূহ তানযিহী সম্পর্কে আমাদের যে ধারণা দেয়  হয় যে মাকরূহ কাজে গুনাহ নেই তবে সোয়াব কম , সেটা কি ঠিক?

৩/  সকল মাকরূহে তাহরীমি ই কি কবিরা গুণাহ এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে?

1 Answer

0 votes
by (713,040 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের কাজকর্ম হারাম, হালাল, মাকরুহ, মুবাহ ও মুস্তাহাব-এই পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। সংক্ষেপে এগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হল: হারাম : ইসলামে যে সব কাজকে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে তাকে হারাম বলা হয়। এ ধরনের কাজ বর্জন করা বাধ্যতামূলক। হারাম কাজ করলে আল্লাহর শাস্তি পেতে হবে। যেমন: গীবত করা বা অপবিত্র কিছু খাওয়া ইসলামে হারাম। সূর্যদয় এবং সূর্যাস্তের সময় নামাজ আদায় করা। হালাল : হালাল অর্থ বৈধ। ইসলাম যে সব কাজকে বৈধ বা জায়িজ স্বীকৃতি দিয়েছে ইসলামি পরিভাষা অনুযায়ী তাই হালাল। একজন মুসলিমের উচিত সর্ব ব্যাপারে হালাল পন্থা ও পথ-পদ্ধতি অবলম্বন করা।যেমন : ব্যবসা হালাল এবং সুদ হারাম। মাকরুহ :  মাকরুহ এমন আমল যা পালন করার তুলনায় না করা উত্তম। অর্থাৎ যে কাজ করা জায়েজ কিন্তু না করা উত্তম। মাকরুহ কাজ করলে শাস্তি পেতে হবে না, কিন্তু এ ধরনের কাজ এড়িয়ে যেতে বলেছে ইসলাম। যেমন : আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত ঐ দিনের আসরের নামাজ ছাড়া অন্য কোনো নামাজ আদায় করা। মুস্তাহাব : মুস্তাহাব এমন আমল যা পালন না করলে কোনো শাস্তি পেতে হবে না। কিন্তু পালন করা ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তম। মুস্তাহাব কাজ করলে সওয়াব ও আল্লাহর দরবারে পুরস্কার আছে। যেমন: প্রতি আরবি মাসের প্রথম ও শেষ বৃহস্পতিবার রোজা রাখা মুস্তাহাব। মুবাহ : এটি এমন কর্ম যা সম্পাদন বা বর্জন কোনোটিই ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ নয়। আবার একাজ করতে উত্সাহিতও করা হয়নি। যেমন : ক্ষুধা না থাকা অবস্থায় কোনো প্রকার ক্ষতির সম্ভাবনা ছাড়া খাবার গ্রহণ করা। 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

মাকরূহে তাহরীমি  এবং আমরা যে প্রচলিত অর্থে হারাম বলে থাকি এর মাঝে পার্থক্য আছে । যা স্পষ্ট দলীল প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত তা হারাম। আর যা অষ্পষ্ট দলীল প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত তা মাকরুহে তাহরিমি। 
মাকরূহ তানযিহী সম্পর্কে আমাদের যে ধারণা দেয়  হয় যে মাকরূহ কাজে গুনাহ নেই তবে সোয়াব কম ,এটা ঠিক। সকল মাকরূহে তাহরীমি ই কবিরা গুণাহ এর অন্তর্ভুক্ত অ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...