আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

১।কোন স্বামী যদি বলে তুমার ওই ছেলেটার সাথে খারাপ সম্পর্ক আছে শপথ করে যদি বলে।কিন্তু কোন বিচারকের সামনে না।তাহলে কি লিয়ান হবে?

২।বিচারকের সামনে না বলে এমনিতে কোন মানুষের সামনে বললে কি লিয়ান হবে?

৩।মেসেজে কারো সামনে বললে কি লেয়ান হবে?
৪।স্ত্রীর বিরুদ্ধে কাউকে ফোনে বা মেসেজে শপথ করে বললে কি লিয়ান হবে?

৫।স্ত্রীকে তালাকের পাওয়ার দিলে স্ত্রীর কথার দ্বারা কি লিয়ান হবে?

৬।মেয়ের মা বাবা বিয়ে এখনো মেনে নেয় নি।তহ মেয়েটার খালা জিগ্যেস করতেছে স্বামী কোনদিন স্ত্রীর কাছে আসছে কিনা।স্ত্রী মিথ্যা বলে আসে নি বলে।কিন্তু আসছে অনেক বার।মাকে বলে দিবে তাই না বলেছে।তহ স্ত্রীকে স্বামী পাওয়ার দিলে এমন কথা দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে?সে তালাকের নিয়তে বলে নি।

৭।কোন স্ত্রী যদি মেসেজে বলে মুক্তি দাও।তালাকের নিয়ত ছাড়া মানে স্ত্রী ধরেন জানেই না এসব দ্বারা তালাক হতে পারে।তহ স্বামীও যদি বলে তালাকের নিয়ত ছাড়া তুমি মুক্ত।তাহলে কি তালাক হয়?

৮।কোন স্বামী স্ত্রী মেসেজে বা ফোনে মাধ্যমে ঝগড়ার সময় কেনায়া বাক্য বলেছে ধরেন স্বামী। মানে ঝগড়ার সময় মনে হয় একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারবে।কিন্তু পরে মিল হয়ে গেলে মনে হয় না থাকতে পারবে না।তহ এমন সময়  মানে ঝগড়ার স্বামী ধরেন জানে না কেনায়া তালাক সম্পর্কে। শুনেও নি।স্বামী এমন সময় কেনায়া শব্দ বললে কি তালাক হবে? স্বামী যেহেতু জানত না কেনায়া তালাক সম্পর্কে তখন তহ নিয়ত নাই ধরা হবে তাই না?পরে স্বামী যদি বলে কোনদিন তালাকের নিয়তে কিছু বলে নি তাহলে কি তালাক হবে?

৯।।ধরেন স্ত্রীকে পাওয়ার দিছে তালাকের।কোন স্বামী স্ত্রী মেসেজে বা ফোনে মাধ্যমে ঝগড়ার সময় কেনায়া বাক্য বলেছে ধরেন স্ত্রী। মানে ঝগড়ার সময় মনে হয় একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারবে।কিন্তু পরে মিল হয়ে গেলে মনে হয় না থাকতে পারবে না।তহ এমন সময়  মানে ঝগড়ার স্ত্রী  ধরেন জানে না কেনায়া তালাক সম্পর্কে। শুনেও নি।স্ত্রী এমন সময় কেনায়া শব্দ বললে কি তালাক হবে? স্ত্রী  যেহেতু জানত না কেনায়া তালাক সম্পর্কে তখন তহ নিয়ত নাই ধরা হবে তাই না?

১০।কেউ ধরেন শপথ করে বলল আল্লাহর কসম এটা যদি আরেকবার করি তাহলে মুসলমান থাকব না।এতকিছু ভাবে নাই।আর  এভাবে বলে পরে শপথ ভেন্গে ফেললে কিছু হবে সেটাও জানে না।এমনিতে জোর দিয়ে বুঝিয়েছে।মুসলিম থেকে বের হওয়ার তার মন মানসিকতা নেই।তহ পরে  শপথ ভেন্গে ফেললে কি মুসলিম থাকবে না? সেই  মানুষটা ধরেন এতকিছু জানত না। না বুঝে করে ফেলেছে।এর জন্য শুধু কাপফারা দিলে হবে?

১১।কোন স্ত্রী যদি মেসেজে তালাক চায় স্বামী যদি বলে ঠিক আছে।তাহলে কি তালাক হবে? মনে হয় এমন প্রশ্ন আগেও করেছি তালাক হবে না বলেছিলেন।

১২।কোন স্ত্রী যদি মেসেজে তালাক চায়।স্বামী যদি বলে ঠিক আছে তুমি যেটা চাও সেটা।এমনটা বললে কি তালাক হবে? মনে হচ্ছে এটাও আগে করেছ প্রশ্ন।ঠিক মনে নেই।মনে হচ্ছিল তালাক হবে না বলেছিলেন।

১৩।কোন প্রশ্ন মানে তালাকের বিষয়ে আগে করেছে বলে মনে হলে।উত্তর না বলেছে বলেও মনে হলে।পরে সিওর না হলে করেছিল কিনা প্রশ্ন।আবার জিগ্যেস না করলে প্রশ্ন এই সাইটে তাহলে কি কোন গুণাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/27335/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ

লি'আন মানে হচ্ছে অভিসম্পাত করা।
স্বামী,স্ত্রী একে অপরের উপর যেনার অভিশাপ দেয়া।

,
লি'আন করতে হয় কাজি বা বিচারকের মজলিসে।

,
এখানে লি‘আন প্রবর্তনের ঘটনা সম্পর্কিত হাদীছ উল্লেখ করা হ’ল।

 সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, উয়াইমির (রাঃ) আছিম ইবনু আদির নিকট আসলেন। তিনি ছিলেন আজলান গোত্রের সর্দার। উয়াইমির তাঁকে বললেন, তোমরা ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে কি বল, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য পুরুষ দেখতে পায়। সে কি তাকে হত্যা করবে? এরপর তো তোমরা তাকেই হত্যা করবে অথবা সে কি করবে? তুমি আমার পক্ষ হ’তে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞেস কর। তারপর আছিম নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল...। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ ধরনের প্রশ্ন অপসন্দ করলেন। তারপর উয়াইমির (রাঃ) তাঁকে প্রশ্ন করলেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ ধরনের প্রশ্ন অপসন্দ করেছেন ও দূষণীয় মনে করেছেন। তখন উয়াইমির বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে জিজ্ঞেস না করা পর্যন্ত ক্ষান্ত হব না। তারপর তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোন পুরুষকে দেখতে পেলে সে কি তাকে হত্যা করবে? তখন তো আপনারা তাকে (কিছাছ স্বরূপ) হত্যা করে ফেলবেন। অন্যথা সে কি করবে? তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, তোমার ও তোমার স্ত্রী সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা কুরআন অবতীর্ণ করেছেন।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে লি‘আন করার নির্দেশ দিলেন; যেভাবে আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় কিতাবে উল্লেখ করেছেন। তারপর উয়াইমির তার স্ত্রীর সঙ্গে লি‘আন করলেন। এরপর বললেন, (এরপরও) যদি আমি তাকে রাখি, তবে তার প্রতি আমি যালিম হব। তারপর তিনি তাকে তালাক দিয়ে দিলেন। অতএব তাদের পরবর্তী লোকদের জন্য, যারা পরস্পর লি‘আন করে এটি সুন্নাতে পরিণত হ’ল। এরপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, লক্ষ্য কর! যদি মহিলাটি একটি কালো ডাগর চক্ষু, বড় পাছা ও বড় পা ওয়ালা বাচ্চা জন্ম দেয়, তবে আমি মনে করব, উয়াইমিরই তার সম্পর্কে সত্য বলেছে এবং যদি সে লাল গিরগিটির মত একটি লাল বর্ণের সন্তান প্রসব করে তবে আমি মনে করব, উয়াইমির তার সম্পর্কে মিথ্যা বলেছে। এরপর সে এমন একটি সন্তান প্রসব করল, যার গুণাবলী রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উয়াইমির সত্যবাদী হওয়ার পক্ষে বলেছিলেন। তারপর সন্তানটিকে মায়ের দিকে সম্পর্কযুক্ত করে পরিচয় দেয়া হ’ত (বুখারী হা/৪৭৪৫, ৫২৫৯)।

অন্য বর্ণনায় এসেছে, সাহল ইবনু সা‘দ সাঈদী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, উয়াইমির আজলানী (রাঃ) আছিম ইবনু আদী আনছারী (রাঃ)-এর কাছে এসে বললেন, হে আছিম! কী বল, যদি কেউ তার স্ত্রীর সঙ্গে অপর লোককে (ব্যভিচার-রত অবস্থায়) পায়, তবে সে কি তাকে হত্যা করবে? আর এতে তোমরাও কি তাকে হত্যা করবে? যদি সে হত্যা না করে) তাহ’লে কি করবে? হে আছিম! তুমি আমার এ ব্যাপারটি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস কর। এরপর আছিম (রাঃ) এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ অপসন্দ করলেন এবং অশোভনীয় মনে করলেন। এমনকি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) থেকে আছিম (রাঃ) যা শুনলেন, তাতে তার খুব খারাপ লাগল। আছিম (রাঃ) বাড়ি ফিরলে উয়াইমির এসে জিজ্ঞেস করল, হে আছিম! রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তোমাকে কি উত্তর দিলেন? আছিম (রাঃ) উয়াইমিরকে বললেন, তুমি আমার কাছে কোন ভাল কাজ নিয়ে আসনি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ ধরনের জিজ্ঞাসাকে অপসন্দ করেছেন, সে সম্বন্ধে আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছি। উয়াইমির (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস না করে ক্ষান্ত হব না। এরপর উয়াইমির (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট এসে তাঁকে লোকদের মাঝে পেলেন এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কী বলেন, কেউ যদি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য লোককে (ব্যভিচাররত) দেখতে পায়, সে কি তাকে হত্যা করবে? আর আপনারাও কি তাকে হত্যার বদলে হত্যা করবেন? অন্যথা সে কি করবে? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, তোমার ও তোমার স্ত্রীর সম্পর্কে আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে, যাও তাকে নিয়ে এসো। সাহল (রাঃ) বলেন, তারা উভয়ে লি‘আন করল। যে সময় আমি লোকদের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে ছিলাম। উভয়ে লি‘আন করা শেষ করলে উয়াইমির বলল, হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমি তাকে স্ত্রী হিসাবে রাখি, তবে আমি তার উপর মিথ্যারোপ করেছি বলে প্রমাণিত হব। এরপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে নির্দেশ দেয়ার আগেই তিনি স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন। ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, উভয়কে বিচ্ছিন্ন করে দেয়াই পরবর্তীতে লি‘আনকারীদ্বয়ের সম্পর্কিত বিধান প্রচলিত হয়ে গেল’ (বুখারী হা/৫৩০৮)।


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এতে লি'আন হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রেও লি'আন হবেনা।

(০৩)
লি'আন হবেনা।

(০৪)
লি'আন হবেনা।

(০৫)
লি'আন হবেনা।

(০৬)
স্ত্রীর এমন কথা দ্বারা তালাক সংক্রান্ত  কোন সমস্যা হবেনা।
শুধু মিথ্যা বলার গুনাহ হবে।

(০৭)
তালাক হবেনা।

(০৮)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৯)
হ্যাঁ, নিয়ত নেই,ধরা হবে।

(১০)
প্রশ্নের বিবরণ মতে সে মুসলিম থাকবে।
তবে কসম ভেঙ্গে ফেলার দরুন তাকে কাফফারা আদায় করতে হবে।

(১১)
এতটুকু বলার দ্বারা তালাক হবেনা।

(১২)
স্বামী তালাকের নিয়তে এটি বললে তালাক হবে।

(১৩)
গুনাহ হবেনা।
তবে নিজ জীবনের হালাল হারামের কোনো মাসয়ালা হুলে  কষ্ট করে নিজের ওয়াল হতে সেই মাসয়ালা খুজে বের করে নিশ্চিত হয়ে আমল করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (82 points)
edited by
১।১২ নং প্রশ্নে আপনি বলেছেন নিয়ত থাকলে হবে।স্বামীকে আলাদা আলাদা করে প্রশ্ন না করে স্ত্রী জিগ্যেস করেছিল তালাকের নিয়তে কোনদিন কিছু বলেছিল কিনা।স্বামী বলে না বলে নাই কোনদিন।স্বামী তালাকের বিষয়ে কোনদিন প্রশ্ন না করতে বলেছিল।তহ এটার জন্য নতুন করে প্রশ্ন করতে হবে? হয়ত রেগে যাবে স্বামী।কারন কয়েকবার রেগে গিয়েছিল।উল্টা পাল্টা কথা বলতে পারে আবার জিগ্যেস করলে।তহ আর জিগ্যেস না করলে কি গুণাহ হবে?
২।কোন স্ত্রী যদি মেসেজে তালাক চায়।স্বামী যদি বলে ঠিক আছে তুমি যেটা চাও সেটা হবে।এমনটা নিয়ত ছাড়া বউকে থামানোর জন্য বললে বা এমনিতে নিয়ত ছাড়া বললে কি তালাক হবে? মনে হচ্ছে এটাও আগে করেছ প্রশ্ন।ঠিক মনে নেই।
by (559,140 points)
(০১)
আর জিজ্ঞাসা করতে হবেনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...