আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। বিয়ের আগে কারও প্রেমের সম্পর্ক ছিল হেদায়েত পাওয়ার পর ফিরে আসে মেয়েটা। তারপর তার আরেক জায়গায় বিয়ে হয়। ইজাব কবুলের মাসআলা পড়ে তার ওয়াসওয়াসা হয়।  তখন সে একজনকে  দিয়ে ঐ ছেলেকে প্রশ্ন করায় এমন কিছু হইছিল কিনা। সে তাকে বলছে না এমন কিছু হয় নাই এবং আস্তে আস্তে মেয়েটার সন্দেহ দূর হয় যে এমন কিছুই হয় নাই। কারণ তার মনের মধ্যে এমন প্রশ্ন আসে যে মাসআলা পড়ে কেন এমন কিছু মনে আসবে? আর ওর অনেক আগে থেকে সন্দেহ সম্যসা ছিল। হেদায়েত পাওয়ার পরেও তো বাসায় ঐ ছেলের কথা বলছিল তখন ঐ ছেলে ওর মাকে বলছিল আপনার মেয়েকে ভাল ছেলে পেলে বিয়ে দিয়ে দেন। আর ঐ ছেলেও তো কখনো এমন কোন কথা বলে নাই।  এভাবেই ওর সন্দেহ দূর হয় এবং ও ১০০% শিওর এমন কিছু ই হয় নাই।
(১) তারপরও ওর মনে জানার জন্য এমন প্রশ্ন আসে যে ছেলেটা যদি মিথ্যা বলতো হ্যা ওমুক লোক গুলো ছিল এবং বিয়ে নিয়ে  মিথ্যা বলতো তাহলে কি তার এখন কার বিয়েতে কোন সম্যসা হতো? সে তো নিশ্চিত এমন কিছু হয় নাই আার একটা কথা ঐ ছেলেটাও জানতো মেয়ে সন্দেহের সম্যসা আছে।  ঐ ছেলেটা যাকে দিয়ে প্রশ্ন করাইছিলো তাকে বলছিল এই মেয়ে এক কথা বা প্রশ্ন বার বার বলে (আমার মনে হয় প্রশ্ন বলছিল)। আরেকটা ম্যাসেজে বিয়ে হয় না জানি। মেয়েটার বিয়ে হওয়ার পর ছেলেটা মেয়েটার মাকে বহুত বার জ্বালাইছে ফোন দিয়ে৷ তখন মেয়েটার সাথে কি ম্যাসেজ হতো তাও তার মাকে জানাইছে। তবে ইজাব কবুল এসব কিছু বলে নাই। তবে একটা কথা মেয়েটাও শুনছে তার মাকে বলতে যে ওর সাথে আমার বৈধ ভাবে কিছু হয় নাই। আর আমি ওকে কখনো ওই ভাবে বিয়ে করতাম না। আর মেয়েটাও শিওর এখন এমন কিছুই হয় নাই। ১০০% শিওর।
(২) আমার শাশুড়ী মাঝে মাঝে আমাকে কটু কথা বলে শুনলে রাগ হয় আমার স্বামী কে তার মা কি কথা বলছে তা বললে সে উল্টো আমার উপর রাগ হয়। এখানে কি করা যায় যাতে আমার শাশুড়ীর এমন আচরণ থেমে যায়? একটা কথা বলি মনের কস্ট থেকে বলতিসি কিছু মনে করবেন না এবং বেয়াদবি নিবেন না।  । শায়েখ মেয়ে মানুষ জানি কেমন তারা চায় তার মেয়েকে তার জামাই ভালবাসুক কিন্তু ছেলের বৌ কে ছেলে ভালবাসলে বলে আমার ছেলে বৌয়ের ভেড়া। নিজের শ্বশুর বাড়ির কস্টের কথা বলে কাঁদে আর আমাকে সেই একই কস্ট দেয়।

(৩) আরেকটা প্রশ্ন ১ নং প্রশ্নটা করার সময় আল্লাহর কসম এমন কিছু হয় নাই লিখে আবার মুছে দিছি কারণ লিয়ান সম্পর্কে পড়ার পর এই ভয় পাইছি। এতে কিছু হবে আমার বিয়েতো কোন সম্যসা হবে? এভাবে কি লিয়ান হয়?

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। 

প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার শরয়ী এ শর্তাবলী পাওয়া যায়নি।

আরো জানুনঃ- 

(০১)
সে যদি বিয়ে নিয়ে  মিথ্যা বলতো তাহলেও তার এখনকার বিয়েতে কোন সমস্যা হতোনা।

বর্তমান বিবাহ শুদ্ধ।

(০২)
এখানে স্বামী বা মুরব্বিদের মাধ্যমে শাশুড়ীকে বুঝাতে হবে ও আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে।
পাশাপাশি ধৈর্য ধারন করতে হবে।
কথার জবাব দেয়া যাবেনা।
তাহলেই ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে। 

(০৩)
এতে কিছু হবেনা।
আপনার বিয়েতো কোন সমস্যা হবেনা। 
এভাবে লি'আন হয়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...