আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
1. আমার অতীত নিয়ে ওয়াসওয়াসা আসতো ইজাব কবুল এর৷ পরে আপনাদের কাছে সব প্রশ্ন করায় পরিস্কার হই যে সব ওয়াসওয়াসা তখন আমি মত মানতাম অভিভাবক ছাড়া বিয়ে হয় না।  পরে আবার মাথায় আসে আমার স্বামী কোন নির্দিষ্ট মাজহাব মানে না কিন্তু সে  মানে অভিভাবক ছাড়া বিয়ে হয় তাহলে কি আমাদের সংসারে সম্যসা হবে আপনারা উত্তর দিলেন হবে তখন আমি ভাবছি তালাক হবে আর অতীত গুলো ওয়াসওয়াসা তাহলে স্বামীর মত মানবো বলে আবার প্রশ্ন করি তখন আপনারা বলছেন তালাক হবে না ঝগড়া হবে। কিন্তু আমি পুরনো মত টাই মানি যে অভিভাবক ছাড়া বিয়ে হয় না। তখন ঐরকম বলে আপনাদের কাছে প্রশ্ন করলেও ঐ মত টাই মন থেকে চেন্জ করতে পারিনি। এখন কি আমি গুনাহ গার হবো?  কেয়ামত এর দিন দোষী হবো?
২. সংসারে তালাক বা কোন সম্যসা হবে?
৩. অতীতে হারাম সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইতাম কিন্তু ঐ ছেলে ফোন দিতো জ্বালাতো। মাকে বললে সে এক হুজুর টাইপ লোকের কাছে নিয়ে যায়। আমি তাকে জিজ্ঞেস করছি এটা কি কুফরি কাজ সে বলছে না সব কুরআনের আয়াত। আমরা তো জানতাম না বা বুঝতাম না। বিচ্ছেদের জন্য একটা তাবিজ পড়তে দেয় আর একটা পেরেক বা তাবিজ কিছু একটা কবরে পুততে বলে। আমরা বলি পারবো না আপনি পুঁতে দেন। সে বলছে আচ্ছা ফোন করে মনে করায় দিতে। পরে ফোন দিছিলো সে বলছে পুতছে। কিন্ত আসলে কি করছে জানি না। তারপর জানতে পারলাম সব কুফুরি তওবা করছি এবং ইমান নবায়ন করছি। ছেলেটার কোন ক্ষতির উদ্দেশ্য ছিল না। কোন ক্ষতি করতে বলাও হয় নাই। ক্ষতি তো হয় নাই। এখন না জেনে ভুল করছি মারাত্মক গুনাহ হবে? কেয়ামতের দিন শাস্তুি পেতে হবে কঠিন? ঐ ছেলেটার কাছে এগুলো না বলে ক্ষমা চাওয়া হইছিলো কিন্তু নিয়ত ছিল এই বিষয়ে ক্ষমা চাওয়া সে ক্ষমা করছে বলছে। ক্ষমা কি হইছে?

৪. তওবা করে কালেমা পড়ে ছিলাম আমি আর আম্মু এটাই তো ইমান নবায়ন করা তাই তো শায়েখ?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


অভিভাবক ছাড়া বিবাহ হয় কিনা,এটি মতবিরোধ পূর্ণ একটি মাসয়ালা। 

হানাফি মাযহাব মোতাবেক এক্ষেত্রে পাত্র পাত্রী বালেগ বালেগাহ হলে বিবাহ শুদ্ধ হয়।
আর ইমাম শাফেয়ী রহঃ, আহলে হাদীসদের মতে অভিভাবক ছাড়া বিবাহ শুদ্ধ হয়না।

তাদের দলিল,
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত এক হাদীসের মধ্যে রাসূল (সাঃ) বলেছেন :

: (( ﺃَﻳُّﻤَﺎ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓٍ ﻧَﻜَﺤَﺖْ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺇِﺫْﻥِ ﻭَﻟِﻴِّﻬَﺎ، ﻓَﻨِﻜَﺎﺣُﻬَﺎ ﺑَﺎﻃِﻞٌ، ﻓَﻨِﻜَﺎﺣُﻬَﺎ ﺑَﺎﻃِﻞٌ، ﻓَﻨِﻜَﺎﺣُﻬَﺎ ﺑَﺎﻃِﻞٌ، ﻓَﺈِﻥْ ﺩَﺧَﻞَ ﺑِﻬَﺎ ﻓَﻠَﻬَﺎ ﺍﻟْﻤَﻬْﺮُ ﺑِﻤَﺎ ﺍﺳْﺘَﺤَﻞَّ ﻣِﻦْ ﻓَﺮْﺟِﻬَﺎ، ﻓَﺈِﻥْ ﺍﺷْﺘَﺠَﺮُﻭﺍ ﻓَﺎﻟﺴُّﻠْﻄَﺎﻥُ ﻭَﻟِﻲُ ﻣَﻦْ ﻟَﺎ ﻭَﻟِﻲَّ ﻟَﻪُ ))

''যে কোন নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করবে তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল। (এরূপ বিয়ে ঘটে গেলে আর বাতিল বিয়ের) স্বামী যদি তার সাথে মিলিত হয়ে যায় তাহলে সে তার (নারীর) গুপ্তাঙ্গ থেকে যা ভোগ করেছে এর বিনিময়ে মহিলা মাহ্র পাবে। তারা (অভিভাবকরা) যদি এ ব্যাপারে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় তাহলে সুলতানই (শাসকই) তার অভিভাবক গণ্য হবে যার কোন অভিভাবক নেই।'' [হাদীসটি আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ্ তে বর্ণিত রয়েছে।

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻟَﺎ ﺗُﺰَﻭِّﺝُ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓَ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺰَﻭِّﺝُ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﻧَﻔْﺴَﻬَﺎ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﺰَّﺍﻧِﻴَﺔَ ﻫِﻲَ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﺗُﺰَﻭِّﺝُ ﻧَﻔْﺴَﻬَﺎ .

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন : রসূল (সাঃ) বলেছেন : ''কোন নারী কোন নারীর বিয়ে দিবে না এবং নারী নিজে নিজের বিয়ে দিবে না। কারণ, ব্যভিচারী নারী নিজেই নিজের বিয়ে দেয়।'' [হাদীসটি ইবনু মাজাহ্ (১৮৮২) ও দারাকুতনী বর্ণনা করেছেন।

আবূ মূসা আশ'আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে,

ﻋَﻦْ ﺃﺑﻲ ﻣﻮﺳﻰ ﺍﻟْﺄَﺷْﻌَﺮِﻱِّ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺎﻝ :ﻟَﺎ ﻧِﻜَﺎﺡَ ﺇِﻟَّﺎ ﺑِﻮَﻟِﻲٍّ

রসূল (সাঃ) বলেছেন : ''অভিভাবক ছাড়া কোন বিয়েই হবে না''। [হাদীসটি আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ্, আহমাদ (১৯০২৪, ১৯২৪৭) বর্ণনা করেছেন।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(১.২)
আপনাদের বিবাহ অভিবাবক ছাড়া না হয়ে থাকলে বরং অভিভাবকদের সম্মতিতেই আপনাদের বিবাহ হয়ে থাকলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের সংসারে তালাক বা কোন সমস্যা হবেনা।

যেই মাযহাব মানছেন,প্রত্যেক মাসয়ালাতেই তাদের মত মানতে হবে।
নিজের সুবিধা মোতাবেক অন্যম মত মানলে কিয়ামতের ময়দানে আপনি দোষি হবেন।

(০৩)
সে ক্ষমা করে দিয়ে থাকলে ক্ষমা হয়েছে।

(০৪)
হ্যাঁ, এটিকে ঈমান নবায়ন বলে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...