আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
83 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
আমার ফরজ গোসল সম্পর্কে জানার ছিলো। ফরজ গোসল নিয়ে অনেক সমস্যায় আছি।
১/ গতকালকে আমি ফরজ গোসল করেছিলাম। গোসল করার সময় নাভীতে আঙ্গুল দিয়ে একবার খিলাল করে ছিলাম। ভালো ভাবে করিনি। ভেবেছিলাম গোসল শেষে ভালো করে নাভী খিলাল করবো। কিন্তু গোসল শেষে নাভী খিলাল করছি কিনা মনে নেই। মনেহয় নাহ পরে করেছি।আজকে যোহরের নামাজের মধ্যে মনে হয়েছে আমি কি ফরজ গোসল শেষে নাভী খিলাল করেছিলাম?
এখন আমার করনীয় কি, প্রথমে যে অল্প খিলাল করেছিলাম তাতেই চলবে নাকি অন্য কোনো উপায় আছে। প্রথমে তেমন কিছু করিনি  শুধু নাভিতে একটু আঙ্গুল দিয়ে নেড়েছিলাম।
এমনিতেও আমি গভীর ভাবে শয়তানের ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।
২/ রাতে স্বপ্নদোষ হয় নি,,, তাছাড়া শরীরের কোথায় বীর্য দেখতে পাইনি  কিন্তু প্রস্রাব করার সময় মনেহলো প্রস্রাবের সাথে সাদা কিছু গেছে।
এতে করে কি ফরজ গোসল করতে হবে?

৩/ আমার সব সময় মনে হয় পেশাব ও পায়খানা শেষে পানি খরচ করার সময় ছোট ছোট ছিটা শরীরে ও কাপরে আসে। অনেক সময় দেখতে পাই, অনেক সময় দেখতে পাই নাহ। বাট সব সময় মনে হয় হয়তো ছিটে আসছে। এর জন্য আমার করনীয় কি?  আমার তো সব সময় কাপড় পাল্টানো ও শরীর ধৌত করা সম্ভব না।

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে রাসুল সাঃ এর গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।     

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِيَدِهِ، ثُمَّ دَلَكَ بِهَا الْحَائِطَ ثُمَّ غَسَلَهَا، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ غَسَلَ رِجْلَيْهِ.

মাইমূনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপবিত্রতার গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত দেয়ালে ঘষলেন এবং তা ধুলেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। গোসল শেষ করে তিনি তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৬০২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮)
,
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَتْ مَيْمُونَةُ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَاءً لِلْغُسْلِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى شِمَالِهِ فَغَسَلَ مَذَاكِيرَهُ، ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ بِالأَرْضِ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَحَوَّلَ مِنْ مَكَانِهِ فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ

ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাইমূনাহ্ (রাযি.) বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তিনি তাঁর হাত দু’বার বা তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে তাঁর বাম হাতে পানি নিয়ে তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষলেন। তারপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুয়ে নিলেন। অতঃপর তাঁর সারা দেহে পানি ঢাললেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৫৭,২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ফরজ গোসল আদায় হয়ে গিয়েছে।
ফরজ গোসলে কুলি করা,নাকে পানি দেয়া,সমস্ত শরীরে পানি পৌছানো ফরজ ।

সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ফরজ গোসল আদায় হয়ে গিয়েছে।

আরো জানুনঃ

(০২)
এতে ফরজ গোসল করতে হবেনা।
শুধু অযু করে নেয়াই যথেষ্ট হবে।

(০৩)
যদি এসব ছিটা সব মিলে এক দিরহাম চেয়ে কম হয়,তাহলে তাহা মাফ।
কাপড় পরিবর্তন করতে হবেনা।

আর যদি এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি লাগে,তাহলে তো সেই কাপড় পরিবর্তন করতে হবে।

আপনার জন্য করনীয় সম্পর্কে জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
আমি তো যতবার প্রস্রাব করে পানি নেই ততবারই ছিটে আসে। আমি কয়বার কাপড় বদলাবো বা শরীর ধোব।

প্রত্যেক বারই যদি এক দিরহাম এর কম লাগে তাহলে কি মাফ হবে। 
যেমন একবার পানি খরচ করার সময় ১ দিরহাম থেকে কম আসলো 
আবার ২য় বারও ১ দিরহাম থেকে কম আসলো 
৩য় বারও এক দিরহাম থেকে কম আসলো 

এরক যতবার আসবে তাহলে কি মাফ হবে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...