আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
১.আমার স্ত্রী আমাকে বলেছে তোমার কান বা তোমার কানের ফুটা বা তোমার কানের কোন অংশ আমার মামার মত। এর কারনে কি জিহার হয়েছে?

২.আমি আপনাদের ওয়েবসাইটে জিহার সম্পর্কে আরও প্রশ্ন দেখলাম। সেখানে দেখলাম  যে, অনেক উলামায়ে কেরামগন  বলেছেন যে, যদি কোন স্ত্রী  বলে  তুমি আমার বাপ বা বাপের মত  । এখেত্রে মহিলার পক্ষ থেকে যিহার হবে না। কিন্তু কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে।

তখন আমি   এক নাম্বার প্রশ্ন মতে  জিহার হল নাকি এই সন্দেহ দুর করার জন্য আমি  মনে মনে ভাবি যে,  আমি কসমের কাফফারা আদায় করব।

কিন্তু অন্য আরও একটি ওয়েবসাইটে আমি দেখি যে ইবনে তাইমিয়্যাহ( রহ) বলেছেন,  স্ত্রী ও যিহার করতে পারে। স্ত্রী যদি জিহার করে    তাহলে যিহারের যে কাফফারা তা আদায় করতে হবে। তখন আমি মনে মনে ভাবি যে,  যিহারের কাফফার দুই মাস টানা রোজা রাখতে হবে বা ষাট জন মিসকিনকে খাওয়াতে হবে বা একজন দাস আজাদ করতে হবে,  এজন্য আমি অন্য আলেমের মত গ্রহন করি । মতটি হল-   স্ত্রী যিহার করতে পারে না।       এখন আমার প্রশ্ন হল-

ক. এভাবে আমার  কসমের কাফফারা নয়,  যিহারের কাফফার আদায় করতে হবে   এজন্য অন্য আলেমের মত গ্রহন করার   কারনে কি তা প্রবৃওির  অনুসরণ করা হবে?
(যেহেতু আমি যিহার হল নাকি এই  সন্দেহ দুর করার জন্য কসমের কাফফারা দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু ইবনে তাইমিয়্যাহ((রহ) মতে, যিহারের কাফফার দিতে হবে।  আর জিহারের কাফফারা ষাট জন মিসকিনকে খাওয়াতে হবে বা টানা দুই মাস রোজা রাখতে হবে বা একজন দাস মুক্ত করতে হবে       এজন্য আমি   স্ত্রীর দারা যিহার হয় না  এই মতটি গ্রহণ করি)

খ.কেউ যদি আহলে হাদিস হয় তাহলে কি স্ত্রীর দারা যিহার হয় না এই মত টি গ্রহণ করতে পারবে? আহলে হাদিস বা অন্য মাযহাবে কি  অন্য মত আছে?

গ.আমার স্ত্রী আমাকে যে কথা বলেছে তা কি তুমি আমার বাপ বা বাপের মত  এই জাতীয় কথার মধ্যে পরে? এর কারনে কি কসমের কাফফারা দিতে হবে?  যেহেতু কিছু উলামায়ে কেরাম কসমের কাফফারা দিতে হবে বলে মত দিয়েছেন?     
ঘ.আমার   ২ নাম্বার প্রশ্নের ক পয়েন্টের উপরের কলামে বা  অন্য কোথাও কি আস্তাগফিরুল্লাহ লিখতে হত?


৩.আমি আজকে এশার নামাজের পর বাড়ি এসে কুরআন পড়ি। কুরআন পড়ার আগে আমার অজু নিয়ে সন্দেহ হয় যে,  আমার বায়ু বের হয়েছিল নাকি। এই সন্দেহ অবস্থাতেই আমি  কুরআন পড়ি। এই অজু নিয়ে সন্দেহ থাকার পরও কুরআন পড়ার কারনে কি আমার গুনাহ হবে? আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে যে, তোমার কান বা কানের ফুটা বা কানের কোন অংশ আমার মামার মত, তাহলে জিহার হবে না।

(২)
যিহার শুধুমাত্র পুরুষ কর্তৃক হয়।মহিলা যিহার করলে যিহার হয় না।সুতরাং যিহার হল,
স্বামী কর্তৃক  স্ত্রীকে নিজ মাহারাম মহিলা বা তার  অঙ্গের সাথে তুলনা করা।আবার স্ত্রী এমনটা বললে যিহার হবে না।যেমনঃ
(ﻭَﻇِﻬَﺎﺭُﻫَﺎ ﻣِﻨْﻪُ ﻟَﻐْﻮٌ) ﻓَﻼَ ﺣُﺮْﻣَﺔَ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻻَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓَ ﻭَﺑِﻪِ ﻳُﻔْﺘَﻰ ﺟَﻮْﻫَﺮَﺓٌ ﻭَﺭَﺟَّﺢَ اﺑْﻦُ اﻟﺸِّﺤْﻨَﺔِ ﺇﻳﺠَﺎﺏَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓِ ﻳَﻤِﻴﻦٍ.
মহিলা কর্তৃক যিহার তথা স্বামীকে নিজ পিতা ইত্যাদির সাথে তুলনা করলে কোনোপ্রকার হুরমত প্রমাণিত হবে না।এবং কাফফরা ও আসবে না।এটাই গ্রহণযোগ্য মতামত।তবে ইবনুশ শিহনাহ রাহ শপথ ভঙ্গের কাফফরা অনাদায়ের কথা বলেছেন।(আদ্দুর্রুল মুখতার-৩/৪৬৭,ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৩/৩৩০)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/509

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি হানাফি ফিকহকে অনুসরণ করেন, তাহলে সেই ফিকহের আলোকে সিদ্ধান্ত হল, মহিলা কর্তৃক জিহার হয়না। সুতরাং কাফফারা আদায় করতে হবে না।ইবনে তাইমিয়্যাহ হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী।উনার কথা মত আপনি আপনি করতে পারবেন না।হ্যা, আপনি যদি হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী হন,তাহলে উনার কথামত আমল করবেন।

(৩)
অজু চলে গেল কিনা? এ নিয়ে সন্দেহ থাকলে, অজু যাবে না।বরং অজু থাকবে। আপনার তিলাওয়াতের কারণে গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 117 views
0 votes
1 answer 148 views
...