আসসালামু আলাইকুম।
১.আমার স্ত্রী আমাকে বলেছে তোমার কান বা তোমার কানের ফুটা বা তোমার কানের কোন অংশ আমার মামার মত। এর কারনে কি জিহার হয়েছে?
২.আমি আপনাদের ওয়েবসাইটে জিহার সম্পর্কে আরও প্রশ্ন দেখলাম। সেখানে দেখলাম যে, অনেক উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে, যদি কোন স্ত্রী বলে তুমি আমার বাপ বা বাপের মত । এখেত্রে মহিলার পক্ষ থেকে যিহার হবে না। কিন্তু কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে।
তখন আমি এক নাম্বার প্রশ্ন মতে জিহার হল নাকি এই সন্দেহ দুর করার জন্য আমি মনে মনে ভাবি যে, আমি কসমের কাফফারা আদায় করব।
কিন্তু অন্য আরও একটি ওয়েবসাইটে আমি দেখি যে ইবনে তাইমিয়্যাহ( রহ) বলেছেন, স্ত্রী ও যিহার করতে পারে। স্ত্রী যদি জিহার করে তাহলে যিহারের যে কাফফারা তা আদায় করতে হবে। তখন আমি মনে মনে ভাবি যে, যিহারের কাফফার দুই মাস টানা রোজা রাখতে হবে বা ষাট জন মিসকিনকে খাওয়াতে হবে বা একজন দাস আজাদ করতে হবে, এজন্য আমি অন্য আলেমের মত গ্রহন করি । মতটি হল- স্ত্রী যিহার করতে পারে না। এখন আমার প্রশ্ন হল-
ক. এভাবে আমার কসমের কাফফারা নয়, যিহারের কাফফার আদায় করতে হবে এজন্য অন্য আলেমের মত গ্রহন করার কারনে কি তা প্রবৃওির অনুসরণ করা হবে?
(যেহেতু আমি যিহার হল নাকি এই সন্দেহ দুর করার জন্য কসমের কাফফারা দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু ইবনে তাইমিয়্যাহ((রহ) মতে, যিহারের কাফফার দিতে হবে। আর জিহারের কাফফারা ষাট জন মিসকিনকে খাওয়াতে হবে বা টানা দুই মাস রোজা রাখতে হবে বা একজন দাস মুক্ত করতে হবে এজন্য আমি স্ত্রীর দারা যিহার হয় না এই মতটি গ্রহণ করি)
খ.কেউ যদি আহলে হাদিস হয় তাহলে কি স্ত্রীর দারা যিহার হয় না এই মত টি গ্রহণ করতে পারবে? আহলে হাদিস বা অন্য মাযহাবে কি অন্য মত আছে?
গ.আমার স্ত্রী আমাকে যে কথা বলেছে তা কি তুমি আমার বাপ বা বাপের মত এই জাতীয় কথার মধ্যে পরে? এর কারনে কি কসমের কাফফারা দিতে হবে? যেহেতু কিছু উলামায়ে কেরাম কসমের কাফফারা দিতে হবে বলে মত দিয়েছেন?
ঘ.আমার ২ নাম্বার প্রশ্নের ক পয়েন্টের উপরের কলামে বা অন্য কোথাও কি আস্তাগফিরুল্লাহ লিখতে হত?
৩.আমি আজকে এশার নামাজের পর বাড়ি এসে কুরআন পড়ি। কুরআন পড়ার আগে আমার অজু নিয়ে সন্দেহ হয় যে, আমার বায়ু বের হয়েছিল নাকি। এই সন্দেহ অবস্থাতেই আমি কুরআন পড়ি। এই অজু নিয়ে সন্দেহ থাকার পরও কুরআন পড়ার কারনে কি আমার গুনাহ হবে? আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?