আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (67 points)
১. কেও কি চাইলে নিজের বউকে তালা★ দেওয়ার ক্ষমতা অন্য মানুষ কে দিতে পারে?দিলে ওই ব্যক্তি কি ভাবে বললে সে ক্ষমতা দেওয়া মানুষের বউকে আলাদা করে ফেলতে পারে?

২. আমি একদিন আমার একবন্ধুর সাথে রাতে কি খাবো তা নিয়ে আলোচনা করছি,  তখন তাকে বলি " তুমি যে সিদ্ধান্ত নেবে তা ই মেনে নিবো" এই কথাটি বলার সময় আমার মাথায় স্ত্রী তালা& এর কথা চলে আসে, আমার বিভিন্ন কথার সময় লেখার সময়ও এই রকম এই কথা মাথায় চলে আসে। তো তাকে যে বললাম "তুমি যে সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নিবো" এইটা বলেছি খাবার এর নিয়তেই তবুও মাথায় ওই বিষয় চলে আসায় সে কি আমার হয়ে আমার বউকে তালা* দিতে পারবে?

৩. আমার আর আমার বউ এর কিছু ঝগড়া হয়েছে শুনে সে আজকে বললো " তর বউকে তিন তালা★ দিয়ে দে" কথা টি শুনে কিছু সময় আমি চুপ থাকি তারপর ধীর স্বরে বলি "আজাইরা মাত পাছ না" এই ঘটনায় কি কোনো সমস্যা হবে?

৪. আমার মাথায় কিছু দিন ছিলো তালা*  এর ওসওয়াসা পরে কিছু দিন গেলো কুফর এর এই দুইটা গেছে এখন আবার তালা* এর ভয় হয় কিছু হলেই মনে হয় এই কি অঘটন হয়ে গেলো কি?একটা পরামর্শ দিন, সারাদিন একটু পরপর এই কথা সেই কথা বললেই হয় কুফর না হয় তালা* এর ওসওয়াাসায় আছি, আমাকে বেঁচে থাকার একটা উপায় বলে দিন।

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
وَإِذَا قَالَ لِرَجُلٍ: طَلِّقْ امْرَأَتِي  فَلَهُ أَنْ يُطَلِّقَهَا فِي الْمَجْلِسِ وَبَعْدَهُ وَلَهُ أَنْ يَرْجِعَ كَذَا فِي الْهِدَايَةِ.
যদি কেউ অন্য কোনো ব্যক্তিকে বলে, তুমি আমার স্ত্রীকে( আমার পক্ষ্য থেকে)তালাক দাও,তাহলে মজলিসের ভিতর বা বাইরে ঐ ব্যক্তি নির্দেশদাতার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবে। এবং নির্দেশদাতা তালাকের অধিকারকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতেও পারবে।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০৭)

(২)
"তুমি যে সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নিবো" এই কথা শুধুমাত্র খাবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে গ্রহণযোগ্য হবে না । সুতরাং স্ত্রী তালাকের কোনো প্রশ্নই আসতে পারে না।

(৩)
আমার আর আমার বউ এর কিছু ঝগড়া হয়েছে শুনে সে আজকে বললো " তর বউকে তিন তালা★ দিয়ে দে" কথা টি শুনে কিছু সময় আমি চুপ থাকি তারপর ধীর স্বরে বলি "আজাইরা মাত পাছ না"

এই ঘটনায় সমস্যা হবে কেন?
এখানে তালাকের কিছুই তো নাই।

(৪)
আপনি তাবলীগে তিন চিল্লা দিবেন।ইনশা'আল্লাহ সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,000 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...