আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (60 points)
edited by
একজন ভাই একটা কমেন্ট করলেন সেই প্রশ্ন আমার মাথায় ও আসলো, তাছাড়া আমার দুটি জিগ্যেসা আছে দেখলে ভালো হয়।

১.মুফতি সাহেব, আসসালামু আলাইকুম,সাম্প্রতিক একটি জিগ্যেসা,সমাধান দিলে উপকার হবে।

 আজকে একজনকে একটা পোস্ট এর কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার শেষ লাইনে ছিলো " *পুজোর শুভেচ্ছা জানানো হারাম, স্পষ্ট কুফুরী* " এখন অনেকে এই কথার উপর একাত্ততা প্রকাশ করে পোস্ট করেতেছেন, কিন্তু সকল ফতোয়ায় দেখলাম যে শুভেচ্ছা জানানো হারাম, কুফরী কেও বলতে এখনো দেখি নাই। উনি যে হারাম কাজকে স্পষ্ট কুফুরী বললেন এবং যারা তা সমর্থন করে শেয়ার করছেন, ওদের কি এজন্য গুনাহ হবে?  বা ইমানে সমস্যা হবে?

২.আমরাও কি উনার কথার সাথে একাত্ততা পোষন করতে পারি?

৩. "কেও যদি কথা প্রসঙ্গে, চলমান সকল ফিতনাকে দাজ্জালের ফিতনা বলে অবিহিত করে" এতে কি সে কাফের হবে?
৪. আসলে আমার বউ একদিন একটা বড় কমেন্টের মাঝে এই রকম একটা কথা ডুকিয়ে দিয়েছিলো, পরে তাকে বলি যে দাজ্জাল তো এখনো আসে নি তার ফিতনা এখন আসলো কিভাবে, পরে সে ঠিক করে।  তার থেকে এটা জানা হয় নাই সে কি বুঝে এই সকল ফিতনাকে দাজ্জালের ফিতনা বলেছিলো। তার কি ইমানে সমস্যা হয়েছিলো?
৫. আমি একজনের থেকে একটা বইবেল এনেছিলাম, পড়ার জন্য, সেটা অন্য গল্পের বইএর সাথে এক থাকের মাঝে থাকে, এটা কি ঠিক আছে? আর  এইটা অনেক পুরাতন, এই কভারে লেখা ছিলো "পবিত্র বাইবেল" এইটার লেখা উঠে যেতে শুরু করায় আমি আবার মার্কার দিয়ে লিখে দেই  যে, "পবিত্র বাইবেল" এতে কি কুফরি হবে আমার? আমি তখন কুফরি সম্পর্কে অবগত ছিলাম না, কতোদিন আগে লিখেছি সঠিক মনেও পরছে না, কারণ হিসাবে কেবল এইটাই মনে হচ্ছে কাভারের লেখার রং উঠে যাওয়ায় লিখেছিলাম । (উল্লেখ্য আমি বিশ্বাস করতাম যে বাইবেল বিকৃত হয়ে গিয়েছে)
৬. কেও যদি মনে মনে ভাবে, যে তার হিন্দু বন্ধু যদি তাকে পুজায় যেতে বলে তবে তাকে বলবে,সে যদি নামাজে আসে তবে সেও পুজায় যাবে/পুজা করবে, (কি ভেবেছিলো পরিষ্কার মনে নাই) তার পর তার মনে হলো এই কথা বললে তো হয় না, কারণ সে নামাজে আসলে আমি কি কুফরী করবো না কি। পরে তাতক্ষনিক তওবা করেছে কি না এজন্য মনে নাই, পরে আবার মনে হওয়ার পর তওবা করেছে। তার কি এই মনে মনে ভাবনায় কুফর হয়েছে?

জাজাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 

(০১)
এট হারাম।
কুফরি নয়।

মহান আল্লাহ্ বলেন, “নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম।” (সূরা আল ইমরানঃ১৯)

"হে লোক সকল! একটি উপমা বর্ণনা করা হলো, অতএব তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শোন; তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের পূজা কর, তারা কখনও একটি মাছি সৃষ্টি করতে পারবে না, যদিও তারা সকলে একত্রিত হয়। আর মাছি যদি তাদের কাছ থেকে কোন কিছু ছিনিয়ে নেয়, তবে তারা তার কাছ থেকে তা উদ্ধার করতে পারবে না, প্রার্থনাকারী ও যার কাছে প্রার্থনা করা হয়, উভয়েই শক্তিহীন।" [সূরা হজঃ ৭৩]

"নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন।" [সূরা আন নিসাঃ১১৬]

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যারা কুফরি বলেছেন,যারা তা সমর্থন করে শেয়ার করছেন, ওদের এজন্য গুনাহ হবেনা। ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০২)
হারাম হওয়ার ব্যাপারে একাত্মতা পোষন করা যাবে।

(০৩)
না,এতে সে কাফের হবেনা।

(০৪)
না,তার ঈমানে সমস্যা হয়নি।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে কুফরি হয়নি।

(০৬)
তার এই মনে মনে ভাবনায় কুফর হয়নি।

হাদিস শরিফে  এসেছে, 
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلُوهُ: إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ، قَالَ: وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ؟ قَالُوا: نَعَمْ، قَالَ: ذَاكَ صَرِيحُ الْإِيمَانِ.
সারমর্মঃ
একবার সাহাবায়ে কেরমের একদল রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা আমাদের অন্তরে কখনো কখনো এমন বিষয় অনুভব করি, যা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা আমাদের কাছে খুব কঠিন মনে হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, সত্যিই কি তোমরা এরকম পেয়ে থাক? তাঁরা বললেন হ্যাঁ, আমরা এরকম অনুভব করে থাকি। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, ذَاكَ صَرِيحُ الْإِيمَانِ এটি তোমাদের ঈমানের স্পষ্ট প্রমাণ। (মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, অনুচ্ছেদ: অন্তরের ওয়াসওয়াসা)

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...