আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
183 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
reopened by
আসসালামু আলাইকুম

১/ নাপাক কাপড় তিনবার ধুলে এবং প্রত্যেকবার নিংড়ানো হলে তা পাক হয়। আপনারা বলেছেন নাপাক কাপড় ধোয়ার পানির ছিটা নাপাক। আমি কাপড় ধোয়ার সময় হাফ বালতি পানি নেই, যেহেতু একটা কাপড়। এক্ষেতে ১ম বার ধুয়ে সব পানি ফেলে দিলেও বালতির উপরের দিকে পানির ছিটা থেকেই যায় এবং হাতের যেটুকু অংশ ডুবিয়ে কাপড় পরিষ্কার করেছি সেটুকুতে কিছু পানি থেকে যায় । সেটা আবার ২য় বার ধোয়ার জন্য পানি নিলে সেই পানির সাথে মিশে, এভাবে ৩য় বার ও একই। প্রত্যেকবার তো বালতির উপরের পানির ছিটা ( যেটা ১ম বার নাপাক কাপড় ধোয়ার পানির ছিটা) নতুন পানিতে পড়ছে, কোনোবারই তো উপরের পানিগুলো পরিবর্তন হচ্ছে না।  তাহলে পানির ছিটা নাপাক হলে এভাবে কি কাপড় পাক হচ্ছে? এখন কিভাবে পাক করব?

২/ রাস্তায় গবর সহ অনেক নাপাকি থাকে, যখন রাস্তা দিয়ে যাই তখন জুতার নিচে লাগার সম্ভাবনা থেকে যায়। আমার বাসা থেকে যে রাস্তা দিয়ে মসজিদে যাই সেখানে গবর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় জুতার নিচে নাপাকি লাগার সম্ভাবনা আছে। এমণ অবস্থায় ওযুখানায় ওযু করার আগে পাসহ জুতা ধুয়ে নেই তখন ধুয়ার সময় পানির ছিটা আসে, এবং ধোয়ার সময় ওযু করার ফ্লোরে পানির ছিটা পড়ে। সেখানে ওযুর করার সময় পানি পড়ে সেটা আবার ছিটে কাপড়ে, পায়ে লাগে। তাহলে পা, কাপড় নাপাক হচ্ছে? আবার ওযুখানার ফ্লোরে যেহেতু পানি থাকে এক্ষেত্রে আমি ট্যাপে যাওয়ার আগে যে জায়গা দিয়ে গিয়েছি সেখানে নাপাক লাগার কথা এতে অন্যরা সেই ফ্লোর দিয়ে গিয়ে ট্যাপে যাচ্ছে ফলে আমার মতই পানির ছিটা তাদের ও লাগছে। এক্ষেত্রে করনীয় কি? অনেকেই দেখি সেই রাস্তা দিয়ে এসেই নরমালি ওযু করে চলে যাচ্ছে। তাহলে কি আমি বেশি বেশি ভাবছি? এগুলো কি ওয়াসওয়াসা?
আমার এখন করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
প্রথমবার কাপড় ধৌত করার পর বালতিতে যে পানি লেগে থাকবে,সেই পানি নাপাক নয়।হ্যা,পানির ছিটা নাপাক।এবং হাতে লেগে থাকা পানিও নাপাক নয়।এটা জরুরতের বিত্তিতে প্রমাণিত।সুতরাং টেনশন করবেন না।

(২)
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
(قوله: وطين شارع)طين الشوارع عفو وإن ملأ الثوب للضرورة ولو مختلطا بالعذرات وتجوز الصلاة معه.................أقول: والعفو مقيد بما إذا لم يظهر فيه أثر النجاسة كما نقله في الفتح عن التجنيس
প্রয়োজনের ধরুণ রাস্তার মাঠি ক্ষমাযোগ্য। যদিও কাপড় মাঠি দ্বারা লেপ্টে যাউক না কেন এবং যদিও সেই মাঠি নাজাসত দ্বারা মিশ্রিত হউক না কেন। এদ্ধারা নামায বিশুদ্ধ হবে। তবে যদি  নাজাসতের চিন্থ দৃশ্যমান থাকে,(এক দিরহামের বেশী হলে)তাহলে নামায বিশুদ্ধ হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৪২৪)

নাজাসত সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/118

আরো বর্ণিত রয়েছে,
২. ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪৩
৩. হেদায়া-১/৭৬
৪. আহসানুল ফাতওয়া-২/৮৩,১০১
৫. ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-৫/১২৮,২৭৩

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রাস্তায় দৃশ্যমান কোনো নাপাকি না থাকলে,জুতা নাপাক হবে না।এবং প্রস্রাব সম্পর্কে পরিপূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস না হলে, জুতাতে পানি জাতীয় তরল কিছু লাগলে,জুতাও নাপাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...