বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মাবসুত গ্রন্থ প্রণেতা বিশিষ্ট হানাফি ফকিহ আল্লামা সারখাসী রাহ বলেনঃ
(إلا عصر يومه فإنه يؤديها عند غروب الشمس) لأن هذا الوقت سبب لوجوبها حتى لو أسلم الكافر أو بلغ الصبي في هذا الوقت يلزمه أداؤها فيستحيل أن يجب عليه الأداء في هذا الوقت ويكون ممنوعا من الأداء وعلى هذا لو غربت الشمس وهو في خلال العصر يتم الصلاة بالاتفاق، ولو طلعت الشمس وهو في خلال الفجر فسدت صلاته عندنا، وعند الشافعي لا تفسد اعتبارا بحالة الغروب واستدل بقوله - عليه الصلاة والسلام - «من أدرك ركعة من الفجر قبل طلوع الشمس فقد أدرك».
মাকরুহ ওয়াক্ত সমূহে নামায পড়া যাবে না।তবে ঐ দিনের আছরের নামায পড়া যাবে।তথা সূর্যাস্তের সময় ঐ দিনের আছরের নামায পড়া যাবে।কেননা ঐ সময়টাই মূলত সালাত ওয়াজিব হওয়ার মূল সবব বা কারণ।এমনকি যদি ঐ সসময় কোনো কাফির মুসলমান হয় বা কোনো বালক বালেগ হয়,তাহলে এমতাবস্থায় তার উপর উক্ত ওয়াক্তের নামায আদায় করা লাযেম।যদি বিষয়টা বাস্তবে এমনই হয়ে থাকে তাহলে উক্ত ওয়াক্তে নামায ওয়াজিব হওয়া এবং আদায় নিষিদ্ধ হওয়া উভয়টা একত্রিত হয়ে যা যা প্রায় অসম্ভব বললে অত্যুক্তি হবে না।এজন্য বলা যায় যে,আছরের নামায পড়া অবস্থায় যদি সূর্যাস্ত হয়ে যায়,তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে নামায পড়া সেই সময়েও শুদ্ধ হবে। কিন্তু ফজরের সালাত পড়া অবস্থায় যদি সূর্যোদয় হয় তাহলে আমাদের হানাফি উলামায়ে কেরামদের মতে তা ফাসিদ হয়ে যাবে।এবং ইমাম শা'ফেয়ী রাহ এর মতে আছরের মত ফজরের সালাত ও ফাসিদ হবে না।শা'ফেয়ী হযরাতগণ এক্ষেত্রে ঐ হাদীস দ্বারা দলিল পেশ করেন যে হাদীসে বলা হয়েছে,
"যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে ফজরের এক রা'কাত নামায পেয়ে গেল সে যেন সমস্ত নামায পেয়ে গেল।
ফজরের নামাযে এক রা'কাত পড়ার পর সূর্যোদয় হয়ে গেলে ঐ দিনের ফজরের নামায কি হবে?ইমাম শাফেয়ী রাহ, ইমাম মালিক রাহ,আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মতে নামায হয়ে যাবে।তবে হানাফি মাযহাব মতে তখন নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/471
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিষিদ্ধ সময়ের পূর্বেই ফজরের নামাযকে সমাপ্ত করতে হবে, নতুবা নামায হবে না।