বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত নামায রোযার স্থায়ী ক্যালেন্ডারের ভিত্তিতে ইফতার ও সাহরীর সময়কে নির্ধারণ করবেন।এ ক্যালেন্ডারের সাথে যদি কোনো এপসের মিল থাকে,তাহলে সেই এপসের প্রদর্শিত সময়কে আপনি গ্রহণ করতে পারবের।তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে নিরাপদ হল আপনি পাশের মসজিদকে অনুসরণ করে নিবেন।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
2392 ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক যে ক্যালেন্ডার রয়েছে,সেটা হানাফি ফিকহের আলোকে রচিত।জানুন-
1959
আপনি যে ক্যালেন্ডারের কথা বলছেন,সেটা হানাফী না । বরং বলতে গেলে সেটা সালাফি ক্যালেন্ডার।
3575 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,আযান প্রচলনের হেকমত বা রহস্য হিসেবে চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় "বর্ণিত রয়েছে,
شُرِعَ الأَْذَانُ لِلإِْعْلاَمِ بِدُخُول وَقْتِ الصَّلاَةِ، وَإِعْلاَءِ اسْمِ اللَّهِ بِالتَّكْبِيرِ، وَإِظْهَارِ شَرْعِهِ وَرِفْعَةِ رَسُولِهِ، وَنِدَاءِ النَّاسِ إِلَى الْفَلاَحِ وَالنَّجَاحِ
তরজমাঃ-নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশ হয়েছে, একথা বোঝানোর জন্য আযানের প্রচলন শুরু হয়।শুধু তাই নয় বরং তাকবীরের মাধ্যমে আল্লাহর নামকে উচু করার স্বার্থে।এবং আল্লাহ তা'আলার বিধি-বিধানকে প্রকাশ করতে ও তার রাসূল সাঃ এর মর্যদাকে বৃদ্ধি করতে সর্বোপরি লোকদিগকে কল্যাণ ও কামিয়াবির দিকে ডাকতে আযানের প্রচলন শুরু হয়।(২/৩৫৯)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক একখানা ক্যালেন্ডার সংগ্রহে রেখে দিবেন।তারপর নিম্নোক্ত বিষয়টি মনে রাখবেন।
ফুকাহায়ে কেরামদের উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা বুঝা যায় যে,আযান হচ্ছে নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশের ঘোষক।কিন্তু যেহেতু আযানের পরপরই নামায শুরু করাটা সুবিধাজনক। তাই ওয়াক্ত প্রবেশের সাথে সাথেই আযান না দিয়ে বরং হাদীসে বর্ণিত মুস্তাহাব ওয়াক্তের কিছু পূর্বে আযান দেয়া হয়ে থাকে।সুতরাং প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্ত হয়ে গেলে আযান হোক বা নাই হোক, শোনা যাক বা নাই যাক।নামায পড়ে নিলে নামায অাদায় হয়ে যাবে।তবে প্রত্যেক নামাযের মুস্তাহাব ওয়াক্তেই নামায পড়া উত্তম।