ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
জায়েজ আছে। তবে মনোযোগ দিয়ে শ্রবন করতে হবে।
(০২)
হ্যাঁ, জায়েজ হবে।
তবে মনোযোগ দিয়ে শ্রবন করতে হবে।
(০৩)
এমন স্থানে কুরআন তিলাওয়াত শোনা যাবেনা, কুরআনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা হয় বা মনোযোগ দেয়া সম্ভব হয়না।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
“ আর যখন কুরআন তিলাওয়াত করা হয় তখন তোমরা চুপ থাকো ও মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করো যেন তোমরা রহমত প্রাপ্ত হও।” (সূরা আ’রাফ: ২০৪)
শরহুল মুনতাহা কিতাবে বলা হয়েছে:
لا يجوز رفع الصوت بالقرآن في الأسواق مع اشتغال أهلها بتجارتهم وعدم استماعهم له، لما فيه من الامتهان (شرح المنتهى)
“বাজারের মধ্যে মানুষ যখন ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকে এবং কুরআনে মনোযোগ সহকারে শুনতে পারে না তখন সেখানে উচ্চ আওয়াজে কুরআন তেলাওয়াত করা জায়েয নেই। কেননা এতে কুরআনের প্রতি অবমানা হয়।”
ইমাম বাইহাকী এই মর্মে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন:
فصل في رفع الصوت بالقرآن إذا لم يتأذ به أصحابه، أو كان وحده، أو كانوا يستمعون له
البيهقي في الشعب)
“অনুচ্ছেদ: যখন সঙ্গী-সাথীদেরকে কষ্ট না দেওয়া হবে অথবা যখন একাকী থাকবে এবং অন্যান্য লোকজন মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করবে তখন কুরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে আওয়াজ উঁচু করা।” (বাইহাকী, শুআবুল ঈমান)
وکذا قولہم بکفرہ، إذا قرأ القرآن في معرض کلام الناس، کما إذا اجتمعوا فقرأ فجمعناہم جمعًا، ولہ نظائر کثیرۃٌ في ألفاظ التکفیر کلہا ترجع إلی قصد الاستخفاف، بہ قال قاضیخان الفقاعی إذا قال عند فتح الفقاع للمشتري صل علی محمد ، قالوا: یکون آثمًا۔ (الأشباہ والنظائر ۱۰۴ زکریا)
যার সারমর্ম হলো কুরআনের অসম্মান হয়,অবমাননা হয়,এহেন জায়গায় কুরআন তেলাওয়াত করা গুনাহ।
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে
لا یقرأ جہرا عند المشتغلین بالأعمال ومن حرمۃ القرآن أن لا یقرأ في الأسواق وفي مواضع اللغو۔ (الفتاویٰ الہندیۃ، الکراہیۃ / الباب الثالث في الرجل
لأي رجل الخ ۵؍۳۱۶)
যারা ভিন্ন কাজে লিপ্ত আছেন,তাদের কাছে কুরআন শরিফ জোড়ে আওয়াজে পড়া যাবেনা।
বাজার,এবং যেখানে অনার্থক কাজ বা কথা হয়,এহেন জায়গায় কুরআন তেলাওয়াত করা কুরআনের প্রতি অসম্মান করা।
বিস্তারিত জানুনঃ-