(মুফতি সাহেব, বড় চিন্তায় পরেছি কিছু পশ্ন নিয়ে, একটু কষ্ট করে জবাব দিলে উপকার হবে। অধিক প্রশ্নে বিরক্ত করায় ক্ষমা চাইছি, তবে অনেক অপারগ হয়ে পরেছি, সাহায্য করার কেও পাই না,বিভিন্ন প্রশ্ন মাথায় আসে)
১. আমি নাপাক কাপড় কিছু জমিয়ে একসাথে নিয়ে একটি বালতিতে বা কিছু তে তিন বার পানি বদল করে ধোই , এর জন্য একবার কাপড় ধোয়ার পর এবং দ্বিতীয় বারের আগে সেই বালতি ও কি তিন বার ধোয়া প্রয়োজন?
২. ১ম ,২য় এবং ৩য় বার কাপড় নিংড়ানোর পর যে পানি পরে তা কি নাপাক? নিংড়ানো পরে কাপড় মেলে দেওয়ার পর যে পানি পরে টুপটুপ করে তা ও কি নাপাক?
৩.আমরা তো অনেক মাসআলার ক্ষেত্রে ভুল টা কোথাও থেকে হয়তো জেনে এসেছি , বা মনের কথা মতো ভুল টা কে সত্য ভেবে আমল করেছি, এই ক্ষেত্রে সঠিক টা জানার পর তা মেনে নিলেই কি ইমান রক্ষার জন্য যথেষ্ট হবে ?সব সময় হয়তো তওবা করতে পারি না পরে মনে হলে কখনো করি
৪.””না জেনে, আল্লাহ পাপ পুণ্যের মালিক ধারণা করলে ঈমান চলে যাবে”” এই প্রশ্ন দেখে আমি ভাবতেছিলাম যে “ উনি এই প্রশ্ন কেনো করলেন , পাপ পূন্যর মালিক আল্লাহ ছাড়া আর কে ?“” আসলে প্রশ্ন টা পড়ে তেমন ভাবি নাই েএর গভীরতা । আর আমি এইটা জানি এবং মানি যে পাপ এর ক্ষেত্রে আল্লাহ তা’য়লার দিকে নিসবত করা যায় নাই। আমার কি ইমানে সমস্যা হবে ? চিন্তায় আছি
৫. কোনো হিন্দু নারী কে মাসি বা পিসি ডাকলে বা নিজের খালা কে মাসি ডাকলে কি ইমানে সমস্যা হবে , না কি তা জায়েজে আছে
৬. কিছু মানুষ একসাথে হাসি তামাশা , মজা করা , চিল্লাপাল্লা করতে দেখলে বা এই সকল উদ্দেশ্য নিয়ে কেও যদি বলে ”কীর্তন দিতাছো নি” বা ”চলো একটা কীর্তন দিয়া আই “ তবে কি তা কুফরি হবে কি না ?(সাধারনত এই শব্দ ধারা হিন্দুরা যাদের উপাসনা করে তাদের গুণগান বুঝায় তবে কীর্তন (সংস্কৃত: कीर्तन) সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ ধারণা বা গল্পের বর্ণনা করা, আবৃত্তি করা, বলা, বর্ণনা করা, বিশেষ করে ভারতীয় ধর্মে। উইকিপিডিয়া
৭. আমি আগে যখন কুফরী সম্পকে জানতাম না তখন এইগুলো বলতাম , এখনো জানি না এই কথা কুফরী কি না তবে আগের অভ্যাসের জন্য কখনো ভুলে বা বেখেয়ালি বলে ফেললে তওবা করি আমার কি ইমানে সমস্যা হবে ?
৮. আমার বয়স যখন ৯/১০ তখন এক স্যার আমাকে এরুপ একটা কথা বলেছিলেন যে, "শয়তান এর সকল কাজ সঠিক" (নাউজুবিল্লাহ) আমি এটা তখন ছোট থাকায় মেনে নিয়েছিলাম তার কিছু মাস /বছর পর বাবাকে এই কথা বললে তিনি ভূল ধরিয়ে বলেন "শয়তানের সকল কাজ ভুল তবে দাবি করে সে ঠিক"। তখন ভেবে বুঝতে পেরেছিলাম ওই স্যারের কথা ভুল ছিলো। এই ঘটনা যতোদূর মনে হচ্ছে ১২/১৩ বছর বয়সের বা তার ও ছোট কালের, একজেক্ট মনে পরছে না। আমার আবার কয়েক বছরের অভ্যাস প্রতিদিন ঘুমানের সময় সকল কলিমা পরে দোয়া করে ঘুমাই, কিন্তু এখন স্পেসিফিক ভাবে ওই দিন পরেছি এমন তো মনে পরে না, কিন্তু আমার এই অভ্যাস আছে এখনো অনেক আগে থেকেই চলছে। আমি প্রায় বছর দুই আগে বিয়ে করি, এই ঘটনায় কি কুনো ইমানে বা বিয়েতে সমস্যা হবে?