ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) একই হজ্ব বা উমরাহর সফরে একাধিকবার উমরাহ করা যাবে।
(২)
একজন মাহরামের পুরুষের সাথে যতজন ইচ্ছা মাহরাম মহিলা হজ্ব করতে পারবে বা উমরাহ করতে পারবে কিংবা দূরে কোথাও সফরে যেতে পারবে। মহিলার একজন হোক বা একাধিক, সবার জন্য মাহরাম হয়, এমন একজন পুরুষ সাথে থাকলেই হবে।
(৩)
তাহিয়্যাতুল ওযু, তাহিয়্যাতুল মসজিদ ও ফজরের সুন্নত এ তিনটির নিয়ত করে একসাথে মসজিদে নামায আদায় করা যাবে না।হ্যা, ফজরের সুন্নতের নিয়তে দাড়ালে অটোমেটিক অপর দুইটি আদায় হয়ে যায়।
বাড়ি থেকে ফজরের সুন্নত পড়ে আসলে মসজিদে তাহিয়্যাতুল ওযু তাহিয়্যাতুল মসজিদ একসাথে পড়া যাবে
তিন সময়ে ফরয-নফল তথা সকল প্রকার নামায পড়া মাকরুহে তাহরিমী।যথা- (১)সূর্যোদয়ের সময় (২)সূর্যাস্তের সময় (৩)সূর্য ঠিক মধ্যখানে অবস্থানের সময়।
আর পাঁচ সময়ে শুধুমাত্র নফল নামায পড়া মাকরুহ।
উপরোক্ত তিন সময়। (৪)সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত।অর্থাৎ ফজরের নামাযের আগে ও পরে (৫)আছরের নামাযের পরে। (শেষোক্ত দুই সময়ে ফরয নামায পড়া মাকরুহ নয়)
সুতরাং এই পাঁচ সময়ে যেকোনো প্রকার নফল নামায,চায় তাহিয়্যাতুল ওজু হোক বা তাহিয়্যাতুল মসজিদ হোক, সবই মাকরুহ।প্রথম তিন প্রকারে মাকরুহে তাহরিমীর বিধান রয়েছে।আর শেষ দুই প্রকারে প্রকাশ্যে কোথাও পাইনি।তবে যতটুকু সম্ভব মনে হচ্ছে, মাকরুহে তানযিহি-ই হবে।(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1330
সুতরাং ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর বাড়ীতে ফজরের সুন্নত পড়ে মসজিদে গিয়ে তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া যাবে না। বরং তখন ফজরের ফরযের সাথে তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় হয়ে যাবে।
(৪)
ঈদে মীলাদুন্নবীতে অনুষ্টানে কখনো শরীক হওয়া যাবে না।
(৫)
না, করা যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/166