আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
258 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (11 points)
প্রশ্নটি আমার স্ত্রীর।

আমি বিবাহিত। আমি এবং আমার হাসবেন্ড কস্ট হলেও হালাল ইনকামে চলার খুব চেষ্টা করি। আমার বাবা একজন ছোটো ব্যবসায়ী। উনার ব্যবসার বেশিরভাগ মূলধন ই ব্যাংক থেকে লোন নেয়া। সেগুলো উনি বিপদে পরেই আনেন। বার বার ব্যবসায় লস হয়, কারো কাছে ধারও পান না, তাই বাধ্য হয়ে আনেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে

১. মূলধন যেহেতু সুদের টাকা(হারাম টাকা), তাহলে এই ব্যবসা থেকে পাওয়া লভ্যাংশ হালাল কিনা

২. আমার জন্য বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া জায়েজ হবে কিনা, সেখানে খাওয়া জায়েজ হবে কিনা
৩. আমার বাবা আমাকে কোনো উপহার, উপঢৌকন দিলে নেয়া জায়েজ হবে কিনা

৪. তারা আমাদের বাসায় বেড়াতে আসলে যেসব খাবার দাবার আনেন সেগুলো খাওয়া জায়েজ হবে কিনা
by (13 points)
সুদের সাথে কোনো ভাবে জড়িত থাকাই হারাম। লোন দিয়ে সুদ নিলে শুধু সুদের টাকাটা হারাম। আপনার ক্ষেত্রে লোন নিয়ে সুদ দিতে হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে টাকা হালাল। এর মাধ্যমে ব্যাবসা করে লাভ নেওয়াও হালাল। খাবার দাবাড়, উপহার সবই হালাল হবে।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রথম কথা হল,
বিশিষ্ট হানাফি ফিকহ বিশারদ আল্লামা ইবনে নুজাইম লিখেন
ﻭَﻓِﻲ اﻟْﻘُﻨْﻴَﺔِ ﻭَاﻟْﺒُﻐْﻴَﺔِ: ﻳَﺠُﻮﺯُ ﻟِﻠْﻤُﺤْﺘَﺎﺝِ اﻻِﺳْﺘِﻘْﺮَاﺽُ ﺑِﺎﻟﺮِّﺑْﺢِ (اﻧْﺘَﻬَﻰ)
নিঃস্ব মুখাপেক্ষী মানুষের জন্য সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয।
আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের-১/৭৯;
বাহরুর রায়েক-৬/১৩৭;

সুদের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ হারাম। তবে জরুরত অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে প্রয়োজন পর্যন্ত সিদ্ধ/বৈধ করে দেয়। তাই যদি কারো অন্য কোনো উপায় না থাকে,শত চেষ্টা করেও কোনো উপায় বের করতে না পারে,তাহলে বিলাশীতা পরিহার করে স্বাভাবিক জীবন পরিচালনার জন্য  ইস্তেগফারের সাথে লোন নিতে পারবে, জায়েয রয়েছে।

দ্বিতীয়ত,
হারাম মূল দ্বারা যদি কেউ হালাল উপায়ে কিছু উপার্জন করে, যে উপার্জনের তার শ্রমও থাকবে, ফুকাহায়ে কেরামের মতে এখানে মূলধন হারাম থাকার কারণে ঐ ব্যক্তির উপার্জন হারাম হবে না। বরং হালালই থাকবে। কেননা এখানে তার হালাল শ্রম রয়েছে। এবং পদ্ধতিও হালাল ছিল। হ্যা, তার উপর ওয়াজিব,সে ঐ হারাম মূলধনকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিবে বা সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত সদকাহ করে দিবে। কারো সামর্থ্য থাকাবস্থায় হারাম মূলধন দ্বারা ব্যবসা করা কখনো জায়েয হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/53560

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. আপনার বাবার নিকট ভিন্ন কোনো রাস্তা না থাকলে, আপনার বাবার জন্য লোন নেয়ার রুখসত থাকবে।

২. আপনার জন্য বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া জায়েজ হবে। সেখানে খাওয়া জায়েজ হবে।

৩. আপনার বাবা যদি তাকে কোনো উপহার, উপঢৌকন দেন, তাহলে সেটাও জায়েজ হবে।

৪. তারা আপনার বাসায় বেড়াতে গেলে, যেসব খাবার দাবার নিয়ে যাবেন, সেগুলোও  খাওয়া আপনার  জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।
by (11 points)
জাযাকাল্লাহ খয়রন ওয়া আহসানাল জাযা উস্তাদ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...