আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
180 views
in সালাত(Prayer) by (73 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
           ০১.কিছু মহিলা একত্র হয়ে  সালাতুততাসবিহ  পড়েন।এদের মধ্যে সবাই এই নামাজ পড়তে জানেন না।আবার অনেকে তাসবিহের হিসাব রাখতে পারেন না । তাই পড়তে জানেন এবং হিসাব করতে পারেন এমন একজন মহিলা নামাজ পড়ার সময় আওয়াজ করে নামাজ পড়েন। এসব শুনে যারা পারেন না তারাও তার সাথে মনে মনে পড়েন। এই পদ্ধতি কতটুকু সঠিক (বিস্তারিত জানালে উপকার হত)?
 ০২.যদি সঠিক না হয় তবে কী পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে?
০৩.এক্ষেত্রে যদি একজন মহিলা ইমামতি করেন তবে   ঠিক হবে কি না?(যতটুকু জানা -  ঘোষণা দিয়ে নফল নামাজ এবং  মহিলাদের ইমামতিতে জামাত উভয়টাই মাকরুহ)
০৪.সালাতুত তাসবিহ   দুই দুই করে চার রাকাত করে পড়া উত্তম নাকি ৪ রাকাত  একসাথে আদায় করা উত্তম?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আব্বাস ইবনে আব্দিল মুত্তালিবকে বলেছেন, হে চাচা! আমি কি আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে প্রদান করব না? আমি কি আপনার নিকটে আসব না? আমি কি আপনার জন্য দশটি সৎ গুনের বর্ণনা করব না যা করলে আল্লাহ তাআলা আপনার আগের ও পিছনের, নতুন ও পুরাতন, ইচ্ছায় ও ভুলবশত কৃত, ছোট ও বড়, গোপন ও প্রকাশ্য সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন? আর সে দশটি সৎ গুন হলো: আপনি চার রাকাত নামাজ পড়বেন। প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পড়বেন। প্রথম রাকাতে যখন কিরাআত পড়া শেষ করবেন তখন দাঁড়ানো অবস্থায় ১৫ বার বলবেন:
سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ
{উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার}
এরপর রুকুতে যাবেন এবঃ রুকু অবস্থায় (উক্ত দুআটি) ১০ বার পড়বেন। এরপর রুকু থেকে মাথা ওঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদায় যাবেন। সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠাবেন অতঃপর ১০ বার পড়বেন। এরপর আবার সিজদায় যাবেন এবং সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা ওঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এ হলো প্রতি রাকাতে ৭৫ বার। আপনি চার রাকাতেই অনুরূপ করবেন। যদি আপনি প্রতিদিন আমল করতে পারেন, তবে তা করুন। আর যদি না পারেন,তবে প্রতি জুমাআয় একবার। যদি প্রতি জুমআয় না করেন তবে প্রদি মাসে একবার। আর যদি তাও না করেন তবে জীবনে একবার। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১২৯৭,সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৩৮৭,সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১২১৬,সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪৬৯৫}হাদীসটি সহীহ।

ইবনে আবদেীন শামী রাহ বলেন, উক্ত বিভিন্ন ত্বরিকায় বর্ণিত হওয়ার কারণে তা হাসান হাদীসের পর্যায়ভুক্ত। যারা যঈফ বা মাওযু বলেন, তাদের কথা অগ্রাহ্য।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/14301

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
প্রশ্নে বর্ণিত পদ্ধতি সঠিক নয়।বরং কেউ পড়তে চাইলে দু'আ শিখে একাকিই পড়বে।

(২)
প্রথমে দু'আ শিখবেন।তারপর একাকি নামায পড়বেন। সংখ্যাতে ভুল হলে তাতে কোনো সমস্যা নাই।

(৩)
জ্বী, মহিলাদের জামাত মাকরুহ।এবং মহিলাদের ইমামতিতে নামাযও মাকরুহ।

(৪)
একসাথে চার রা'কাত পড়াই উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 264 views
+1 vote
1 answer 1,049 views
...