আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
953 views
in সালাত(Prayer) by (12 points)
ফজর নামাজের পর হুয়াল হাইয়ুল কাউয়ুম

যোহর নামাজের পর হুওয়াল আলিয়্যূল আজিম

আসর নামাজের পর হুয়াল রাহমানুর রাহিম

এগুলো ৭ অথবা ১০০ বার পড়ার কোনো সহিহ হাদিস আছে ?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 

আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) নামাজ আদায় করার পর মহান আল্লাহ তাআলার জিকির-আজকারের প্রতি মনোযোগী হতে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষ করে প্রতি ওয়াক্তের ফরজ নামাজের পর বিশ্বনবী (সা.) গুরুত্বপূর্ণ জিকির ও দোয়া পড়তেন।

নামাজের সালাম ফেরানোর পর প্রিয়নবী কিছু সময় দোয়া ও তাসবিহ পড়তেন। তার উম্মতকেও এ সব দোয়া পড়তে উৎসাহ প্রদান করতেন।
যে সব নামাজের পর সুন্নত কিংবা নফল নামাজ রয়েছে সেসব নামাজে সংক্ষেপে দোয়া পড়তেন। আর যেসব নামাজে সুন্নত কিংবা নফল নামাজ নেই তাতে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় ধরে দোয়া ও তাসবিহ পড়তেন। 
হাদিসে এসেছে-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামাজের সালাম ফেরাতেন, তখন এ দোয়া পাঠ করা পরিমাণ সময়ের বেশি বসে থাকতেন না। (আর তাহলো)-
اَللهُمَّ اَنْتَ السَّلَامُ وَ مِنْكَ السَّلَامُ تَبَرَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি নিজেই শান্তিময়। আর আপনার কাছ থেকেই শান্তি আসে। হে প্রতাপশালী ও সম্মানের অধিকারী! তুমি বরকতময়।’ (মুসলিম)

অন্য হাদিসে এসেছে, নামাজ শেষে প্রিয়নবি বলতেন-
হজরত ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামাজ শেষ করতেন, তখন ৩বার ইসতেগফার করতেন-
اَسْتَغْفِرُ الله
অর্থ : হে আল্লাহ! ক্ষমা করুন।

 অতঃপর বলতেন-
اَللهُمَّ اَنْتَ السَّلَامُ وَ مِنْكَ السَّلَامُ تَبَرَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি নিজেই শান্তিময়। আর আপনার কাছ থেকেই শান্তি আসে। হে প্রতাপশালী ও সম্মানের অধিকারী! তুমি বরকতময়।’ (মুসলিম)
 
★নামাজের পর যেকোনো তাসবিহ পড়া যেতে পারে।
তবে যেসব নামাজের পর সুন্নাত নামাজ আছে,সেসব নামাজের পর বেশিক্ষন সময় ব্যায় করে তাসবিহ না পড়াই উত্তম । 

বিঃদ্রঃ প্রশ্নে উল্লিখিত পদ্ধতিতে ফরজ নামাজের পর তাসবিহ পড়ার কথা হাদীস শরীফে নেই। 
তবে এটাকে কোনোভাবে নাজায়েজ বলা যায়না।
পড়া যেতে পারে,কোনো সমস্যা নেই। 
ফায়েদা থেকে খালি নয়।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 115 views
...