আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

১।

বর্তমান প্রশ্নঃ

কোন স্ত্রী যদি মেসেজে তালাক খুজে এরপর স্বামী ধরেন বলল দিব অথবা ধরেন কিছু বলে নি।এর পর পর স্ত্রী যদি বলে মেসেজে আর কি মা বাবার পছন্দমত করতাম অনেক ভাল হত বিয়ে অথবা যদি বলে অশিক্ষিত এর সাথে থাকতে পারব না ইত্যাদি। এর পরপর স্বামী নিয়ত ছাড়া বলে যাও মা বাবার পছন্দমত কর গা বিয়ে অথবা যদি বলে থাকিও না অশিক্ষিত এর সাথে তাহলে কি তালাক হবে? এখানে তালাক চাওয়ার উত্তরে কেনায়া শব্দ বলে নি।শুনেছি তালাক চাওয়ার উত্তরে কেনায়া শব্দ বললে হয় যে  তালাক। মেসেজে বা ফোনে তালাক চাওয়ার উত্তরে না বলে অন্য কথার উত্তরে কেনায়া শব্দ নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হয় না।যেমন এই প্রশ্নে ধরেন তালাক চাওয়ার উত্তরে বলে নি মা বাবার পছন্দের কথার বলার পর স্ত্রী , তখন স্বামী নিয়ত ছাড়া বলেছে।তাহলে কি তালাক হবে? এরকম প্রশ্ন তবে হুবুহু এমন না আগেও করেছি কিন্তু তালাক হবে না বলেছিলেন।পূর্বের প্রশ্নটা নিচে এড করে দিছি।

২।স্বামীকে আলাদা আলাদা প্রশ্ন না করে এক্কেবারে করেছে স্ত্রী  কোনদিন তালাকের নিয়তে কিছু বলেছিল কিনা।স্বামী বলে না।আর জিগ্যেস করতে হবে? স্বামী রেগে যেতে পারে।আর ভুলভাল বলতে পারে।কারন স্বামী বারন করেছিল। আর প্রশ্ন না করলে কি গুণাহ হবে?

পূর্বের প্রশ্নঃ

কোন স্ত্রী যদি মেসেজে তালাক খুজে এরপর স্বামী ধরেন বলল দিব বা ধরেন কিছু বলে নি।এরপর স্ত্রী যদি বলে মেসেজে আর কি মা বাবার পছন্দমত করতাম অনেক ভাল হত বিয়ে বা যদি বলে অশিক্ষিত এর সাথে থাকতে পারব না ইত্যাদি। এরপর স্বামী নিয়ত ছাড়া বলে যাও মা বাবার পছন্দমত কর গা বিয়ে বা যদি বলে থাকিও না অশিক্ষিত এর সাথে তাহলে কি তালাক হবে? এখানে তালাক চাওয়ার উত্তরে কেনায়া শব্দ বলে নি।শুনেছি তালাক চাওয়ার উত্তরে কেনায়া শব্দ বললে হয় যে  তালাক।এর একটু পর ও বললে নিয়ত ছাড়া বললেও হয় না মানে তালাক চাওয়ার উত্তরে না বলে এর পর নিয়ত ছাড়া বললেও হয় না।

উত্তরঃপ্রশ্নে স্বামীর নিয়ত না থাকায় তালাক হবে না।

1 Answer

0 votes
by (560,460 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এক্ষেত্রে স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকায় তালাক পতিত হবেনা।

(০২)
স্বামীকে আর প্রশ্ন না করলে গুণাহ হবেনা।
বরং এক্ষেত্রে সেই স্ত্রীর জন্য স্বামীকে এ সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন না করাই উচিত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...