আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখেছিলাম ইয়াজিদ সম্পর্কে    সেখানে বলা হয়  ইয়জিদ এর শাসনামলে তিনটি বড় ধরনের অন্যায় কাজ হয়েছে। ইমাম হোসাইন রাঃ শহিদ হয়েছেন।   তার বংশের অনেক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। মক্কা আক্রমন করা হয়েছে হুজুর এই কথাগুলো ভিডিও তে শোনার সময় আমি মনে মনে ইয়াজিদ কে শুয়োরের বা...... বলে গালি দেই। এবং আমি সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়ি।    আমি মনে করেছি ইয়াজিদের নেতৃত্ব এ ঘটনা ঘটেছে।   কিন্তু ভিডিও শেষে বুজতে পারি যে ইয়াজিদের শাসনামলে এ ঘটনা ঘটেছে কিন্তু তিনি কোন বিচার করেন নি।    ইয়াজিদ সম্পর্কে আরো ভিডিও দেখে বুজতে পারি যে,  আমরা তাকে ভালোওবাসিনা আবার গালমন্দও করব না। হুজুর এভাবে মনে মনে গালি দেওয়ার কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে? (তখন পর্যন্ত আমি জানতাম না ইয়াজিদ এর বাবা হযরত মুয়াবিয়া রাঃ)

২.কেউ যদি হযরত মুয়াবিয়া রাঃ সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করে তাহলে কি তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? সে গালি দিয়েছিল নাকি সঠিক মনে নেই। এতেও কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে ?    (সাহাবিদেরকে গালি দিলে  ঈমান ভংগ হয় জানার পর সে ইস্তিগফার পড়েছে)

৩. হুজুর ছোট বেলায় আমি একটি কবিতা পরেছিলাম তা হল - আল্লাহর কুদরত বোঝা বড় দায় আবাবিল ঢিল ফেলে কাফের পালায়। কিন্তু সেদিন আমি ভুল করে পড়েছি যে আল্লাহর নেয়ামত বোঝা বড় দায় আবাবিল ঢিল ফেলে কাফের পালায়। (আস্তাগফিরুল্লাহ)। এভাবে ভুল বলার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? আর আস্তাগফিরুল্লাহ লিখা কি ঠিক ছিল।

৪.হুজুর আমরা অনেক সময় ইসলামের কোন বিধান বা বিষয় দেখে বলি যে ইসলাম কঠিন  । এভাবে বলার কারনে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে? আর  প্রশ্নে কি আস্তাগফিরুল্লাহ লিখতে হত?

৫.কেউ যদি রাসুল সাঃ এর শাফায়াত সম্পর্কে মনে মনে এভাবে ধারণা করে যে     রাসুল সাঃ এর হাদিস না মানলে আমল না করলে শাফায়াত করবে?  আমল নাই হাদিস মানা নাই অনেকে শাফায়াতের ব্যাপারে বলে তো তাই আমি মনে মনে এরকম ধারণা করতাম।        রাসুল সাঃ এর হাদিস মানতে হবে আমল করতে হবে তারপর শাফায়াত। আমার এরকম ধারণার কারনে বা এরকম মনে হওয়ার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?  আর প্রশ্নে আস্তাগফিরুল্লাহ লিখতে হত কি?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
এতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা। 
বিবাহের কোনো সমস্যা হবেনা।

(০২)
মহান আল্লাহ ইরশাদ করেনঃ  

وَالسَّابِقُونَ الْأَوَّلُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنصَارِ وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُم بِإِحْسَانٍ رَّضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي تَحْتَهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ۚ ذَٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

“আর যেসব মুহাজির ও আনসার (ঈমান আনয়নে) অগ্রবর্তী এবং প্রথম, আর যেসব লোক সরল অন্তরে তাদের অনুগামী, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও তাতে সন্তুষ্ট। তিনি তাদের জন্য এমন। উদ্যানসমূহ প্রস্তুত করে রেখেছেন, যার তলদেশে নদীমালা প্রবাহিত; যার মধ্যে তারা চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান করবে, এ হল বিরাট সফলতা।” (তাওবাহঃ ১০০)।

ইবনে মাসউদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ يَجِيءُ أَقْوَامٌ تَسْبِقُ شَهَادَةُ أَحَدِهِمْ يَمِينَهُ، وَيَمِينُهُ شَهَادَتَهُ

“সর্বোত্তম যুগ হল আমার (সাহাবীদের) শতাব্দী। অতঃপর তৎপরবর্তী (তাবেয়ীদের) শতাব্দী। অতঃপর তৎপরবর্তী (তাবেতাবেয়ীনদের) শতাব্দী। অতঃপর এমন সম্প্রদায়ের আগমন ঘটবে, যাদের একজনের কসমের আগে সাক্ষি হবে, আবার সাক্ষির আগে কসম। হবে।”
(বুখারী ২৯৫২, মুসলিম ২৫৩৩নং হাদীস)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উল্লেখযোগ্য আক্বিদা-বিশ্বাস এর মধ্যে অন্যতম হলোঃ

সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি।এবং তাদের স্ব স্ব অবস্থানে সঠিক। তাদের মধ্য থেকে কাউকে মন্দ বলা যাবে না।এবং কটাক্ষ করাও যাবে না।তাদের মধ্যকার পরস্পর ঝগড়া-বিবাদ নিছক তাদের নিজস্ব ব্যাপার।উক্ত ঝগড়ায় শরীক হয়ে কারো পক্ষাবলম্বন করা যাবে না।বরং সর্বদা নিজেকে এই স্পর্শকাতর বিষয় থেকে আগলিয়ে রাখতে হবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বিদা হল-সাহাবায়ে কেরাম সমলোচনার উর্দ্ধে। তাদের দোষ বর্ণনা করা হারাম ও কবিরা গুনাহ”। (শরহুল আকায়েদ পৃষ্ঠা ৩৫২)

মহান রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেছেন-আমি [সাহাবাদের] তাদের প্রতি সন্তুষ্ট আর তারাও আমার অনুগত। {সূরা তাওবা-১০০}

রাসূল সাঃ সাহাবাদের সম্পর্কে বলেন-আমার সাহাবীরা তারকাতুল্য। তোমরা যারই অনুসরণ করবে হেদায়েত পেয়ে যাবে। {কানুযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১০০২, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-২৪৩৫৫}

আরো জানুনঃ- 

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ঈমান না চলে গেলেও আপনি এহেন ধারণা পরিহার করে তওবা না করলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত থাকবেননা।

(০৩)
এভাবে ভুল বলার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।।

আর আস্তাগফিরুল্লাহ লিখার দরুনও কোনো সমস্যা হবেনা।  এটি লেখা ঠিক ছিলো।

(০৪)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।
আস্তাগফিরুল্লাহ লেখা উচিত ছিলো।

(০৫)
এরকম ধারণার কারনে বা এরকম মনে হওয়ার কারনে আপমার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।
আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
আর প্রশ্নে আস্তাগফিরুল্লাহ লিখতে হতোনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...