আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
১.আসসালামু আলাইকুম। হুজুর কেউ যদি কোন বিষয়   নিয়ে   মনের ভিতর চিন্তা করে এবং মনে মনে বলে যে সবই আল্লাহর কারসাজি। (আস্তাগফিরুল্লাহ) সে কুদরত বা অনুগ্রহ বোঝাতে চেয়েছিল। কিন্তু অই কথাটা মনে পড়ে। সে তখন মনে মনে ইস্তিগফার পরেছিল বলে মনে হচ্ছে। কারন তখন তার ঘুম ঘুম ভাব হচ্ছিল। এ কথা মনে আসার কারনে কি তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে।

২.হুজুর আরেক দিন কেবল একটু ঘুম ধরতেছে তখন বিভিন্ন কথা মনে হচ্ছিল। শয়তানের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে মনে করি।   তখন আমি মনে মনে বলি আল্লাহ আমার পক্ষে আছেন। তখন আমি মনে করি কথাটা বলা ভুল হল  বলে আমি ইস্তিগফার পড়ি। হুজুর এর কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে। এই ইস্তিগফার পড়ার কারনে কোন সমস্যা হবে?  হুজুর ফুল কথাটা অবশ্য আমার মনে নেই। আধো আধো ঘুম ধরার কারনে?

৩.  আমার মা ঈমান ভংগের কারন সম্পর্কে ওভাবে জানে না। কালকে আমার আম্মা গল্প  করার সময় বলছিল,  এক জানলিওয়ালা     মহিলা আম্মদের কাছে গল্প করেছিল যে,  এক ব্যাক্তি আল্লাহ সম্পর্কে বাজে শব্দ ব্যাবহার করে      গালি দেয়। তবুও  তাকে আল্লাহ মাফ করে দেন। কারণ গালির শব্দে আল্লাহ শব্দ বলছে তাই।   আমার আম্মু অই ব্যাক্তি যে খারাপ শব্দ উচ্চারণ করে গালি দিয়েছিল, সে বাজে শব্দ আমার আম্মু উউচ্চারণ করে। হুজুর কারনে কি আমার আম্মুর ঈমানে কোন সমস্যা হবে?  আমার আম্মা আল্লাহ কে উদ্দেশ্য করে বলেনি অই ব্যাক্তি যে আল্লাহ কে গালি দিয়েছে গল্প করার সময় সেটা   সেটা বলেছে। আমি আমার আম্মুকে সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়তে বলি।

৪. হুজুর ফেসবুকে অনেক মেয়দেরকে দেখা যায় যে, তারা বোরখা পরে  বা পর্দা করে   টিকটক করে বা নাচের ভিডিও দেয়।  তখন মানুষ সেটাকে নিয়ে ট্রল করে। সেই ট্রলের  ভিডিওতে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে একটা গান প্রায়ই শোনা যায় তা হল। কনফার্ম জান্নাতি কনফার্ম জান্নাতি।    হুজুর এই রকম গান শুনে কেউ যদি হাসে তাহলে কি তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  বা এইরকম গান গেয়ে যদি কেউ ট্রল করে তাহলে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঈমানের সমস্যা হবেনা। 

(০২)
এই ইস্তিগফার পড়ার কারনে কোন সমস্যা হবেনা।

(০৩)
আপনার মায়ের গল্প করার সময়েও এরকম বাক্য উচ্চারণ করা ঠিক হয়নি।
তাকে তওবা করতে হবে।

তবে তার ঈমান চলে যাবেনা।
এতে তার ঈমানের সমস্যা হয়নি।

(০৪)
এই রকম গান শুনে কেউ যদি হাসে তাহলে তার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।
তবে এগুলো দেখা,শোনা জায়েজ নেই।
,
এইরকম গান গেয়ে যদি কেউ ট্রল করে তাহলে এতে জান্নাত নিয়ে ঠাট্রা করা হলে ঈমানের সমস্যা হবে।
নতুবা ঈমানের সমস্যা না হলেও এগুলো নাজায়েজ কাজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...