আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
270 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (11 points)
১-  ৬ কালেমা মুখস্থ করা কি জরুরী? প্রত্যেকটা কালেমাএর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি, কালেমা শাহাদাতে কি, ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু হবে না? কালেমা তামজীদ ও তাওহিদ(আমরা আগে ভিন্নরকম পড়েছি) পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।

২-ফজরের নামাজের সুন্নত নামাজ আগে পড়তে হয়।যদি কোনো কারণে দেরি করে ফজর নামাজ পড়ি সেই শেষ মুহূর্তে আগে ফরজ নামাজ পড়বো নাকি আগে সুন্নত নামাজ পড়বো।

৩-এশার প্রথম চার  রাকাত সুন্নত এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি

৪-কোন অমুসলিম ভাই বা বোনকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার ব্যাপারে কি কোনো দায়বদ্ধতা আছে? দ্বীনে ইলম গ্রহণ এবং দ্বীনী ইলম দান সম্পর্কে কোন দায়বদ্ধতা আছে? হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা জানতে চাচ্ছি

৫-কোন সূরার থামা চিহ্নের ওপর থেমে গিয়ে ,ওয়াকফ সিংহ চিহ্ন আসার আগে ওই অবস্থায় কুরআন পড়া বন্ধ করে দিলে সমস্যা আছে কি?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
ইসলাম গ্রহণের নিয়তে শুধু কালেমা তাইয়েবা বা কালেমা শাহাদাত উচ্চারণ করলে সে মুসলিম হয়ে যাবে।
কালেমা তাইয়েবা এই–
لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ (লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।)
কালেমা তাইয়েবার অর্থ এই– আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নাই, মুহাম্মাদ ﷺ তাঁর প্রেরিত রাসুল।

কালেমা শাহাদাত এই–
أَشْهَدُ اَنْ لّآ اِلهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه، وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً اعَبْدُه وَرَسُولُه
(আশ্হাদু আল-লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু-লা-শারীকালাহু ওয়া আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদান আ’বদুহু ওয়া রাসূলুল্লাহ।)

কালেমা শাহাদাতের অর্থ এই– আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই।  আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি,  মুহাম্মদ ﷺ আল্লাহর বান্দা ও তাঁর প্রেরিত রাসুল।
,
এটা মুখস্থ করার বাধ্যবাধকতা নেই।  
প্রশ্নে উল্লেখিত অন্যান্য কালেমা হাদীস শরীফে সরাসরি পাইনি।
সুতরাং কোনো প্রয়োজন নেই।
,
(০২)
ফজরের নামাজ পড়তে দেড়ি হলে আগে সুন্নাতই পড়বেন,তার পর ফরজ পরবেন।
তবে যদি ওয়াক্ত কম থাকে,তাহলে ফরজ আগে পড়বে।
,
সুন্নাত এর কাযা সূর্য উদিত হওয়ার পর আদায় করবে।
,
(০৩)
ইশার পূর্বে চারা রাকায় নামাজ পড়া মুস্তাহাব তথা ভালো,উত্তম কাজ।
যে তাহা আদায় করবে,সে ছওয়াব পাবে,আদায় না করলে কোনো সমস্যা নেই। 
,
হাদীস শরীফে এই চার রাকাত সম্পর্কে কোনো আলোচনা আসেনি।       
তবে কিছু কিছু ছাহাবায়ে কেরামগন উক্ত নামাজ পড়া পছন্দনীয় মনে করেছেন।  
,
عن سعيد بن جبير : كانوا يستحبون أربع ركعات قبل العشاء الآخرة".
(قیام اللیل لمحمد بن نصر الروزی: ۵۸)
সায়িদ বিন যুবায়ের রাঃ ইশার পূর্বে চার রাকাত  নামাজ পড়াকে পছন্দনীয় মনে করেছেন।  

 وأما التطوع قبل العشاء بأربع رکعات فحسن، والتطوع بعدہا رکعتان".
(المحیط البرہاني، کتاب الصلاۃ، الفصل الحادي عشر في التطوع قبل الفرض وبعدہ، ۲/ ۲۳۲، رقم: ۱۶۳۶-۱۶۴۱ ط: المجلس العلمي بیروت
যার সারমর্ম হলো এই নামাজ ভালো।   

البحر الرائق (۲: ۸۸ مطبوعہ مکتبہ زکریا دیوبند)  
: وأما الأربع قبل العشاء فذکروا في بیانہ أنہ لم یثبت أن التطوع بہا من السنن الراتبة فکان حسنا لأن العشاء نظیر الظہر في أنہ یجوز التطوع قبلہا وبعدہا کذا في البدائع، 
যার সারমর্ম হলো  এই নামাজ রাসুল সাঃ থেকে সুনানে রাতেবাহ হিসেবে প্রমানিত নয়।   

وذکر في المحیط إن تطوع قبل العصر بأربع وقبل العشاء بأربع فحسن لأن النبي صلی اللہ علیہ وسلم لم یواظب علیہا اھ وانظر غنیة المستملي (ص ۳۳۴- ۳۳۲)وإعلاء السنن (۷: ۲۰) أیضًا
রাসুল সাঃ সর্বদায় এই নামাজ আদায় করেননি,তাই এটার বিধান হলো আদায় করা উত্তম। 
,
(০৪)
কোন অমুসলিম ভাই বা বোনকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার ব্যাপারে এতটুকুও যথেষ্ট যে এই কাজ সমস্ত নবী রাসুল করেছেন।
,
অনেক অনেক ছওয়াব এতে রয়েছে। 
শক্তি সামর্থ থাকলে এই কাজ করা জরুরি, তবে না করলে গুনাহ নেই।

.
(০৫)
ওয়াকফের জায়গাতেই থামা উচিত। 
অন্যথায় অনেক সময় অর্থ অসম্পূর্ণ থাকে,বা পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 77 views
...