১/ টেবিল/বিছানা বা মেঝেতে টিক্টিকির মল শুকিয়ে গেলে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে বা ঝাড়ু দিয়ে ফেলে সেখানে যদি ভেজা হাত পা লাগে নাপাক হবে?
সব জায়গায় অতিরিক্ত থাকে টিক্টিকির মল। মুছে বা ফেলে দিলেও কিছুক্ষণ পর আবার দেখা যায়।
২/ এখানে(
https://ifatwa.info/56408/) ইয়াকীন বা দৃঢ় বিশ্বাস হলে নামায দোহরাতে বলা হয়েছে।
কিন্তু আমি আপনাদেরকে হয়তো বুঝাতে পারতেছি না সমস্যা।
আমি শান্ত হতে পারছি না কিছুতেই তাই আবার আমি চ্যাক করেছি প্যাড এর পরিবর্তে একটুকরো কাপড় দিয়ে।
আমি নামাযের শেষে গিয়ে দেখতেছি যে আমার ওযু থাকতেছে না। এখন এটা কোন নামাযে ফরয সুন্নাহ না কি নফল তা বুঝার উপায় নেই।
গতকাল ২টা থেকে রাত ৯:৩০ পর্যন্ত যা চ্যাক করেছি-
যোহরের সুন্নাহ নামাযের পর চ্যাক করে দেখলাম কাপড়ে স্রাব(তরল) লাগানো
পরে কাপড়ের সাইড পরিবর্তন করে দিলাম ফরয নামাযে সুন্নাহ নামাযের তুলনায় কম
আবারো কাপড় পরিবর্তন করে দিলাম তারপরের চার রাকাতে দেখলাম কিছু লাগে নি তার পরে ভাত খেয়ে এসে দেখি স্রাব শুকিয়ে আছে কখন লেগেছে টের পাই নি।
এরপরে অন্য কাপড় নিলাম অনেক্ষণ পর দেখলাম কিছু লাগেনাই তখন কাপড় দিয়ে স্পর্শ করালাম, কাপড়ের মধ্যে স্রাব চলে এসেছে, একক কয়েন থেকে কম হবে।
তারপরে আছরের নামাযের আগে আবারও স্পর্শ করালাম যে দেখছি স্রাব এসেছে।
আছরের সুন্নাহ নামাযের পর স্রাব(তরল) লেগেছে
ফরয নামাযে কিছু লাগেনি দেখে স্পর্শ করালাম পরর স্রাব লেগেছে।
মাগরিব ও এশার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এমনিকরে স্পর্শ করাতেই স্রাব লেগেছে।
এখন সকালে ফজরের সুন্নাহ নামাযের পর স্রাব(তরল) এসেছে
ফরয নামাযের পর ও লেগেছি মে বি। মনে হলো লাগছে কিন্তু চ্যাক করি নাই।
এই অবস্থায় আমি পবিত্র থাকার উপায় কি?
সারাক্ষণ মনে হচ্ছে নাপাকির মধ্যে আছি।
কোনওসময় ফিল হয়ে কিছুই লাগে নি, আবার কোন সময় লাগে নাপাকির মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছি।
কোন সময় দেখা যায় কন্টিনিউয়াসলি লাগছে আবার কোন সময় ছেড়ে ছেড়ে।
এই অবস্থায় নামায/কুর'আন কীভাবে পড়বো?
যখন তখন চাইলেই নামাযে কীভাবে দাঁড়াতে পারবো? কারন সুযোগ পেলেই আমার আগের(নন প্রাক্টিসিং থাকতে) করা কাযা নামায আদায় করতে হবে।
নামায বা কুর'আন পড়তে মনযোগী হতে পারছি না। একরকমের আতংকিত অবস্থায় থাকতে হচ্ছে।
আবার কাপড় বা প্যাড বেশিক্ষণ পরে থাকলে ব্যাথা ওও জ্বালাপোড়া হচ্ছে। কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারছি না।
এই নামাযগুলা কি আবারো কাযা পড়তে হবে? সুন্নাহ ফরয নফল সহ? কারন আমি সম্পূর্ণ পড়েছি।
ডাক্তার দেখিয়েছিলাম আগের থেকে এখন কমেছে অনেক। কিন্তু এই কমের মধ্যে এক কয়েন স্রাব খুবিইই কম সময় এসেছে। সব সময় এক কয়েনের কম আসছে।