একজন ভাই একটা কমেন্ট করলেন সেই প্রশ্ন আমার মাথায় ও আসলো, তাছাড়া আমার দুটি জিগ্যেসা আছে দেখলে ভালো হয়।
১.মুফতি সাহেব, আসসালামু আলাইকুম,সাম্প্রতিক একটি জিগ্যেসা,সমাধান দিলে উপকার হবে।
আজকে একজনকে একটা পোস্ট এর কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার শেষ লাইনে ছিলো " *পুজোর শুভেচ্ছা জানানো হারাম, স্পষ্ট কুফুরী* " এখন অনেকে এই কথার উপর একাত্ততা প্রকাশ করে পোস্ট করেতেছেন, কিন্তু সকল ফতোয়ায় দেখলাম যে শুভেচ্ছা জানানো হারাম, কুফরী কেও বলতে এখনো দেখি নাই। উনি যে হারাম কাজকে স্পষ্ট কুফুরী বললেন এবং যারা তা সমর্থন করে শেয়ার করছেন, ওদের কি এজন্য গুনাহ হবে? বা ইমানে সমস্যা হবে?
২.আমরাও কি উনার কথার সাথে একাত্ততা পোষন করতে পারি?
৩. "কেও যদি কথা প্রসঙ্গে, চলমান সকল ফিতনাকে দাজ্জালের ফিতনা বলে অবিহিত করে" এতে কি সে কাফের হবে?
৪. আসলে আমার বউ একদিন একটা বড় কমেন্টের মাঝে এই রকম একটা কথা ডুকিয়ে দিয়েছিলো, পরে তাকে বলি যে দাজ্জাল তো এখনো আসে নি তার ফিতনা এখন আসলো কিভাবে, পরে সে ঠিক করে। তার থেকে এটা জানা হয় নাই সে কি বুঝে এই সকল ফিতনাকে দাজ্জালের ফিতনা বলেছিলো। তার কি ইমানে সমস্যা হয়েছিলো?
৫. আমি একজনের থেকে একটা বইবেল এনেছিলাম, পড়ার জন্য, সেটা অন্য গল্পের বইএর সাথে এক থাকের মাঝে থাকে, এটা কি ঠিক আছে? আর এইটা অনেক পুরাতন, এই কভারে লেখা ছিলো "পবিত্র বাইবেল" এইটার লেখা উঠে যেতে শুরু করায় আমি আবার মার্কার দিয়ে লিখে দেই যে, "পবিত্র বাইবেল" এতে কি কুফরি হবে আমার? আমি তখন কুফরি সম্পর্কে অবগত ছিলাম না, কতোদিন আগে লিখেছি সঠিক মনেও পরছে না, কারণ হিসাবে কেবল এইটাই মনে হচ্ছে কাভারের লেখার রং উঠে যাওয়ায় লিখেছিলাম । (উল্লেখ্য আমি বিশ্বাস করতাম যে বাইবেল বিকৃত হয়ে গিয়েছে)
৬. কেও যদি মনে মনে ভাবে, যে তার হিন্দু বন্ধু যদি তাকে পুজায় যেতে বলে তবে তাকে বলবে,সে যদি নামাজে আসে তবে সেও পুজায় যাবে/পুজা করবে, (কি ভেবেছিলো পরিষ্কার মনে নাই) তার পর তার মনে হলো এই কথা বললে তো হয় না, কারণ সে নামাজে আসলে আমি কি কুফরী করবো না কি। পরে তাতক্ষনিক তওবা করেছে কি না এজন্য মনে নাই, পরে আবার মনে হওয়ার পর তওবা করেছে। তার কি এই মনে মনে ভাবনায় কুফর হয়েছে?
জাজাকাল্লাহ